উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অ্যা সিঙ্গল ম্যান ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন নাট্য চলচ্চিত্র। ক্রিস্টোফার ইশারউড রচিত ও ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত রয়েছে। এটি ফ্যাশন ডিজাইনার টম ফোর্ড পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। এর শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন কলিন ফার্থ। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৯৬২ সালে বসবাসরত সমকামী ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্রিটিশ অধ্যাপক জর্জ ফ্যালকোনারের চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
অ্যা সিঙ্গল ম্যান | |
---|---|
![]() সিনেমাহলে চলচ্চিত্রটির মুক্তিকালীন পোস্টার | |
পরিচালক | টম ফোর্ড |
চিত্রনাট্যকার |
|
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | আবেল করজেনিওস্কি শিগেরু উমেবায়াশি |
চিত্রগ্রাহক | এদুয়ার্দ গ্রাউ |
সম্পাদক | জোয়ান সোবেল |
পরিবেশক | দ্য ভেইনস্টেইন কোম্পানি |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০০ মিনিট[১] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৭ মিলিয়ন[২] |
আয় | $২৫ মিলিয়ন[৩] |
৬৬তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ২০০৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পায়। ৩৪তম টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ার পর ভেইনস্টেইন কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে এটি পরিবেশনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২০০৯ সালের ১১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত আকারে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর ২০১০ এর প্রারম্ভে ব্যাপক আকারে মুক্তি পায়। [৪]
১৯৬২ সালের ৩০ নভেম্বর। কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের এক মাস পরের কথা। জর্জ ফ্যালকোনার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে বসবাসরত একজন মধ্যবয়সী অধ্যাপক। জর্জ কল্পনা করে, সে তার দীর্ঘমেয়াদি সহচর জিমের শরীরে প্রবেশ করেছে। এর আট মাস আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় জিম প্রাণ হারায়। যেখানে সে প্রাণ হারায়, জর্জ ঐ জায়গাতেই তার শরীরে প্রবেশের স্বপ্নদৃশ্য দেখে।
জর্জ তার প্রিয়তমা বন্ধু শার্লির কাছ থেকে একটি ফোন পায়। শার্লির মনের অবস্থাও বেশি ভালো না, কিন্তু তা সত্ত্বেও সে আচরণে উষ্ণতা প্রদর্শন করে। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে তার কর্মকাণ্ডগুলো সাজিয়ে নিয়ে এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে সৌন্দর্য অনুধাবন করে সে সময় অতিবাহিত করে। মাঝে মাঝে সে জিমের সঙ্গে তার চৌদ্দ বছরের সম্পর্কের কথা চিন্তা করে।
বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর জর্জের সাথে কেনি পোটার নামে এক ছাত্রের দেখা হয়। কেনি জর্জের প্রতি একটু বেশিমাত্রায়ই আগ্রহ প্রদর্শন করে। ছাত্র-শিক্ষক কথোপকথনের যে স্বাভাবিক সীমা থাকে, কেনি সেই সীমারেখা সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম করে। কার্লোস নামে এক স্পেনীয় পুরুষ বেশ্যার সাথেও জর্জের হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়। ঐ সন্ধ্যা তারা স্মৃতিচারণা ও নৃত্যগীতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করলেও জর্জ বুঝতে পারে, শার্লি জর্জ-জিম সম্পর্কের সমীকরণ বুঝতে পারছে না এবং তার সাথে ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। এর ফলে জর্জ শার্লির উপর রেগে যায়।
জর্জ একটি পানশালায় যায়; কেনিও তাকে অনুসরণ করে। তারা মদ্যপান করে, নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটে, তারপর জর্জের বাসায় প্রত্যাবর্তন করে দুজনে একসাথে আবারো মদ্যপান করে। জর্জ একটি বিছানায় নিজেকে ঘুম থেকে সদ্য জাগ্রত অবস্থায় আবিষ্কার করে। কেনি আরেকটি বিছানায় অঘোরে ঘুমাচ্ছে। কেনির হাতে জর্জের বন্দুক- বন্দুকটি সে জর্জকে আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখতে নিজের কাছে রেখেছিল। তারপর জর্জ তার আত্মহত্যার নোটগুলো পুড়িয়ে ফেলে। সে বুঝতে পারে, চিন্তা নয়, বরং অনুভবের শক্তি এখন তার মধ্যে ক্রিয়া করে। এই উপলব্ধির পরক্ষণেই মৃত্যুর কোলে জর্জ ঢলে পড়ে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.