Remove ads
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অ্যামিবা প্রোটিয়াস হল অ্যামিবার একটি প্রজাতি। এটি একটি বৃহদাকৃতির অ্যামিবার প্রচলিত প্রতিশব্দ[১][২] হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এটি ক্যাওস নামক অপর এক দৈত্যাকৃ্তি অ্যামিবার প্রজাতির সাথে সম্পর্কিত। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সমূহ যে দোকানে কিনতে পাওয়া যায় সেইখানে সহজেই সংরক্ষিত তরলের মধ্যে সংগৃহীত অ্যামিবার এই নমুনা পাওয়া যায়। এই প্রোটোজোন বা এককোষী জাতীয় প্রাণী তাদের শরীরের সিউডোপোডিয়া নামক বর্ধিত অংশ বা কর্ষিকার মাধ্যমে নিজেদের থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের অণুজীব জাতীয় প্রাণীকে ভক্ষন করে পুষ্টি আহরণ করে। এরা এদের খাদ্যবস্তু গ্রহণ করার পর তাকে তাদের কোষের সাইটোপ্লাজ্ম অংশের অন্তর্গত কোষগহ্বরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে [৩] যেখানে ধীরে ধীরে উৎসেচকের মাধ্যমে সেই খাদ্যবস্তুর বিভিন্ন রাসায়নিক বিশ্লেষণ হয় এবং তার থেকে পুষ্টি আহরণ করা হয়। অ্যামিবা প্রোটিয়াস তার শরীর থেকে সিউডোপোডিয়া বা কর্ষিকার বিস্তার করে যা তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসাবে সুপরিচিত। এদের সাধারণত পরিষ্কার মিষ্টি জলের পরিবেশে বসবাস করে এবং বংশ বিস্তার করে। এদের খাদ্যের মধ্যে অন্যতম হল অন্যান্য অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের এককোষী প্রাণী, অ্যালগি জাতীয় জলজ উদ্ভিদ, রটিফার ইত্যাদি। নিজেদের থেকে ছোট আকৃতির অন্যান্য অ্যামিবাকেও এরা খাদ্য হিসাবে ভক্ষন করে। অ্যামিবা প্রোটিয়াস সাধারণত বর্ণহীন হয় কিন্ত খাদ্য আহরণের পর সেই খাদ্যের উপাদানের উপর ভিত্তি করে এদের কিছু বর্ণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
অ্যামিবা প্রোটিয়াস | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
ক্ষেত্র: | ইউক্যারিওটা |
পর্ব: | অ্যামিবাজোয়া |
শ্রেণী: | টিউবুলিনীয়া |
বর্গ: | টিউবুলিনিডা |
পরিবার: | অ্যামিবিদা |
গণ: | অ্যামিবা |
প্রজাতি: | এ.প্রোটিয়াস |
দ্বিপদী নাম | |
অ্যামিবা প্রোটিয়াস (পিটার সিমোনে পালাস্, ১৭৬৬) জোসেফ লেডি, ১৮৭৮ | |
অ্যামিবা প্রোটিয়াসে একটি পুরু বহিঃ আবরণ যুক্ত নিউক্লিয়াস বর্তমান এবং এটি দানাযুক্ত ক্রোমাটিন বহন করে। এইজন্যই অ্যামিবা প্রোটিয়াসকে ইউক্যারিওটা শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। এর ঝিল্লিতে অন্যান্য ইউক্যারিওটিক জীবগুলির ন্যায় ফসফোলিপিডের দ্বি-স্তরীয় আবরণ বর্তমান রয়েছে।
অ্যামিবা প্রোটিয়াসের নামকরন হয়েছে দুটি গ্রীক শব্দ থেকে; অ্যামিবা অর্থাৎ পরিবর্তনশীল এবং প্রোটিয়াস অর্থাৎ সমুদ্রের দেবতা। গ্রীক অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এই এককোষী অণুজীবকে গ্রিকদেশিয় সমুদ্রের দেবতা প্রোটিয়াসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, কারণ প্রোটিয়াসের মতই এই অনুজীব নিজের আকার পরিবর্তনে সক্ষম। [৪] অ্যামিবার প্রথম বিবরণ পাওয়া যায় জার্মান প্রকৃতিবিদ অগস্ট জোহান রাসেল ভন রোজহেনফ -এর কাছ থেকে। ১৭৫৫ সালে তিনি অ্যামিবয়েড প্রোটোজোনের একটি স্বহস্তে অঙ্কিত চিত্র প্রকাশ করেন। চিত্রের সেই অ্যামিবার প্রজাতিকে তিনি ক্ষুদ্র প্রোটিয়াস বা লিটল প্রোটিয়াস নামে অভিহিত করেন।[৫] পরবর্তীকালে, বিভিন্ন লেখক রাসেলের জীব এবং অন্যান্য অ্যামিবয়েড প্রোটোজোয়ার বিভিন্ন নাম নিযুক্ত করেছিলেন। কার্ল লিনিয়াস ১৭৫৮ সালে রাসেলের বর্ণিত জীবকে ক্যাওস প্রেথিউস নামে অভিহিত করেছিলেন।[৫] অটো ফ্রিডরিচ মোলার ১৭৮৬ সালে এটিকে প্রোটিয়াস ডিফ্লুয়েন্স হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।[৫] ১৮৭৮ সালে, জোসেফ লেডি রাসেলের প্রোটিয়াস, অপর এক বিচ্ছিন্ন প্রোটিয়াস এবং অ্যামিবার অপর এক বর্ণিত প্রজাতি অ্যামিবা প্রিন্সেপ্সকে একত্রে অ্যামিবা প্রোটিয়াস নামে বর্ণিত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।[৫][৬]
যদিও অ্যামিবা প্রোটিয়াসের মূল প্রোটিন অন্যান্য অ্যামিবা প্রজাতির ন্যায় যৌন প্রক্রিয়াগুলির সাথে যুক্ত [৭] কিন্তু কোন রকম যৌন জননের প্রক্রিয়া অথবা তাদের দেহে মায়োসিস প্রক্রিয়া ঘটিত হওয়ার কোনরকম সূত্র বা সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই এ বিষয়ে বিশেষ কোন তথ্য জানা যায়না।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.