বিভব

বিভব বা ভোল্টেজ বা বিভব পার্থক্য বা বৈদ্যুতিক চাপ (ইংরেজি: Voltage) হচ্ছে দুইটি বিন্দুর মধ্যে বৈদ্যুতিক বিভবের পার্থক্য।^[1][2] পরিবাহীর পরমাণুগুলোর ঋণাত্মক কণিকা বা ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন হয়, তাকে বিভব বা ভোল্টেজ বলে। এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে বিভব বা ভোল্টেজের প্রতীক V এবং একক Volt (ভোল্ট)। ^[3][4][5]

বিভব
ব্যাটারি, বর্তনীতে বিভবের একটি উৎস
সাধারণ প্রতীক	V , ∆V , U , ∆U
এসআই একক	ভোল্ট
এসআই মৌলিক এককে	kg⋅m2⋅s−3⋅A−1
অন্যান্য রাশি হতে উৎপত্তি	বিভব = শক্তি / আধান
মাত্রা	${\displaystyle {\mathsf {M}}{\mathsf {L}}^{2}{\mathsf {T}}^{-3}{\mathsf {I}}^{-1}}$

অন্যভাবে বলা যায় যে, অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে একটি একক ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয়, তা হলো ঐ স্থানের বিভব বা ভোল্টেজ। তাই ভোল্টেজ কাজের আরেকটি রূপ। আরও বলা যায়, কোনো বস্তুর যে বৈদ্যুতিক ধর্মের কারণে তা অন্য বস্তুর সংস্পর্শে ঐ বস্তুটি আধান গ্রহণ বা প্রদান করে বা আধান গ্রহণ বা প্রদান হতে বিরত থাকে তাকে ঐ বস্তুর বিভব বলে। আবার তাপমাত্রার সাথে তুলনা করে বলা যায়, কোন বস্তুর পৃষ্ঠতলের একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ অস্থিতিশীল ধনাত্বক বা ঋনাত্বক চার্জ বা শূন্য চার্জ উপস্থিত থাকে তাকে ঐ সম্পূর্ণ বস্তুর তড়িৎ বিভব বা চার্জমাত্রা বা আধানমাত্রা বলে। অর্থাৎ বিভব হল কোন বস্তুর চার্জের ঘনত্ব। কোনো বর্তনীর দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব পরিমাপের জন্য ভোল্টমিটার ব্যবহার করা হয়।

সংজ্ঞা

স্থির বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে, কৃতকাজ পথ নিরপেক্ষ

যদি অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে Q ধনাত্মক চার্জ তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে W পরিমাণ কাজ করতে হয়, তাহলে

${\displaystyle V={\frac {W}{Q}}=IR}$

অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে যদি 1C (কুলম্ব) ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে 1J (জুল) কাজ করতে হয় তাহলে ঐ বিন্দুর বিভবকে 1V (ভোল্ট) বলে। সাধারণত তড়িৎ বিষয়ক বিভিন্ন কাজে বিভব পার্থক্য ব্যবহার করা হয়। কারণ একটি বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দুতে তড়িৎ প্রবাহ করতে হলে অবশ্যই বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করতে হবে। তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। কোনো বস্তুর ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি পাওয়া মানে বস্তুর বিভব বৃদ্ধি পাওয়া। আবার উল্লেখ্য, তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়, কিন্তু পরিবাহীর ইলেক্ট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। এভাবেই বিভবকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ^[6][7]

তথ্যসূত্র

1. Cretì, Anna; Fontini, Fulvio (২০১৯-০৫-৩০)। Economics of Electricity: Markets, Competition and Rules (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 978-1-107-18565-4।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
2. Tregub, Stanislav (২০২০-০৮-০৮)। Theory of Energy Harmony: Mechanism of Fundamental Interactions (ইংরেজি ভাষায়)। Stanislav Tregub। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 978-5-6044739-2-4।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
3. David B. Newell, Eite Tiesinga (আগস্ট ২০১৯)। The International System of Units (SI) (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। National Institute of Standards and Technology। পৃষ্ঠা 31। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২৪।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
4. Holloway, Michael D.; Holloway, Emma (২০২০-১২-০৯)। Dictionary of Industrial Terminology (ইংরেজি ভাষায়)। John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 1259। আইএসবিএন 978-1-119-36410-8।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
5. Aslam, Dr S.; Sharma, Dr Pradosh Kumar; Rahul, Satyakam; Saluja, Dr Hitanshu (২০২৪-০১-২৬)। Integrating Electrical Systems With Intelligent Computing (ইংরেজি ভাষায়)। Academic Guru Publishing House। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 978-81-19843-91-6।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
6. Vadari, Mani (২০১৩)। Electric System Operations: Evolving to the Modern Grid (ইংরেজি ভাষায়)। Artech House। পৃষ্ঠা 41। আইএসবিএন 978-1-60807-549-2।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
7. Vadari, Subramanian (২০২০-০১-৩১)। Electric System Operations: Evolving to the Modern Grid, Second Edition (ইংরেজি ভাষায়)। Artech House। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 978-1-63081-689-6।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)