সিয়েরা লিওন
পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
সিয়েরা লিওন (/sɪˈɛərə
সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্র Republic of Sierra Leone | |
---|---|
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | ফ্রিটাউন ০৮°৩০′০০″ উত্তর ১২°০৬′০০″ পশ্চিম |
সরকারি ভাষা | ইংরেজি |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | সিয়েরা লিওনীয় |
সরকার | প্রজাতন্ত্র |
আর্নেস্ট বাই কোরোমা (অল পিপল'স কংগ্রেস) | |
• উপ-রাষ্ট্রপতি | আলহাজি সামুএল সাম-সুমানা (এপিসি) |
• পার্লামেন্টের স্পিকার | আবেল নাথানিয়েল ব্যাঙ্কোল স্ট্রং (এপিসি) |
উমু হাওয়া তেজান জাল্লোহ | |
আয়তন | |
• মোট | ৭১,৭৪০ কিমি২ (২৭,৭০০ মা২) (১১৭তম) |
• পানি (%) | ১.১ |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৫ আদমশুমারি | ৭,০৭৫,৬৪১[1] (১০৩তম) |
• ঘনত্ব | ৭৯.৪/কিমি২ (২০৫.৬/বর্গমাইল) (১১৪তমa) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৭ আনুমানিক |
• মোট | $১১.৫৫১ বিলিয়ন[2] |
• মাথাপিছু | $১,৭৬০[2] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৭ আনুমানিক |
• মোট | $৪.০৮৮ বিলিয়ন[2] |
• মাথাপিছু | $৬২৩[2] |
জিনি (২০১১) | ৩৫.৪[3] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৫) | ০.৪২০[4] নিম্ন · ১৭৯তম |
মুদ্রা | লিওন (এসএলএল) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+০ (জিএমটি) |
কলিং কোড | ২৩২ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .sl |
১ ২০০৭ সালের তথ্যের উপর ভিত্তি করে রাংকিং করা হয়েছে। |
সিয়েরা লিওনে প্রায় ১৬টি জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে, যাদের প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা ভাষা ও রীতিনীতি। দুটি বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী জাতিগোষ্ঠী হল তেমনে ও মেন্দে। তেমনে জাতিগোষ্ঠীকে দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রাধান্য করতে দেখা যায়, যখন মেন্দেরা দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। যদিও দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে সরকারি প্রশাসন ও বিদ্যালয়সমূহে ইংরেজিতে কথা বলা হয়, তবুও দেশে এবং দেশের সকল বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ক্রিও ভাষা সবচেয়ে বেশি কথ্য ভাষা। বিশেষ করে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য এবং একে অপরের সাথে সামাজিক যোগাযোগে ক্রিও ভাষা ব্যবহার করে।
সিয়েরা লিওন একটি নামমাত্র মুসলিম দেশ,[8][9] যদিও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুরা যথেষ্ট প্রভাবশালী। সাধারণভাবে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০% মুসলিম, ৩০% আদিবাসী বিশ্বাসী এবং ১০% খ্রিস্টান ধর্মীয়।[10] যাহোক, সেখানে আদিবাসী বিশ্বাসের সংগঠিত ধর্মীয় সামঞ্জস্যতা অধিক। সিয়েরা লিওনকে বিশ্বের সবচেয়ে ধর্মীয় সহিষঞ্চু জাতি হিসাবে গণ্য করা হয়। মুসলিম ও খ্রিস্টানরা একে অপরের প্রতি সহযোগী ও শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সিয়েরা লিওনে ধর্মীয় সহিংসতা খুবই বিরল।
সিয়েরা লিওন খনিজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে হীরা, এটি অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি। এছাড়াও রয়েছে অন্যতম পণ্য টাইটানিয়াম ও বক্সাইট, অন্যতম প্রধান পণ্য সোনা, এবং রয়েছে রুটাইল এর পৃথিবীর বৃহত্তম মজুদের একটি অংশ। সিয়েরা লিওনে রয়েছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক হারবর। এত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকার পরেও সিয়েরা লিওনের ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমায় বসবাস করে।[11]
সিয়েরা লিওন ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। সরকারের দুর্নীতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের অব্যবস্থাপনার ফলে সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধ হয় (১৯৯১ - ২০০২), যার জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশে ধংসযজ্ঞ চলে। এ যুদ্ধে ৫০,০০০ বেশি মানুষ মারা যায়, দেশের অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস করে, এবং দুই মিলিয়ন মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হিসাবে বাস্তুহারা হয়।
সাম্প্রতি ২০১৪ এবোলা প্রাদুর্ভাব সিয়েরা লিওনের দুর্বল স্বাস্থ্য সেবা কাঠামোর উপর জটিলতা সৃষ্টি করে, চিকিৎসা খাতে অবহেলিত মনোভাবের কারণে আরও অনেক মৃত্যু ঘটে। এটি একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি করে এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও ব্যাহত করে। দেশের গড় আয়ু ৫৭.৮ বছর, যা অত্যন্ত কম।[10]
সিয়েরা লিওন জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন, ওআইসি, ইকোওয়াস, কমনওয়েলথ সহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।