Loading AI tools
বাংলা সালতানাতের সেনাপতি ও চট্টগ্রামের প্রশাসক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পরাগল খান ১৫ শতকের শেষের দিকে এবং ১৬ শতকের প্রথম দিকে বাংলা সালতানাতের একজন প্রশাসক এবং সামরিক কমান্ডার (লস্কর) ছিলেন। তিনি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[1]
লস্কর পরাগল খান | |
---|---|
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চট্টগ্রাম জেলা, বাংলা সালতানাত |
সন্তান | ছুটি খান |
পিতা | রাস্তি খান |
পেশা | সেনা কর্মকর্তা ও প্রশাসক |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | বাংলা সালতানাত |
পদ | লস্কর (সেনাপতি) |
যুদ্ধ | বাংলা সালতানাত–ম্রক ইউর রাজ্যের যুদ্ধ |
পরাগল খান এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যারা বাংলার সুলতানের অধীনে সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করতেন এবং বংশানুক্রমিকভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করছিলেন। তার পিতা রাস্তি খান, রুকুনউদ্দিন বারবাক শাহের অধীনে চট্টগ্রামের সামরিক কমান্ডার ছিলেন। তার পরিবার বংশ পরম্পরায় এ অঞ্চলে বসবাস করে আসছিল।[2]
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ চট্টগ্রাম জয় করার পর তিনি খানকে লস্কর উপাধি দিয়ে সেনাপতি নিযুক্ত করেন। তিনি বাংলা সালতানাতের শাসক শাহের কাছ থেকে প্রচুর জমি অনুদান পেয়েছিলেন।[2]
খান থাকতেন চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জে। ১৫১২–১৫১৬ সালের বাংলা সালতানাত–ম্রাউক ইউ রাজ্যের যুদ্ধের পর তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের গভর্নর নিযুক্ত হন। তিনি তাঁর সভাকবি কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তিনি মহাভারতের প্রথম বাংলা সংস্করণ কবীন্দ্র মহাভারত রচনার পৃষ্ঠপোষকতা করেন, যাকে পরাগলী মহাভারতও বলা হয়।[3] ধারণা করা হয় পরাগলপুর গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে তার নামানুসারে এবং এটি তার বংশধরদের নিবাস। গ্রামের বাসিন্দারা পরাগল দিঘির জল ব্যবহার করেন, যা তার নামের একটি জলাধার।[4][5] তাঁর পুত্র ছিলেন নুসরাত খান, যিনি ছুটি খান নামেও পরিচিত। ইনিও তার পিতার মতো কবিদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন।[6][7]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.