সিংহ (Panthera leo) ফেলিডি পরিবারের প্রাণী যা প্যানথেরা গণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের মধ্যে আকারে এটির অবস্থান দ্বিতীয়। সিংহের মূলত দুটি উপপ্রজাতি বর্তমানে টিকে আছে। একটি হল আফ্রিকান সিংহ অপরটি হল এশীয় সিংহ। আফ্রিকান সিংহ মোটামুটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাওয়া গেলেও অল্প সংখ্যক ভারতীয় সিংহ শুধু ভারতের গির অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। সংখ্যাধিক্যের দরুন সিংহ বলতে তাই আফ্রিকান সিংহকেই বোঝায়।

দ্রুত তথ্য সংরক্ষণ অবস্থা, বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ...
সিংহ
সময়গত পরিসীমা: প্রারম্ভিক প্লাইস্টোসিন-বর্তমান, ০.১৬–০কোটি
কা
পা
ক্রি
প্যা
Thumb
পুরুষ সিংহ
Thumb
সিংহী বা স্ত্রী সিংহ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: স্তন্যপায়ী
বর্গ: শ্বাপদ বর্গ
পরিবার: ফেলিডে
গণ: প্যানথেরা
প্রজাতি: পেঃলিও
দ্বিপদী নাম
প্যানথেরা লিও
(Linnaeus, 1758)
Thumb
Thumb
ভারতে সিংহের বিস্তৃতি: গুজরাতের গির জাতীয় উদ্যান প্রায় ৪০০ এশীয় সিংহের শেষ আবাসস্থল।
প্রতিশব্দ
Felis leo
Linnaeus, 1758
বন্ধ

বর্ণনা

বর্তমানে আফ্রিকার বনে ৩০,০০০ সিংহ রয়েছে। আর এশিয়া ৩৫০ টি সিংহ রয়েছে। তারা এশিয়ায় বাস করে গির বনে। যেটি অবস্থিত গুজরাত, ভারত.বর্তমান অবস্থা :ভারতে 2005 সালে সিংহের সংখ্যা ছিল 359 টি,2010 সালে 411 টি এবং বর্তমানে 2015 সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 523 টি তে।

পুরুষ সিংহের সাধরনত ওজন হয় ১৫০ এবং ২৫০ কিলোগ্রাম (৩৩০ এবং ৫৫০ পাউন্ড) এর মধ্যে হয়। বড় সিংহ পৌছায় ২৫০ থেকে ২৭০ কেজি (৫৫০ থেকে ৬০০ পা) অবধি।. স্ত্রীরা (সিংহী) সাধারণত ১২০ থেকে ১৮২ কেজি (২৬৫ থেকে ৪০১ পা) অবধি হয়.[1] একমাত্র পুরুষ সিংহদের কেশর থাকে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রায় ৫'৭"-৮'২" পর্যন্ত হয়ে থাকে। সিংহ মাংসাশী প্রাণী। বিভিন্ন জাতের কৃষ্ণসার, জেব্রা, নু-হরিণ, ইম্পালা, আফ্রিকান মহিষ, জিরাফ, শূকর ইত্যাদি এদের প্রধান খাদ্য।

শব্দতত্ত্ব

সিংহের ইংরাজি নাম রোমাণীয় ভাষার সাথে সম্পর্কিত। এটি লাতিন ভাষার leo শব্দ [2] এবং প্রাচীন গ্রিকের λέων শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।(leon)

স্বভাব

সিংহের দলকে প্রাইড বলে। যেটির অর্থ গর্ব। একটি প্রাইডে দশ থেকে চল্লিশটি সিংহ থাকে।প্রত্যেক প্রাইডের নিজস্ব অঞ্চল আছে। সিংহ কখনো তাদের অঞ্চলে অন্য মাংসাশী প্রাণী ঢোকা পছন্দ করে না। তাদের একটি অঞ্চল প্রায় ২৬০ বর্গকিলোমিটার (১০০ বর্গমাইল)। পুরুষ সিংহরা খুব রাগী হয়। এরা এদের এলাকা রক্ষার্থে প্রয়োজনে সহিংস্র লড়াই করে।

প্রজনন

পুরুষ সিংহ সাধারণত ৩ বছর বয়সে যৌন পরিপক্কতা লাভ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষ সিংহের ২ বছর বয়সে কেশর গজানো শুরু হয়।কেশর সিংহের পুরুষত্বের প্রতীক।যা শুধু সিংহেরই থাকে। সিংহীর থাকে না।২ থেকে ৩ বছর বয়সে সিংহী তরুণী হয়। গর্ভাবস্থা থাকে ১১০-১২০ দিন পর্যন্ত । জন্মের সময় শিশু সিংহের ভর সাধারণত ১.২ - ২.১ কেজি হয়ে থাকে। শিশু সিংহ জন্মের পর অন্ধ থাকে; তারা ১ সপ্তাহ বয়সে চোখ খুলতে পারে এবং যতদিন ২ সপ্তাহ বয়স না হয় ততদিন ভালো করে দেখতে পারে না। সিংহদের নির্দিষ্ট বাসা নেই, যেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সিংহদের নির্দিষ্ট পালানোর জায়গা থাকে। যেটি তারা গোপন রাখে। যদি অন্যদলের সিংহ দেখে ফেলে। তারা তাহলে সেই স্থান প্রস্থান করে।

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.