![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f6/Feuerbach_Ludwig.jpg/640px-Feuerbach_Ludwig.jpg&w=640&q=50)
প্রকৃতিবাদ (দর্শন)
দর্শন / From Wikipedia, the free encyclopedia
দর্শনে, নেচারালিজম বা প্রকৃতিবাদ বা স্বাভাবিকতা হল "একটি ধারণা বা মতবাদ যা অনুসারে কেবলমাত্র প্রাকৃতিক নিয়ম এবং বলই (অতিপ্রাকৃতিক অথবা আধ্যাত্মিক নয়) জগৎকে পরিচালিত করতে পারে।"[1] প্রকৃতিবাদকে ধারণকারী অর্থাৎ নেচারালিস্ট বা প্রকৃতিবাদীগণ বলেন, প্রাকৃতিক নিয়মগুলো হল সেই নিয়ম যা প্রাকৃতিক মহাবিশ্বের গঠন ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিবর্তিত মহাবিশ্বের প্রতিটি ধাপই এই নিয়মগুলোর ফলাফল হয়ে থাকে।[2]
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f6/Feuerbach_Ludwig.jpg/320px-Feuerbach_Ludwig.jpg)
"প্রকৃতিবাদকে সজ্ঞানগতভাবেই একটি অন্টোলজিভিত্তিক উপাদান এবং একটি পদ্ধতিগত উপাদানে ভাগ করা যেতে পারে।"[3] অন্টোলজি বলতে সেই দার্শনিক শাখাকে বোঝায় যা বাস্তবতার প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে। কিছু দার্শনিক প্রকৃতিবাদকে বস্তুবাদের সমার্থক দাবী করেন। যেমন, দার্শনিক পল কার্টজ বলেন, প্রকৃতিকে বস্তুর নীতি দিয়েই সবচেয়ে ভালভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এই নীতিগুলোর মধ্যে আছে ভর, শক্তি এবং সায়েন্স কমিউনিটি দ্বারা স্বীকৃত ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মগুলো। আবার, প্রকৃতিবাদের এই ধারণাটি বলে, আত্মা, ডেইটি এবং ভূতরা সত্য নয় এবং প্রকৃতিতে এসবের কোণ "উদ্দেশ্য" নেই। এরকম প্রকৃতিবাদের প্রতি চূড়ান্ত বিশ্বাসকে সাধারণভাবে মেটাফিজিকাল নেচারালিজম বা অধিবিদ্যীয় প্রকৃতিবাদ বলা হয়।[4]
প্রকৃতিবাদকে বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি কার্যপদ্ধতি হিসেবে ধরে নেয়া হয়, এখানে এটিকে কোন দার্শনিক নিহিতার্থ প্রদানপূর্বক চূড়ান্ত সত্য বলে মেনে নেবার বিবেচনাটি উপস্থিত থাকে। একে মেথোডোলজিকাল নেচারালিজম বা পদ্ধতিগত প্রকৃতিবাদ বলা হয়।[5] এখানকার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে একটি পূর্ব-অনুমিত দৃষ্টান্তের উপর ভিত্তি করে জ্ঞানার্জনের দর্শন।
সর্বেশ্বরবাদীগণ (যেখানে প্রকৃতি ও ঈশ্বরকে একই জিনিস বলে মনে করা হয়) ছাড়া অন্যান্য আস্তিক্যবাদীগণ মনে করেন, প্রকৃতিতেই সকল বাস্তবতা নিহিত থাকে না। কোন কোন আস্তিক্যবাদীর মতে প্রাকৃতিক নিয়মকে ঈশ্বর বা দেবতাদের আনুসঙ্গিক কারণ হতে পারে।
বিংশ শতকে, উইলার্ড ভ্যান অরমান কুইন, জর্জ সান্তায়ানা এবং অন্যান্য দার্শনিকগণ যুক্তি দেখান, বিজ্ঞান প্রকৃতিবাদের স্বার্থকতা নির্দেশ করছে, দর্শনেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলোর প্রয়োগ করা উচিত। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে বিজ্ঞান ও দর্শন পারষ্পরিক সম্পর্কযুক্ত হয়ে একটি কন্টিন্যুয়াম বা অবিচ্ছিন্নতা গঠন করে।