Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কেভিন রুড (ইংরেজি: Kevin Rudd; জন্ম: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৭) কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের ন্যাম্বারে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর চলতি দায়িত্বপালন করছেন। পাশাপাশি ২৭ জুন, ২০১৩ তারিখ থেকে তিনি লেবার পার্টি’র দলনেতা হিসেবে রয়েছেন । ২০০৭ থেকে ২০১০ সময়কালেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।
সম্মানীয় কেভিন রাড | |
---|---|
২৬তম অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৭ জুন, ২০১৩ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
গভর্নর-জেনারেল | কুইন্টিন ব্রাইস |
ডেপুটি | অ্যান্থনি অ্যালবানিজ |
পূর্বসূরী | জুলিয়া গিলার্ড |
উত্তরসূরী | টনি অ্যাবট (মনোনীত) |
কাজের মেয়াদ ৩ ডিসেম্বর, ২০০৭ – ২৪ জুন, ২০১০ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
গভর্নর-জেনারেল | মাইকেল জেফ্রি কুইন্টিন ব্রাইস |
ডেপুটি | জুলিয়া গিলার্ড |
পূর্বসূরী | জন হাওয়ার্ড |
উত্তরসূরী | জুলিয়া গিলার্ড |
লেবার পার্টির দলনেতা | |
কাজের মেয়াদ ২৬ জুন, ২০১৩ – ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ | |
ডেপুটি | অ্যান্থনি অ্যালবানিজ |
পূর্বসূরী | জুলিয়া গিলার্ড |
উত্তরসূরী | নির্ধারিত হয়নি |
কাজের মেয়াদ ৪ ডিসেম্বর, ২০০৬ – ২৪ জুন, ২০১০ | |
ডেপুটি | জুলিয়া গিলার্ড |
পূর্বসূরী | কিম বিয়াজলি |
উত্তরসূরী | জুলিয়া গিলার্ড |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০ – ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ | |
প্রধানমন্ত্রী | জুলিয়া গিলার্ড |
পূর্বসূরী | স্টিফেন স্মিথ |
উত্তরসূরী | বব কার |
বিরোধীদলীয় নেতা | |
কাজের মেয়াদ ৪ ডিসেম্বর, ২০০৬ – ৩ ডিসেম্বর, ২০০৭ | |
ডেপুটি | জুলিয়া গিলার্ড |
পূর্বসূরী | কিম বিয়াজলি |
উত্তরসূরী | ব্রেন্ডন নেলসন |
পররাষ্ট্রবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর, ২০০১ – ৪ ডিসেম্বর, ২০০৬ | |
নেতা | সিমন ক্রিন মার্ক লাথাম কিম বিয়াজলি |
পূর্বসূরী | জেনি ম্যাকলিন |
উত্তরসূরী | স্টিফেন স্মিথ |
গ্রিফিথ আসনের অস্ট্রেলীয় সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩ অক্টোবর, ১৯৯৮ | |
পূর্বসূরী | গ্রেইম ম্যাকডোগাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কেভিন মাইকেল রাড ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ ন্যামবোর, অস্ট্রেলিয়া |
রাজনৈতিক দল | লেবার পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | থিরিজ রিন |
সন্তান | ৩ |
বাসস্থান | দ্য লজ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি |
ধর্ম | অ্যাঙ্গলিকানিজম[1][2] |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | Prime Minister's website Parliamentary website Personal website |
১৯৪৯ সালে রবার্ট ম্যানজিসের পর প্রথম সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দপ্তরে ফিরে আসেন। এছাড়াও, দ্বিতীয় লেবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
আলবার্ট ও মার্গারেট দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে রাড সর্বকনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। ইউমান্ডির কাছাকাছি একটি দুগ্ধ খামারে বড় হন।[3] শৈশবে বাতজনিত রোগে জ্বর হয় তার। এরফলে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও অস্ত্রোপচারে ভাল্ব পরিবর্তন করতে হয়। খামারে অবস্থানকালীন ঘোড়া ও বন্দুকের ব্যবহার শিখেন যা পরবর্তীকালে তাকে ঘোড়ায় চড়তে ও লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে গুলি করতে সহায়তা করে।[4] ১১ বছর বয়সে কাউন্টি পার্টির সদস্য বাবা মারা যান। রাডের ভাষায়, মৃত্যুর দুই থেকে তিন সপ্তাহকাল তাদেরকে নিদারুণ অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগতে হয়। কিন্তু পরিবারের ভূ-স্বামী বলেন যে রাডদের পরিবার কমপক্ষে ছয় মাস সেখানে অবস্থান করেছেন।[5]
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ইংরেজির পাশাপাশি চীনা ভাষায়ও কথা বলতে পারেন রাড। অস্ট্রেলীয় সরকারের কূটনীতিবিদ হিসেবে সুইডেন ও চীনে বসবাস করেন।
কাউন্টি পার্টির সাথে পারিবারিক সম্পৃক্ততা থাকা স্বত্ত্বেও রাড সামাজিক ন্যায়বিচারের পার্টি[6] হিসেবে বিবেচিত অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টিতে যোগ দেন ১৯৭২ সালে, ১৫ বছর বয়সে। ১১ নভেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে প্রতিনিধি সভায় সংসদ সদস্য হিসেবে তার প্রথম বক্তব্য রাখেন।[7] ৪ ডিসেম্বর, ২০০৬ তারিখে অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির পক্ষ থেকে লেবার পার্টির নেতাসহ বিরোধীদলীয় নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। জেনি ম্যাকক্লিনের পদত্যাগের পর জুলিয়া গিলার্ড উপ-নেতার আসন দখল করেন।[8] এগারো বছর ক্ষমতায় থাকার পর লেবার পার্টি ২০০৭ সালে ফেডারেল নির্বাচনে জয়ী হয়। এ সময় রাড শ্রম সম্পর্কিত আইনসহ বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়ে তার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার কথা তুলে ধরেন। ২১ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ডের সাথে টেলিভিশন বিতর্কে অবতীর্ণ হন। এতে অধিকাংশ সংবাদ বিশ্লেষকদের রায়ে তার শক্ত অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়।[9] ৩ ডিসেম্বর, ২০০৭ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর জেনারেল মাইকেল জেফ্রি কর্তৃক ২৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন।[10] প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কিওটো চুক্তিতে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।[11] এ প্রেক্ষিতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার দিনই এ চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন।[12] চীনে মানবাধিকার বিষয়ে চীনা ভাষায় বক্তব্য রাখেন। আফগান যুদ্ধে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন ও ইরাকের বিদ্যমান পরিবেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সামরিকবাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করেন।
৪ আগস্ট, ২০১৩ সালে ঘোষণা করেন যে, তিনি গভর্নর-জেনারেল কুইন্টিন ব্রাইসের সাথে পার্লামেন্ট হাউজে স্বাক্ষাৎ করেন। এতে সংসদ বিলুপ্তি করে ৭ সেপ্টেম্বরে ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ঘোষিত হয়। এ নির্বাচনে লেবার পার্টি পরাজিত হয়।[13] ফলে লিবারেল পার্টি’র নেতা টনি অ্যাবটের শপথ গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর চলতি দায়িত্ব পালন করবেন কেভিন রাড। জোটবদ্ধ দলের পরাজয়ের পর রাড ঘোষণা করেন যে, তিনি লেবার পার্টির দলনেতা থেকে পদত্যাগ করবেন।[14]
১৯৮১ সালে থিরিজ রিনকে বিয়ে করেন রাড। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালীন একে-অপরের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন।[15] তাদের সংসারে জেসিকা, নিকোলাস এবং মার্কাস নামীয় তিন সন্তান রয়েছে।[16][17]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.