ইসলামি স্বর্ণযুগ
ইসলামের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক বিকাশের সময়কাল (৮ম থেকে ১৩শ শতাব্দী) / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসলামের ইতিহাসে অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কালকে ইসলামের স্বর্ণযুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই সময়ে মুসলিম বিশ্ব ব্যাপক বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি সাধন করেছিল।[1][2][3]
অষ্টম শতাব্দী – চতুর্দশ শতাব্দী | |
পূর্ববর্তী যুগ | রাশিদুন খিলাফত |
---|---|
পরবর্তী যুগ | তিমুরিদ রেনেসাঁ বারুদ সাম্রাজ্য |
শাসক(গণ) | উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসীয় খিলাফত, সামানি সাম্রাজ্য, ফাতিমীয় খিলাফত, আইয়ুবীয় রাজবংশ, মামলুক সালতানাত |
নেতা(গণ) |
|
ঐতিহ্যগতভাবে, ধারণা করা হয় যে এই সময়কালের সূচনা ঘটেছিল আব্বাসীয় খলিফা হারুন-আল-রশিদের (৭৮৬-৮০৯ খ্রিস্টাব্দ ) শাসনামলে। তখন 'জ্ঞানের ভবন' (House of Wisdom) প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র থেকে পণ্ডিতরা বাগদাদে আসতে থাকেন। বাগদাদ তখন পৃথিবীর বৃহত্তম শহর ছিল। পণ্ডিতরা এসে তৎকালীন জগতের প্রাচীন শাস্ত্রীয় জ্ঞানকে আরবি ও ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন।[4] মঙ্গোলদের আক্রমণ ও ১২৫৮ সালের বাগদাদ অবরোধের ফলে আব্বাসীয় খলিফার পতন ঘটলে এই স্বর্ণযুগের সমাপ্তি ঘটে বলে ধরে নেয়া হয়।[5]
তবে এই স্বর্ণযুগের সময়কাল নিয়ে বিকল্প ধারণাও রয়েছে। কিছু পণ্ডিত তিমুরীয় রেনেসাঁ-কে স্বর্ণযুগের অংশ ধরে এর সময়কাল ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রসারিত করেন।[6][7] আবার কেউ কেউ ১৫শ-১৬শ শতক পর্যন্ত সময়কাল, যখন ইসলামি বারুদ সাম্রাজ্যগুলোর উত্থান হয়েছিল, সেসময় পর্যন্ত ইসলামি স্বর্ণযুগের অংশ বলে মনে করেন।[1][2][3]