জর্জ ওয়াশিংটন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
জর্জ ওয়াশিংটন (ফেব্রুয়ারি ২২, ১৭৩২[lower-alpha 1] – ডিসেম্বর ১৪, ১৭৯৯) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি।[1] তিনি আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ-এ কন্টিনেন্টাল আর্মির সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গঠনের প্রধান বলে উল্লেখ করা হয় এবং তিনি তার জীবদ্দশায় এবং এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির জনক হিসেবে পরিচিত।[2]
জর্জ ওয়াশিংটন | |
---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১ম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল, ১৭৮৯ [nb] – ৪ মার, ১৭৯৭ | |
উপরাষ্ট্রপতি | জন অ্যাডামস |
পূর্বসূরী | পদ প্রতিষ্ঠা |
উত্তরসূরী | জন অ্যাডামস |
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা | |
কাজের মেয়াদ ১৩ জুলাই, ১৭৯৮ – ১৪ ডিসেম্বর, ১৭৯৯ | |
নিয়োগদাতা | জন অ্যাডামস |
পূর্বসূরী | জেমস উইলকিনসন |
উত্তরসূরী | আলেকজান্ডার হ্যামিলটন |
কন্টিনেন্টাল আর্মির সর্বাধিনায়ক | |
কাজের মেয়াদ ১৫ জুন, ১৭৭৫ – ২৩ ডিসেম্বর, ১৭৮৩ | |
নিয়োগদাতা | কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস |
পূর্বসূরী | পদ প্রতিষ্ঠা |
উত্তরসূরী | হেনরি নক্স (সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) |
ভার্জিনিয়া থেকে ২য় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস-এর দূত | |
কাজের মেয়াদ ১০ মে, ১৭৭৫ – ১৫ জুন, ১৭৭৫ | |
পূর্বসূরী | পদ প্রতিষ্ঠা |
উত্তরসূরী | থমাস জেফারসন |
ভার্জিনিয়া থেকে ১ম কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস-এর দূত | |
কাজের মেয়াদ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৭৭৪ – ২৬ অক্টোবর, ১৭৭৪ | |
পূর্বসূরী | প্রতিষ্ঠাকালীন দূত |
উত্তরসূরী | পদ বাতিল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৭৩২-০২-২২)২২ ফেব্রুয়ারি ১৭৩২ ওয়েস্টমোরল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ব্রিটিশ আমেরিকা |
মৃত্যু | ১৪ ডিসেম্বর ১৭৯৯(1799-12-14) (বয়স ৬৭) মাউন্ট ভারনন, ভার্জিনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
সমাধিস্থল | ওয়াশিংটন পারিবারিক কবরস্থান মাউন্ট ভারনন, ভার্জিনিয়া |
দাম্পত্য সঙ্গী | মার্থা ড্যান্ড্রিজ কাস্টিস |
ধর্ম | শ্বরবাদ এপিসকোপাল |
পুরস্কার | কংগ্রেসনাল স্বর্ণ পদক কংগ্রেসের ধন্যবাদ |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | যুক্তরাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
শাখা | ভার্জিনিয়ার প্রাদেশিক মিলিশিয়া কন্টিনেন্টাল আর্মি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | মিলিশিয়া: ১৭৫২–১৭৫৮ কন্টিনেন্টাল আর্মি: ১৭৭৫-১৭৮৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী: ১৭৯৮-১৭৯৯ |
পদ | সেনাপ্রধান (মরণোত্তর পদোন্নতি: ১৯৭৬) |
কমান্ড | ভার্জিনিয়া উপনিবেশের সেনাবাহিনী কন্টিনেন্টাল আর্মি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী |
যুদ্ধ | ফরাসি ও ভারতীয় যুদ্ধ • জুমনভিয়া গ্লেনের যুদ্ধ • ফোর্ট নেসেসিটির যুদ্ধ • ব্রাডক অভিযান • মনঙ্গাহেলার যুদ্ধ • ফোর্বস অভিযান আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ • বোস্টন অভিযান • নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি অভিযান • ফিলাডেলফিয়া অভিযান • ইয়র্কটাউন অভিযান |
^ March 4 is the official start of the first presidential term. April 6 is when Congress counted the votes of the Electoral College and certified a president. April 30 is when Washington was sworn in. |
ওয়াশিংটন উপনিবেশিক ভার্জিনিয়ার এক ধনাট্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার তামাক চাষ এবং দাস ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিল। তিনি পরবর্তীতে উত্তরাধিকার সূত্রে তা লাভ করেন। তার যৌবনে তিনি উপনিবেশিক মিলিশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ফরাসি ও ভারতীয় যুদ্ধের প্রথম ভাগ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। ১৭৭৫ সালে দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস মার্কিন বিপ্লবের সময় তাকে কন্টিনেন্টাল আর্মির সর্বাধিনায়ক পদে পদোন্নতি প্রদান করেন। ওয়াশিংটন ১৭৭৬ সালে ব্রিটিশদের বোস্টন থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য করে, কিন্তু পরের বছর তিনি ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হন এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রায় ধরা পড়ে যান। শীতকালের মাঝামাঝিতে ডিলাওয়্যার নদী পাড় হয়ে তিনি ট্রেন্টন এবং প্রিন্সটনের যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করেন এবং নিউ জার্সি পুনঃদখল করেন। তার কৌশলে কন্টিনেন্টাল সৈন্যদল ১৭৭৭ সালে সারাটোগায় এবং ১৭৮১ সালে ইয়র্কটাউনে দুটি প্রধান ব্রিটিশ সৈন্যদলকে বন্দী করতে সমর্থ হয়। ইতিহাসবেত্তাগণ ওয়াশিংটনকে তার জেনারেল নির্বাচন এবং তত্ত্বাবধান; সেনাদের নির্দেশ প্রদান; কংগ্রেস, রাজ্য সরকার ও তাদের মিলিশিয়ার সাথে সমন্বয়; এবং যুদ্ধের রসদ, সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষণের জন্য তার উচ্চ-প্রশংসা করেন। যুদ্ধে ওয়াশিংটন
১৭৮৩ সালে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর, ওয়াশিংটন ক্ষমতা দখল না করে সর্বাধিনায়ক পদ থেকে অব্যহতি নেন, যা মার্কিন গনপ্রজাতন্ত্র প্রণয়নে তার অঙ্গীকারের প্রমাণ।[3] ১৭৮৭ সালে তিনি ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত সাংবিধানিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এই সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়। ওয়াশিংটন তার নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য প্রশংসিত ছিলেন এবং ইলেকটোরাল কলেজের প্রথম দুটি নির্বাচনে সর্বসম্মতভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।[4] ১৭৮৯ সালে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তিনি বিদ্রোহী অংশসমূহ একত্রিত করার কাজ করেন। তিনি সকল ফেডারেল এবং রাজ্যের সকল ঋণ পরিশোধের জন্য আলেকজান্ডার হ্যামিলটনের অনুষ্ঠানের সমর্থন দেন, সরকারের একটি স্থায়ী আসন প্রতিষ্ঠা করেন, একটি কার্যকর করব্যবস্থা চালু করেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।[5] দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি থাকার পর তিনি অবসরে যান। দুই মেয়াদে এই অবসরের রীতি ১৯৪০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চলে।
তার মৃত্যুর পর ভার্জিনিয়ার তৃতীয় হেনরি লি ওয়াশিংটনের প্রশংসা করে বলেন, "যুদ্ধে প্রথম, শান্তিতে প্রথম এবং তার জনগণের হৃদয়ে প্রথম।"[6] তিনি জীবিত অবস্থায় এবং মৃত্যুর পরও পরম পূজনীয়। সমালোচকদের এবং জনগণের উপর করা জরিপে ফলাফলে তিনি সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সেরা তিন রাষ্ট্রপতির একজন হিসেবে স্থান অধিকার করেছেন।