ফিফা কংগ্রেস হলো আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফেদেরাসিওঁ অ্যাঁতের্নাসিওনাল দ্য ফুৎবল আসোসিয়াসিওঁ‌-এর (ফরাসি: Fédération Internationale de Football Association; যা সাধারণত ফিফা (/ˈffə/) নামে পরিচিত) সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। ফিফা হল ফুটবল, ফুটসাল এবং সৈকত ফুটবলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কংগ্রেস "সাধারণ" অথবা "বিশেষ" হতে পারে।

প্রতি বছর একটি সাধারণ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়, ফিফা কাউন্সিল (পূর্বে নির্বাহী কমিটি) দ্বারা যেকোন সময় ফিফার এক পঞ্চমাংশ সদস্যের সহায়তায় একটি বিশেষ কংগ্রেস আহবান করা যেতে পারে।[1]

ফিফার ২১১ সদস্যের প্রত্যেকের কংগ্রেসে একটি করে ভোট রয়েছে। ফিফার সদস্যরা বিশ্বকাপ আয়োজক এবং ফিফার সভাপতির জন্য প্রার্থীদের প্রস্তাব করতে পারেন। ফিফা সভাপতি নির্বাচন এবং ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ নির্বাচন ফিফা বিশ্বকাপের পরের বছর কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত হয়।[2]

ইতিহাস

১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি বছর ফিফা কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এর পূর্বে প্রতি দুই বছর অন্তর এটি অনুষ্ঠিত হতো। প্রথমদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯১৫ হতে ১৯২২ এবং ১৯৩৯ হতে ১৯৪৫ সালের মধ্যে কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়নি। ১ম, ৩য়, ১২তম, ২৯তম, ৩০তম, ৩০তম, ৩৯তম, ৫১তম, ৫৩তম, ৬১তম এবং ৬৫তম কংগ্রেসে ফিফা সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯৬১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশেষ কংগ্রেস স্ট্যানলি রুসকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে।[3] ২০১৬ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি তারিখে জুরিখে অনুষ্ঠিত ২০১৬ ফিফা বিশেষ কংগ্রেস জান্নি ইনফান্তিনোকে নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে।[4] মাত্র পাঁচটি নির্বাচনে দুই অথবা ততোধিক প্রার্থী ছিল: ৩৯তম (১৯৭৪), ৫১তম (১৯৯৮), ৫৩তম (২০০২), ৬৫তম (২০১৫), এবং ২০১৬ সালের অসাধারণ কংগ্রেস

কংগ্রেসের তালিকা

  সভাপতি নির্বাচনের জন্য আয়োজিত কংগ্রেস
* বিশেষ কংগ্রেস
  বিশ্বকাপ আয়োজক নির্বাচনের জন্য আয়োজিত কংগ্রেস
আরও তথ্য নং, বছর ...
নং[5] বছর শহর সদস্য
১৯০৪ তৃতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র প্যারিস
১৯০৫
১৯০৬ সুইজারল্যান্ড বের্ন
১৯০৭ নেদারল্যান্ডস আমস্টারডাম ১২
১৯০৮ অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি ভিয়েনা ১৬
* ১৯০৮ বেলজিয়াম ব্রাসেল্‌স
১৯০৯ অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি বুদাপেস্ট ১৩
১৯১০ ইতালি মিলান ১২
১৯১১ জার্মানি ড্রেসডেন ১১
১৯১২ সুইডেন স্টকহোম ১৭
১০ ১৯১৩ ডেনমার্ক কোপেনহেগেন ১২
১১ ১৯১৪ নরওয়ে ক্রিস্টিয়ানিয়া (অসলো) ১৭
১২ ১৯২৩ সুইজারল্যান্ড জেনেভা ১৭
১৩ ১৯২৪ তৃতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র প্যারিস ২৭
১৪ ১৯২৫ প্রথম চেকোস্লোভাক প্রজাতন্ত্র প্রাগ ২২
১৫ ১৯২৬ ইতালি রোম ২৩
১৬ ১৯২৭ ফিনল্যান্ড হেলসিঙ্কি ২১
১৭ ১৯২৮ নেদারল্যান্ডস আমস্টারডাম ২৯
১৮ ১৯২৯ স্পেন বার্সেলোনা ২৩
১৯ ১৯৩০ হাঙ্গেরি বুদাপেস্ট ২৭
২০ ১৯৩১ জার্মানি বার্লিন ২৫
২১ ১৯৩২ সুইডেন স্টকহোম ২৯
২২ ১৯৩৪ ইতালি রোম ২৭
২৩ ১৯৩৬ জার্মানি বার্লিন ৩৭
২৪ ১৯৩৮ তৃতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র প্যারিস ৩০
২৫ ১৯৪৬ লুক্সেমবুর্গ লুক্সেমবুর্গ ৩৪
২৬ ১৯৪৮ ইংল্যান্ড লন্ডন ৪৮
২৭ ১৯৫০ ব্রাজিল রিউ দি জানেইরু ৩৫
২৮ ১৯৫২ ফিনল্যান্ড হেলসিঙ্কি ৫৬
* ১৯৫৩ ফ্রান্স প্যারিস ৪৮
২৯ ১৯৫৪ সুইজারল্যান্ড বের্ন ৫২
৩০ ১৯৫৬ পর্তুগাল লিসবন ৫৭
৩১ ১৯৫৮ সুইডেন স্টকহোম ৬২
৩২ ১৯৬০ ইতালি রোম ৬৯
* ১৯৬১ ইংল্যান্ড লন্ডন ৬৭
৩৩ ১৯৬২ চিলি সান্তিয়াগো ৫৯
৩৪ ১৯৬৪ জাপান টোকিও ৯৯
৩৫ ১৯৬৬ ইংল্যান্ড লন্ডন ৯৪
৩৬ ১৯৬৮ মেক্সিকো গুয়াদালাহারা ৭৮
৩৭ ১৯৭০ মেক্সিকো মেক্সিকো সিটি ৮৬
৩৮ ১৯৭২ ফ্রান্স প্যারিস ১০২
৩৯ ১৯৭৪ পশ্চিম জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট ১২২
৪০ ১৯৭৬ কানাডা মন্ট্রিয়ল ১০৮
৪১ ১৯৭৮ আর্জেন্টিনা বুয়েনোস আইরেস ১০৭
৪২ ১৯৮০ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ১০৩
৪৩ ১৯৮২ স্পেন মাদ্রিদ ১২৭
৪৪ ১৯৮৪ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ১১২
৪৫ ১৯৮৬ মেক্সিকো মেক্সিকো সিটি ১১১
৪৬ ১৯৮৮ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ১১১
৪৭ ১৯৯০ ইতালি রোম ১৩০
৪৮ ১৯৯২ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ১১৮
৪৯ ১৯৯৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিকাগো ১৬৪
৫০ ১৯৯৬ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ১৮২
৫১ ১৯৯৮ ফ্রান্স প্যারিস ১৯৬
* ১৯৯৯ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লস অ্যাঞ্জেলেস ১৯৫
৫২ ২০০০ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ২০০
* ২০০১ আর্জেন্টিনা বুয়েনোস আইরেস ২০২
* ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া সিউল ২০২
৫৩ ২০০২ ২০২
* ২০০৩ কাতার দোহা ২০৪
৫৪ ২০০৪ ফ্রান্স প্যারিস ২০৩
৫৫ ২০০৫ মরক্কো মারাক্কেশ ২০৩
৫৬ ২০০৬ জার্মানি মিউনিখ ২০৭
৫৭ ২০০৭ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ২০৬
৫৮ ২০০৮ অস্ট্রেলিয়া সিডনি ২০০
৫৯ ২০০৯ বাহামা দ্বীপপুঞ্জ নাসাউ ২০৫
৬০ ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা জোহানেসবার্গ ২০৭
৬১ ২০১১ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ২০৮
৬২ ২০১২ হাঙ্গেরি বুদাপেস্ট ২০৯
৬৩ ২০১৩ মরিশাস মরিশাস ২০৮
৬৪ ২০১৪ ব্রাজিল সাও পাওলো ২০৯
৬৫ ২০১৫ সুইজারল্যান্ড জুরিখ ২১০
* ২০১৬ ২০৭
৬৬ ২০১৬ মেক্সিকো মেক্সিকো সিটি ২০৯
৬৭ ২০১৭ বাহরাইন মানামা[6] ২১১
৬৮ ২০১৮ রাশিয়া মস্কো ২১০
৬৯ ২০১৯ ফ্রান্স প্যারিস ২১১
৭০ ২০২০ অনলাইন কংগ্রেস[টীকা 1] ২১১
৭১ ২০২১ অনলাইন কংগ্রেস[টীকা 2] ২১১
৭২ ২০২২ কাতার দোহা ২১০
৭৩ ২০২৩ রুয়ান্ডা কিগালি অনির্ধারিত
৭৪ ২০২৪ জাপান ওসাকা অনির্ধারিত
বন্ধ

বিশেষ কংগ্রেস

মোট আটটি বিশেষ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে: ১৯০৮ (ব্রাসেলস), ১৯৫৩ (প্যারিস), ১৯৬১ (লন্ডন), ১৯৯৯ (লস অ্যাঞ্জেলেস), ২০০১ (বুয়েনোস আইরেস), ২০০২ (সিউল), ২০০৩ (দোহা) এবং ২০১৬ (জুরিখ)।[11] ২০১৬ সালের বিশেষ কংগ্রেসে ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার তার উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তার পদে বহাল থাকেন।[12] তবে, তাকে বরখাস্ত করার কারণে, ভারপ্রাপ্ত ফিফা সভাপতি, ইসা হায়াতু ফিফার দায়িত্বে ছিলেন।[13]

টীকা

  1. ৭০তম ফিফা কংগ্রেস (যা মূলত ২০২০ সালের ৫ই জুন তারিখে আদ্দিস আবাবাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল)[7] ইথিওপিয়ায় কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে অনলাইন আয়োজন হিসেবে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।[8]
  2. ৭০১তম ফিফা কংগ্রেস (যা মূলত ২০২১ সালের মে তারিখে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল)[9] জাপানে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২১ সালের ২১শে মে তারিখে অনলাইন আয়োজন হিসেবে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।[10]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.