উভকামিতা বলতে উভয় লিঙ্গ অর্থাৎ পুরুষ ও নারী উভয়ের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করাকে বোঝায়।[1]
উভকামিতা পরিভাষাটি নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতি যৌন বা রোমান্টিক অনুভূতি নির্দেশক মানব আকর্ষণকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়[2][3][4] এবং এই ধারণাটি বিপরীতকামিতা ও সমকামিতার সঙ্গে উভকামিতা যৌন অভিমুখিতার প্রধান তিনটি বর্গের অন্যতম, যা সমান্তরাল যৌনপ্রবৃত্তির অংশ।[5][6] উভকামী যৌন পরিচয়ে উভয় লিঙ্গের প্রতি সমান যৌন আকর্ষণের প্রয়োজন পড়ে না; সাধারণভাবে যাদের এক লিঙ্গের চেয়েও বেশি অপর কোন লিঙ্গের প্রতি অস্পষ্ট কিন্তু অনন্য নয় এমন যৌন পছন্দনীয়তা রয়েছে তারাও নিজেদেরকে উভকামী হিসেবে চিহ্নিত করে।[7] মানবসভ্যতার বিভিন্ন সমাজব্যবস্থায়[8] এবং প্রাণীরাজ্যের অন্যত্রও[9][10][11] লিখিত ইতিহাসের সমগ্র সময়কাল জুড়ে উভকামিতার উপস্থিতি লক্ষিত হয়। তবে হেটেরোসেক্সুয়ালিটি ও হোমোসেক্সুয়ালিটি শব্দ দুটির মত বাইসেক্সুয়ালিটি শব্দটিও মূলত ঊনবিংশ শতাব্দীতে উৎপন্ন হয়।[12]
গবেষণা
মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড বিশ্বাস করতেন যে "পৃথিবীর সব মানুষই আসলে উভকামী... এবং তাদের লিবিডো থাকে দুই লিঙ্গের পরিসীমায় বিন্যস্ত ...।"[13] ১৯৪০ সালে স্যান্ডর রাডো এবং তাকে দেখে আরও অনেক মনোবিশ্লেষক ফ্রয়েডের জন্মগত উভকামিতার বিশ্বাসটি প্রত্যাখ্যান করেন। রাডো দাবি করেন যে, মানুষর মধ্যে কোন জৈবিক উভকামিতা নেই।[14]
মধ্য-বিংশ শতাব্দীতে আলফ্রেড কিন্সে মানব যৌনতা সংক্রান্ত যে সমীক্ষাটি চালান, সেই সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে অনেক ব্যক্তিই বিপরীতকামী বা সমকামী শ্রেণিবিভাজনের আওতাভুক্ত নন; বরং তাদের যৌন অবস্থান এই দুই শ্রেণীর মাঝামাঝি কোথাও।[15]কিন্সে স্কেল অনুসারে যৌন আকর্ষণ ও আচরণ স্কেলটিতে ০ (একান্ত বিপরীতকামী) থেকে ৬ (একান্ত সমকামী) সাতটি দাগ বিদ্যমান। কিন্সের গবেষণা অনুযায়ী, অধিকাংশ মানুষই এই স্কেলে ১ থেকে ৫ (অর্থাৎ, বিপরীতকামী থেকে সমকামী) দাগের মধ্যে পড়েন। কিন্সের পদ্ধতি সমালোচিত হলেও মানব যৌনতার অনবচ্ছেদ ব্যবস্থায় এটির ব্যাপক প্রয়োগ ঘটানো হয়ে থাকে। তবে, উভকামীরা অনেক সময়ই শুধু প্রথাগত সমাজ নয়, সমকামী এবং বিষমকামী – দু দল থেকেই বঞ্চনার স্বীকার হয়। বিষমকামী তো বটেই এমনকি সমকামী মানুষদেরও এমন ধারণাই বদ্ধমূল যে, বিপরীতকামিতার বাইরে ‘সমান্তরাল যৌনপ্রবৃত্তি’ বা বিপরীতকামী-সমকামী অনবচ্ছেদ বলতে কেবল সমকামিতাকেই বোঝায়। ব্যাঙ্গালোরের ‘পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টি’র ক্ষেত্র-সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে সমকামীরা উভকামীদের শুধু প্রত্যাখ্যানই করে না, ঘৃণাও করে।
Kenneth J. Dover. Greek Homosexuality, New York; Vintage Books, 1978. আইএসবিএন০-৩৯৪-৭৪২২৪-৯
Thomas K. Hubbard. Homosexuality in Greece and Rome, U. of California Press, 2003. আইএসবিএন০-৫২০-২৩৪৩০-৮
Herald Patzer. Die Griechische Knabenliebe [Greek Pederasty], Wiesbaden: Franz Steiner Verlag, 1982. In: Sitzungsberichte der Wissenschaftlichen Gesellschaft an der Johann Wolfgang Goethe-Universität Frankfurt am Main, Vol. 19 No. 1.
W. A. Percy III. Pederasty and Pedagogy in Archaic Greece, University of Illinois Press, 1996. আইএসবিএন০-২৫২-০২২০৯-২
দেশভিত্তিক
Stephen O. Murray and Will Roscoe, et al. Islamic Homosexualities: Culture, History, and Literature, New York: New York University Press, 1997. আইএসবিএন০-৮১৪৭-৭৪৬৮-৭
Gary Leupp. Male Colors: The Construction of Homosexuality in Tokugawa Japan, Berkeley, University of California Press, 1995. আইএসবিএন০-৫২০-২০৯০০-১
Tsuneo Watanabe & Jun'ichi Iwata. The Love of the Samurai. A Thousand Years of Japanese Homosexuality, London: GMP Publishers, 1987. আইএসবিএন০-৮৫৪৪৯-১১৫-৫
আধুনিক পশ্চিম
Bi Any Other Name: Bisexual People Speak Out by Loraine Hutchins, Editor & Lani Ka'ahumanu, Editor আইএসবিএন১-৫৫৫৮৩-১৭৪-৫
Getting Bi: Voices of Bisexuals Around the World by Robyn Ochs, Editor & Sarah Rowley, Editor আইএসবিএন০-৯৬৫৩৮৮১-৪-X