আলেপ্পো (আরবি: ﺣﻠﺐ / ALA-LC: Ḥalab) সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর এবং আলেপ্পো মুহাফাযার (সিরিয়ার প্রদেশ) রাজধানী। এটি সিরিয়র উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এবং রাজধানী দামেস্ক থেকে ৩১০ কিলোমিটার দরে অবস্থিত। আলেপ্পোর জনসংখ্যা ২১৩২০০, এটি পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যেও অন্যতম বড় শহর। শতব্দীকাল ধরে আলেপ্পো সিরিয়ার সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এবং ইস্তানবুল ও কায়রোর পরে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ছিল।

দ্রুত তথ্য আলেপ্পোﺣﻠﺐ Ḥalab, দেশ ...
আলেপ্পো
ﺣﻠﺐ
Ḥalab
Thumb
আলেপ্পো শহর ও এর বিভিন্ন স্থাপনা

আলেপ্পো দূর্গ আলেপ্পোর প্রাচীন শহর এবং আল-মদিনা স্কয়ার
আলেপ্পোর বৃহৎ মসজিদ ব্যারন হোটেল
সেইন্ট ইলিয়াস ক্যাথিড্রাল কুয়েক নদী
আলেপ্পোর পরিদৃশ্য
ডাকনাম: আশ-শাহ্‌বা
Thumb
আলেপ্পো
আলেপ্পো
সিরিয়ায় অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩৬°১৩′ উত্তর ৩৭°১০′ পূর্ব
দেশ সিরিয়া
মুহাফাযাআলেপ্পো মুহাফাযা
জেলাসিমিয়ন
সরকার
  গভর্নরমোহাম্মাদ ওয়াহিদ আক্কাদ
  শহর পরিষদের প্রধানমোহাম্মাদ আয়মান হাল্লাক
আয়তন
  শহর১৯০ বর্গকিমি (৭০ বর্গমাইল)
উচ্চতা৩৭৯ মিটার (১,২৪৩ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০৪ আদমশুমারি)
  শহর২১,৩২,১০০
  জনঘনত্ব১১,২২১/বর্গকিমি (২৯,০৬০/বর্গমাইল)
  মহানগর২১,৮১,০৬১
সময় অঞ্চলইইটি (ইউটিসি+2)
  গ্রীষ্মকালীন (দিসস)EEST (ইউটিসি+3)
এলাকা কোডCountry code: 963
City code: 21
বিশেষণআলেপাইন (কম ব্যবহৃত আলেপ্পন, আলেপিয়ান)
ওয়েবসাইটwww.alp-city.org
Sources: Aleppo city area Sources: City population [1]
প্রাতিষ্ঠানিক নামআলেপ্পোর প্রাচীন শহর
ধরনসাংস্কৃতিক
মানদণ্ডiii, iv
মনোনীত১৯৮৬ (১০ম সভা)
সূত্র নং21
রাষ্ট্রসিরিয়া
অঞ্চলআরব রাষ্ট্র
বন্ধ

আলেপ্পো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর। প্রায় ষষ্ঠ খ্রিস্টপূর্ব থেকে মানুষ আলেপ্পোতে বসবাস করছে। সিরিয়ার তেল-আস-সাওদা এবং তেল-আল-আনসারি শহরে খননকাজের মাধ্যমে জানা গেছে যে, আলেপ্পোতে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে মানুষ বসবাস করছে। তখনকার সময়ে আলেপ্পো বাণিজ্যিক ও সামরিক ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন করেছিল। আলেপ্পোর এমন দীর্ঘ ইতিহাসের কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান- ভূমধ্যসাগর ও মেসোপটেমিয়া এই দুইজায়গার মাঝে যা বৈদেশিক বাণিজ্যের সহায়ক। এছাড়া সিল্ক রোডের শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে আলেপ্পোর উন্নতি হয়। এই সিল্ক রোড মধ্য এশিয়া এবং মেসোপটেমিয়ার মধ্যে দিয়ে চলে গেছে। ১৮৬৯ সালে যখন সুয়েজ খাল উদবোধন করা হয় তখন পণ্য আদান-প্রদান সমুদ্র দিয়ে নেয়া শুরু হয় এবং এর ফলে ক্রমান্বয়ে আলেপ্পোর গুরুত্ব কমতে থাকে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে আলেপ্পোর উত্তরের একটি অঞ্চল তুরস্কের কাছে সমর্পন করা হয়। এছাড়া ইরাকের মসুল শহরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনও তুরস্কের কাছে সমর্পন করা হয়। ১৯৪০ সালে আলেপ্পো তার সমুদ্র এবং তুরস্কের সাথে সরসরি যোগাযোগ হারায়। বিগত কয়েক দশকে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সিরিয়ার পৃথকীকরণের ফলে এ অবসথার আরো অবনতি হয়। কিন্তু এর ফলে প্রাচীন আলেপ্পো এবং এর মধ্যযুগীয় স্থাপত্য-ঐতিহ্য অনেকাংশে অক্ষত থাকে। সম্প্রতি আলেপ্পোকে ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

নাম উৎপত্তি

Thumb
আলেপ্পোর দুর্গ

আলেপ্পো নামটি বর্তমানে ইংলিশে বেশি ব্যবহৃত হয়। শহরটির প্রাচীন নাম খালপি বা খালিবন ছিল। গ্রিক ও রোমানদের কাছে শহরটি বেরোই নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া আলেপ্পোর আরেকটি প্রাচীন নাম হালাব, যা বর্তমানেও ব্যবহৃত হয়। তবে হালাব নামকরণের ইতিহাস এখনও মানুষের অজানা। কেউ কেউ ধারণা করেন, হালাব নামের অর্থ লোহা বা তামা হতে পারে। এর কারণ আলেপ্পো প্রাচীন সময়ে লোহা এবং তামার গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল।

ভূগোল ও জলবায়ু

আলেপ্পো ভূমধ্যসাগর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৩৮০ মিটার। সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্ত থেকে ৪৫ কিলোমিটার এর দূরত্ব। আলেপ্পোর উত্তরে এবং পশ্চিমে আবাদী জমি রয়েছে। এসব জমিতে জলপাই এর চাষ হয়। আলেপ্পোর পূর্বে সিরীয় মরুভূমি অবস্থিত। কিউইক নদীড় তীরে আলেপ্পো শহর গড়ে ওঠে। এই নদী আলেপ্পোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শহরের দক্ষিণ দিকে চলে গেছে। তবে আলেপ্পোর প্রাচীন অংশ নদীর বাম পাশে অবস্থিত। এটি আগে আটটি পর্বত দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। পর্বতগুলো হল তেল-আস-সাউদা, তেল-সাইসা, তেল-আস-সেফত্‌, তেল-আল-ইয়াসমিন, তেল-আল-আনসারি, আল-জাইলুম, বাহ্‌সিতা। এছাড়া পুরনো শহরটি একটি দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। দেয়ালটি পরব্ররতিতে ভেঙে ফেলা হয়। এই দেয়ালে নয়টি প্রবেশপথ ছিল।

১৯০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আলেপ্পো শহর অবস্থিত। বর্তমানে এটি মধ্য এশিয়ার অন্যতম ক্রমবর্ধমান শহর। ২০০১ সালে গৃহীত নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আলেপ্পোকে ৪২০ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত করা হবে। এই কাজ ২০১৫ সাল নাগাদ শেষ হবে। আলেপ্পোর জলবায়ু প্রধানত উষ্ণ। ভূমধ্যসাগরের তীড় ঘেষে অবস্থিত আলাভিত ও আমানুস পর্বত আলেপ্পোকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু হতে প্রতিহত করে। আলেপ্পোর গড় তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গড় বৃষ্টিপাত ৩৯৫ মিমি। ৮০ শতাংশ বৃষ্টিপাত অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। তুষারপাত খুব কম হয়। গড় আদ্রতা ৫৮%।

অর্থনীতি

প্রাচীন আমল থেকে আলেপ্পো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ভৌগোলিকভাবে আলেপ্পোর অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ভারত, টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর অঞ্চল থেকে বাণিজ্য বেশি হত। ইউরোপীয়রা মিশর ও লোহিত সাগরের দিয়ে বাণিজ্য শুরুর পূর্ব পর্যন্ত আলেপ্পো দিয়েই অধিনাগশ বাণিজ্য পরিচালিত হত।

আলেপ্পোর বাণিজ্যিক ইতিহাস অনেক পুরনো। আলেপ্পো ব্যবসায়িক সমিতি ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি আরব ও মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম প্রাচীন ব্যবসায়িক সমিতি। অনেক ইতিহাসবেত্তার মতে কনস্টান্টিনোপলকায়রোর পরে আলেপ্পো উসমানীয় সাম্রাজ্যের সর্বাধিক উন্নত বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী ছিল।

আলেপ্পো সিরিয়ার সবচেয়ে বড় নগর। এর অর্থনীতি তৈরি পোশাক, রাসায়নিক পণ্য, ওষুধ শিল্প, কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়া, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, পানীয়, প্রকৌশল এবং পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। আলেপ্পো দেশটির প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। এখানে দেশের উৎপাদিত পণ্যের ৫০ শতাংশের বেশি উৎপাদিত হয় এবং দেশটির মোট রপ্তানির ৫০% এরও বেশি আলেপ্পোর অবদান।[2]

আলেপ্পো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু ও পাথর উৎপাদন কেন্দ্র।[3] এখানকার বার্ষিক প্রক্রিয়াকৃত স্বর্ণ উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৮.৫ টন যা সমগ্র সিরিয়ার উৎপাদিত স্বর্ণের ৪০ শতাংশেরও অধিক।[4] আলেপ্পোর শিল্প নগর শেখ নাজার সিরিয়ার এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। আলেপ্পোর উত্তর-পূর্বে এটি ৪৪১২ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ২০১০ সালে এখানে ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক বিনিয়োগ হয়।[5] সরকার এখানে আরও হোটেল, প্রদর্শনী কেন্দ্র ও অন্যান্য সুবিধা সংবলিত স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। শহরের পুরনো অংশে কারু ও লোক শিল্পজাত পণ্য পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় বিখ্যাত আলেপ্পো সাবান পৃথিবীর প্রথম কঠিন সাবান।

আলেপ্পো সিরিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম ক্রমবর্ধমান নগর।[6] সিরিয়ার গ্রামাঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ আলেপ্পোতে আসছে অধিক উন্নত জীবিকার সন্ধানে। ফলে আলেপ্পোতে বাসস্থানের চাহিদাও বেড়ে গেছে। তাই আলেপ্পোতে অনেক আবাসিক ভবন ও স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। আলেপ্পোর বড় দুইটি নির্মাণ প্রকল্প হচ্ছেঃ প্রাচীন শহর পুনঃসংস্কার এবং কিউইক নদীর প্রবাহ পুনরায় খুলে দেয়া।

শিক্ষা

সিরিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে আলেপ্পোতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও এখানে প্রাদেশিক কলেজ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোতে সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ এবং আরব দেশগুলো থেকেও শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে আসে। আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০০০০। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮টি অণুষদ এবং ৮টি কারিগরী কলেজ রয়েছে।

পরিবহন

রেলপথ

আলেপ্পো রেলওয়ে স্টেশন সিরিয়ার সাথে উসমানীয় সাম্রাজ্য যুক্তকারী অন্যতম প্রধান রেল স্টেশন ছিল। এই রেললাইন তুরস্কের আঙ্কারাকে সিরিয়ার সাথে যুক্ত করেছে। সপ্তাহে দুইদিন আঙ্কারা থেকে দামেস্ক হয়ে এই পথে ট্রেন চলে। ঐতিহাসিক কারণে আলেপ্পোতে সিরীয় জাতীয় রেলওয়ের সদর দপ্তর অবস্থিত। তবে ট্রেনের গতি কম হওয়ায় বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ সড়কপথে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে চলাচল করে।

বিমানবন্দর

আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহরটির প্রধান বিমানবন্দর। এছাড়া এই বিমানবন্দর সিরিয়ান আরব এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বিমানবন্দরের বিংশ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত হয়। ১৯৯০ এর দশকে এটির সংস্কার কাজ করা হয় এবং একটি নতুন টার্মিনাল নির্মিত হয়। ঐ অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রমের কারণে ২০১৩ সালের শুরু পর্যন্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ ছিল।

সংস্কৃতি

শিল্প

Thumb
অষ্টাদশ শতকে আলেপ্পোর কতিপয় সঙ্গীতশিল্পী

আলেপ্পোকে আরব বিশ্বের সাংস্কৃতিক এবং ক্লাসিক সঙ্গীতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আলেপ্পাইন মুওয়াশ্বাস, কুদুদ্‌স এবং মাকাম হল এখানকার সঙ্গীতের বিখ্যাত কিছু ধারা। এগুলো প্রধানত কিছু ধর্মীয় এবং ধর্ম-নিরপেক্ষ কাব্যিক শিল্প থেকে উৎসারিত হয়েছে। আলেপ্পোর অনেক শিল্পী আরবি ক্লাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের অগ্রনায়ক হিসেবে বিবেচিত। আরব সঙ্গীতের বিখ্যাত শিল্পী যেমন সাঈদ দারভিশ, মোহাম্মেদ আব্দেল ওয়াহাব আলেপ্পোর সমৃদ্ধ সঙ্গীত-সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিতে এবং এর ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা নিতে আলেপ্পো পরিদর্শনে আসেন। আলেপ্পো এর সমঝদার শোতার জন্যেও সুপরিচিত। এরা সাম্মি নামে পরিচিত।[7] আলেপ্পোর সঙ্গীতশিল্পীরা বলে থাকেন যে কোন বিখ্যাত আরব শিল্পী সাম্মিদের স্বীকৃতি ছাড়া খ্যাতি অর্জন করেনি।[8] আলেপ্পোতে প্রতি বছর বেশ কিছু সঙ্গীট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। শহরের সিটাডেল অ্যাম্ফিথিয়েটারে এসব অণুষ্ঠান হয়। এগুলোড় মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অণুষ্ঠান হল সিরিয়ান সঙ্গীত উৎসব, সিল্ক রোড উৎসব, খান-আল-হারির উৎসব।

রন্ধনশৈলী

সিরীয় রন্ধনশৈলী, বিশেষ করে আলেপ্পোর রান্নায় অনেক প্রকারের খাবার প্রচলিত। আলেপ্পোর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জলপাই, বাদাম এবং ফল জন্মে। ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ২০০৭ সালে আলেপ্পোকে রন্ধন পুরস্কার দেয়। প্রকৃতপক্ষে প্যারিসের আগে থেকেই আলেপ্পো রন্ধনশিল্পের রাজধানী ছিল। এর কারণ আলেপ্পোতে আরব বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায় বসবাস করত এবং আলেপ্পো উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এদের বৈচিত্রময় খাদ্যাভ্যাস আলেপ্পোর রন্ধনশিল্পে অবদান রাখে।

খেলাধুলা

Thumb
আলেপ্পো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

আলেপ্পোর সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হল ফুটবল। আলেপ্পোতে অনেক ফুটবল ক্লাব রয়েছে। এদের মধ্যে আল-ইত্তিহাদ আলেপ্পো এবং হুরিয়া এফসি সিরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল লীগে খেলে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফুটবল ক্লাব হল আল-ইয়ারমোক এসসি আলেপ্পো, জালা এফসি এবং অরুবা এসসি আলেপ্পো। বাস্কেটবল আলেপ্পোর অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। সিরিয়ার শীর্ষ ১২টি পুরুষদের বাস্কেটবল ক্লাবের মধ্যে ৪টি আলেপ্পোর। এছাড়া আলেপ্পোর ৫টি মহিলা বাস্কেটবল ক্লাব রয়েছে। আলেপ্পোতে ফুটবল, বাস্কেটবল ছাড়াও টেনিস, হ্যান্ডবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস এবং সাঁতারের ক্লাব রয়েছে।

সিরিয়ার সবচেয়ে বড় খেলার ভেন্যু আলেপ্পোতে অবস্থিত। এর নাম আলেপ্পো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে ৭৫,০০০ দর্শক একসাথে বসে খেলা দেখতে পারে।[9] অন্যান্য ভেন্যুর মধ্যে আল-হামাদানিয়া স্টেডিয়াম, আলেপ্পো ৭ এপ্রিল স্টেডিয়াম, রিয়াত আল-শাবাব স্টেডিয়াম, আল-আসাদ স্পোর্টস হল, আল-হামাদানিয়া স্পোর্টস হল, আল-হামাদানিয়া টেনিস কোর্ট, বাসিল আল-আসাদ অলিম্পিক পুল উল্লেখযোগ্য।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.