![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/bn/thumb/8/81/%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC_%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE_%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%259A%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B0_%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%25A6%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%25A7.jpg/640px-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC_%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE_%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%259A%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B0_%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%25A6%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%25A7.jpg&w=640&q=50)
২০২১ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সংঘটিত হয়। ১৩ই অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৮ই অক্টোবর পর্যন্ত সর্বশেষ এ ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়।[5][2][1] ১৩ই অক্টোবর বুধবার দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিনে বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘির উত্তরপাড় পূজামণ্ডপে সকালবেলা সেখানে রাখা একটি হনুমান মূর্তির হাঁটুর উপর ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কুরআন রাখার খবর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উক্ত পূজামণ্ডপে হামলা করা হয়।[6] হামলার সময় প্রতিমা, পূজামণ্ডপ ভাঙচুর ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মারধর করা হয়।[7][8][9]হামলাকারীরা বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার নানুয়া দিঘির উত্তরপাড় পূজামণ্ডপের দুর্গা প্রতিমাটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দেয়।[10] কুমিল্লায় সহিংসতার পর হামলাকারীরা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়াতে ও বান্দরবানের লামায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে ভাঙচুর করে।[11] কুরআন অবমাননার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে কমপক্ষে ১৫টি জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।[12]
![]() |
২০২১ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা | ||||
---|---|---|---|---|
বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ ও হিন্দু-বিরোধী সহিংসতা-এর অংশ | ||||
![]() ২০২১ সালে কুমিল্লার পূজামন্ডবে সংগঠিত সহিংসতার খন্ডচিত্র | ||||
তারিখ | ১৩ অক্টোবর, ২০২১- ১৮ অক্টোবর, ২০২১[1] | |||
অবস্থান | সমগ্র বাংলাদেশ | |||
কারণ | মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার গুজব | |||
প্রক্রিয়াসমূহ | বিক্ষোভ, পাথর নিক্ষেপ, সম্মুখ মারামারি, ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর[2] | |||
নাগরিক সংঘাতের দলসমূহ | ||||
| ||||
নেতৃত্ব দানকারীগণ | ||||
| ||||
ক্ষয়ক্ষতি | ||||
নিহত | ১০ জন[3] | |||
গ্রেপ্তার | ৪৩+[4] |
বাংলাদেশের কুমিল্লায় পূজামণ্ডপ, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সরকার ২২টি জেলায় বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করে।[12] সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ‘উসকানি দিয়ে’ মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে।[4] ঘটনার পর ছয়টি জেলায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ এবং ১৫ অক্টোবর সারা দেশের ফোরজি ও থ্রিজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়; যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেবা বিঘ্নের জন্য কারিগরি ত্রুটির কথা উল্লেখ করে।[13] পূজামণ্ডপটিতে কে বা কারা কুরআন রেখেছিল, তাদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।[14] কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও ছড়ানোর জন্য ফয়েজ আহমেদকে ১৩ অক্টোবর রাতে ও গোলাম মাওলাকে ১৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে।[15][16]