দক্ষিণ কোরিয়ায় কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
দক্ষিণ কোরিয়ায় কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর প্রাদুর্ভাব / From Wikipedia, the free encyclopedia
২০১৯-২০ করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীটির প্রথম ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০শে জানুয়ারী ২০২০ নাগাদ হয়েছিল যেটি পৃথিবীতে প্রথম চীন থেকে শুরু হয়।[2] ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এই ছোঁয়াচে রোগে দেশে মোট ২০টি সংক্রমণ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০-র মধ্যে ৫৮ জন[3] কিম্বা ৭০ জনের[4] মতো সংক্রমিত হন। কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্র ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত দেশে মোট ৩৪৬টি সংক্রমণ নিশ্চিত করে। হঠাৎ করেই সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংখ্যাটা বেড়ে ওঠার কারণ হিসেবে দক্ষিণ কোরীয় সরকার "রুগী নং ৩১" কে চিহ্নিত করে, যিনি দেগুর শিঞ্ছঞ্জি চার্চের জমায়েতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[4][5]
এই নিবন্ধটিতে en.wikipedia থেকে 2020 coronavirus pandemic in South Korea-এর অনুবাদ রয়েছে। |
দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১৯–২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী | |
---|---|
রোগ | কোভিড-১৯ |
ভাইরাসের প্রজাতি | সার্স-কোভ-২ |
স্থান | দক্ষিণ কোরিয়া |
প্রথম সংক্রমণের ঘটনা | ইঞ্চন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর |
আগমনের তারিখ | ২০ জানুয়ারী ২০২০ (৪ বছর, ৫ মাস, ৩ সপ্তাহ ও ১ দিন) |
উৎপত্তি | উহান, হুপেই, চীন[1] |
নিশ্চিত আক্রান্ত | ১০,৫১২ |
সুস্থ | ৭,৩৬৮ |
মৃত্যু | ২১৪ |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | |
ncov | |
সন্দেহভাজন আক্রান্ত‡ | ১৩,৭৮৮ |
‡ Suspected cases have not been confirmed as being due to this strain by laboratory tests, although some other strains may have been ruled out. |
কোভিড-১৯ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তৎক্ষণাৎ সবরকমের জন সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং দেগু শহরে সেনাবাহিনীর কয়েকশ কর্মীবৃন্দকে সঙ্গরোধ করা হয়।[6][7] ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২০ নাগাদ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধের উদ্দেশ্যে, দক্ষিণ কোরিয়া হুবেই থেকে ভ্রমণকারী বিদেশীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে দেয়।[8][9]
৯ই এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা ১০,৪২৩ জন, এদের মধ্যে ২০৪ জনের ভাইরাস সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়।[10] ৪,৯৪,৭১১ জন করোনা সংক্রমণের জন্য পরীক্ষিত হন এবং সারাদেশে আক্রান্তের মৃত্যুহার হচ্ছে ১.৯৫%, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্বব্যাপী ক্ষেত্রে ৪.৩৪% মৃত্যুর হারের চেয়েও কম।[11]
দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান[12], ভিয়েতনাম[13] ও সিঙ্গাপুর[14] এই চারটি দেশ সম্বন্ধে মনে করা হচ্ছে যে তারা বিশ্বের বৃহত্তম ও সেরার সেরা একটি মহামারী নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সঞ্চালনা করতে সক্ষম হয়। বৃহত্তর লোকসংখ্যার একাংশের করোনা সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দ্বারা এবং সংক্রমণ পজিটিভ আসার উপলক্ষে সংক্রমিত ব্যক্তিগণকে সঙ্গরোধ করার ব্যবস্থা নেয় সরকার। সম্পূর্ণ লকডাউনের পরিবর্তে সংক্রমিতদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে যারা বিগত কয়েকদিনে সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসেছিল বরং সেই সমস্ত ব্যক্তিদের কেবলমাত্র চিহ্নিত করে আলাদা করে রাখে সরকার।[15][16] এতে দক্ষিণ কোরীয় সমাজের স্বাভাবিক জীবনে ক্ষুদ্রতম প্রভাব মাত্রই পড়ে।[15][17][18] মার্চের মাঝামাঝি দক্ষিণ কোরিয়া সফলভাবে শিঞ্ছঞ্জি মহামারীর গুচ্ছকে পুরোপুরিভাবে আটকে ফেলতে পারে। যদিও, শিঞ্ছঞ্জি মহামারীর গুচ্ছ ছাড়াও করোনার সংক্রমণটি একেবারে থেমে যায়না এবং দেশের অন্যান্য প্রান্তে নতুন কেস আসতে দেখা যায়।[19]