২০১৩ বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী সহিংসতা
সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা / From Wikipedia, the free encyclopedia
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে একাত্তরের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ডের সাজা প্রদান করে। এই সাজার পরে জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলা চালায়। হিন্দু সম্পত্তি লুট করা হয়, হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং হিন্দু মন্দিরগুলিতে ভাঙচুর করা হয় ও অগ্নি সংযোগ করা হয়।[2][3] সংখ্যালঘুদের উপর হামলার জন্য সরকার জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করলেও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব কোনও ভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। সংখ্যালঘু নেতারা হামলার প্রতিবাদ করেন এবং ন্যায়বিচারের আবেদন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইন প্রয়োগকারীদের এই হামলার তদন্ত শুরু করার নির্দেশ প্রদান করে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর জামায়াতের আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।[4][5]
২০১৩ বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী সহিংসতা | |
---|---|
স্থান | বাংলাদেশ |
তারিখ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ – ২২ জুন ২০১৩ |
লক্ষ্য | বাঙালি হিন্দু |
হামলার ধরন | গুলি চালানো, লুটপাট করা; হিন্দু মন্দির, প্রতিমা, দোকান এবং ঘর ভাঙচুর করা[1] |
ব্যবহৃত অস্ত্র | তরোয়াল, পেট্রোল, ডিজেল |
ভুক্তভোগী | বাঙালি হিন্দু |
হামলাকারী দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
কারণ | আইসিটি দ্বারা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদান |