Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০০৮ অলিম্পিক গেমসে প্রথমবার অন্তর্ভুক্ত হওয়া পুরুষদের ১০০মিটার বাটারফ্লাই বিভাগের প্রতিযোগিতা আগস্টের ১৪ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে বেইজিং ন্যাশনাল অ্যাকুয়াটিক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সাঁতারের এই বিভাগে বাটারফ্লাই স্ট্রোকে সাঁতার কাটা হয়। যেহেতু, অলিম্পিকে সাঁতারের পুলের দৈর্ঘ্য ৫০মিটার হয়, এই প্রতিযোগিতায় পুলটি দুইবার পার করতে হয়।
XXIX অলিম্পিয়াড খেলায় পুরুষদের ১০০মিটার বাটারফ্লাই | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
স্থান | বেইজিং ন্যাশনাল অ্যাকুয়াটিক সেন্টার | ||||||||||||
তারিখ | ১৪ই আগস্ট (হিট) ১৫ই আগস্ট (ফাইনাল) ১৬ই আগস্ট (ফাইনাল) | ||||||||||||
প্রতিযোগী | ৫১টি দেশের ৬৬ জন প্রতিযোগী | ||||||||||||
বিজয়ীর সময় | ৫০.৫৮ (OR) | ||||||||||||
পদকবিজয়ী | |||||||||||||
| |||||||||||||
সার্বিয়ান-আমেরিকান মিলোরাড ক্যাভিচের পিছন থেকে এসে আমেরিকান মাইকেল ফেপলস সেকেন্ডের এক শতাংশ সময়ের ব্যবধানে জয়ী হন। অন্যদিকে বিশ্ব রেকর্ডধারী আমেরিকান ইয়ান ক্রুকারকে হারিয়ে অস্ট্রেলীয় অ্যান্ড্রু লটারস্টেইন জেতেন ব্রোঞ্জ মেডেল - ব্যবধান সেই সেকেন্ডের এক শতাংশ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ক্যাভিচ মন্তব্য করেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলা হিসাবে সাঁতারের বৃহত্তম স্বার্থে ফেলপসকে পরাজিত করা উচিত।[1] ফেলপসের এই জয় সেই হিসাবে বিশেষ তাৎপর্য্যপূর্ণ। তবে সেকেন্ডের ভগ্নাংশে ফেলপসের জয়ের ফলে সার্বিয়ান দল প্রতিবাদ জানায়, কিন্তু আন্তর্জাতিক সাঁতার ফেডারেশন (FINA) খেলার ভিডিও পুনর্বিবেচনা করে ঘোষণা করে ফেলপসই আগে দেওয়াল স্পর্শ করে বিজয়ী হয়েছেন।[1]
এই টুর্নামেন্টে এটি ছিল ফেলপসের সপ্তম স্বর্ণপদক। এর ফলে তিনি মার্ক স্পিৎজের একটি অলিম্পিকে সর্বাধিক স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ডকে স্পর্শ করেন।[2] অন্যান্য আরও রেকর্ড ভাঙে, যেমন অলিম্পিক রেকর্ড, পাঁচটি মহাদেশীয় রেকর্ড এবং বেশ কিছু জাতীয় রেকর্ড।[3]
২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সাঁতারের বিভাগসমূহ | ||||
---|---|---|---|---|
ফ্রিস্টাইল | ||||
৫০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
১০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
২০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
৪০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
৮০০মিটার | মহিলা | |||
১৫০০মিটার | পুরুষ | |||
ব্যাকস্ট্রোক | ||||
১০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
২০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
ব্রেস্টস্ট্রোক | ||||
১০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
২০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
বাটারফ্লাই | ||||
১০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
২০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
ব্যক্তিগত মেডলি | ||||
২০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
৪০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
ফ্রিস্টাইল রিলে | ||||
৪×১০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
৪×২০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
মেডলি রিলে | ||||
৪×১০০মিটার | পুরুষ | মহিলা | ||
ম্যারাথন | ||||
১০কিমি | পুরুষ | মহিলা |
২০০৮ গেমসে ১০০মিটার বাটারফ্লাই বিভাগে যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি ছিল ৫২.৮৬সেকেন্ড(A মান) এবং ৫৪.৭০সেকেন্ড (B মান)[4]। যে সকল NOC-এর দুই বা ততোধিক সাঁতারু A মানের তারা যে কোনো দুজন A মানের প্রতিযোগীকে পাঠাতে পারে; অন্যথায়, তারা একজন B মানের সাঁতারুকে পাঠাতে পারে। এই সময় করার জন্য একজন প্রতিযোগীকে ১৭ই মার্চ ২০০৭ থেকে ১৫ই জুলাই ২০০৮-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় অলিম্পিক ট্রায়ালে বা মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বা কোনো আন্তর্জাতীক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়।[4] নিম্নলিখিত NOC গুলি দু'জন সাঁতারু পাঠাতে পেরেছিল:[5]
যদি কোনো NOC-এর সাঁতারুরা B মানেরও না হয়, তা সত্ত্বেও সেই NOC একজন প্রতিযোগী পাঠাতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে সেই প্রতিযোগীকে ২০০৭ বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে হবে এবং FINA অনুমোদিত হতে হবে। তবে এইভাবে কোনো প্রতিযোগী পাঠাতে গেলে দেখতে হবে এই NOC আর কোনো পুরুষ সাঁতারু অন্য কোনো বিভাগে পাঠায়নি এবং মহিলা সাঁতারু পাঠিয়ে থাকলে তা যেন ২জনের কম হয়।[4]
সাঁতারুদের গতিবর্ধক প্রযুক্তি সংবলিত বেইজিং ন্যাশনাল অ্যাকুয়াটিক সেন্টার (আদরের নাম জল ঘনক বা ওয়াটার কিউব),[6] এবং নবপ্রবর্তিত LZR রেসার সাঁতার পোশাক, যা প্রত্যয়িত যে সাঁতারুর সময় ১.৯ থেকে ২.২% কমাতে সক্ষম,[7] যুগ্মভাবে বিশেষজ্ঞদের মতে সমস্ত সাঁতারের বিভাগে অনেক বিশ্বরেকর্ডের সৃষ্টি করবে।[8]
২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সাঁতারের যে সকল বিভাগে মাইকেল ফেলপস অংশগ্রহণ করেন, সবেতেই তিনি জয়ের প্রধান দাবীদার ছিলেন। ১০০মিটার বাটারফ্লাইতেও তার কোনো ব্যত্যয় হয়নি। অ্যাথেন্সে অনুষ্ঠিত আগের অলিম্পিকের একই বিভাগে সোনা জিতে ফেলপস এই বিভাগে তাঁর দক্ষতার পরিচয় দেন। এছাড়াও তিনি মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ২০০৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এই বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব জয় করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ট্রায়ালে বিজয়ী হন।[9] ফলে, ১০০মিটার বাটারফ্লাই আরও আটটি বিভাগের অন্যতম ছিল যেখানে ফেলপস স্বর্ণপদকের দাবিদার ছিলেন।[10]
প্রতিযোগিতার প্রারম্ভে মনে করা হচ্ছিল ফেলপসের স্বদেশীয় ইয়ান ক্রকার তাঁকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলবেন। কারণ, ক্রকার ফেলপসের ১০০মিটার বাটারফ্লাইয়ের বিশ্বরেকর্ড ২০০৩ সালেই ভাঙেন। পরে, সেই রেকর্ড আরও দুবার গড়েন: একবার ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ট্রায়ালে ও মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত ২০০৫ বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে।[11] অলিম্পিকের প্রাক্কালে, ক্রকার ও ফেলপস মিলে মোট ১৭টি দ্রুততম সময়ের অধিকারী ছিলেন।[11] ২০০৪ সালে, ক্রকার পুরুষদের ১০০মিটার বাটারফ্লাই বিভাগে ফেভারিট ছিলেন, কিন্তু ফেলপসের কাছে সেকেন্ডের ৪ শতাংশ সময়ের ব্যবধানে পরাজিত হন।[11] এই জয় ফেলপসকে ৪ × ১০০মিটার মেডলি রিলের ফাইনাল অংশগ্রহণের অধিকার দেওয়া সত্ত্বেও তিনি তা ক্রকারকে ছেড়ে দেন এবং নিজে সেমিফাইনালে অংশ নেন।[11] বিশ্বরেকর্ডধারী হলেও, ১০০মিটার বাটারফ্লাই বিভাগে শেষ চার বারের সাক্ষাতে ক্রকার প্রতিবারই ফেলপসের কাছে হেরেছেন। এমনকি ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ট্রায়ালেও তিনি পরাজিত হন।[11] কারুর কারুর মতে ক্রকারের শারীরিক সক্ষমতা বিশ্বরেকর্ড গড়ার সময়ের তুলনায় কম ছিল। কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানীর (CBC) বায়রন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, "বেজিংয়ে যদি তিনি (ক্রকার) হারাতে চান, তাহলে ক্রকারকে নিজের ৫০.৪০ সেকেন্ডের বিশ্বরেকর্ডের কাছাকাছি সময় করতে হবে। এবছর এখনো পর্যন্ত তিনি তা করতে পারেননি"।[9]
ফেলপসের আর একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সার্বিয়ার মিলোরাড ক্যাভিচ। ২০০৪ সালে অ্যাথেন্সে, ক্যাভিচ ১০০মিটার বাটারফ্লাই বিভাগের সেমিফাইনালে প্রথমে এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু অন্তিম বাঁকের ঠিক পরেই তাঁর ঘাড়ের কাছে সাঁতারের পোষাকটি ফেটে যায় ও জল ঢুকতে শুরু করে, ফলে ক্যাভিচ প্রতিযোগিতা ৫৩.১২ সেকেন্ড সময়ে সর্বশেষ প্রতিযোগী হিসাবে শেষ করেন।[12] ২০০৮ ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে, ক্যাভিচ পুরুষদের ৫০মিটার বাটারফ্লাই বিভাগে সোনা জেতেন এবং দ্বিগুণ দূরত্বের বিভাগেও ফেভারিট ছিলেন, কিন্তু বিজয় মঞ্চে "কসোভোই সার্বিয়া" লেখা টি-শার্ট পরার জন্য নিলম্বিত হন।[12] আমেরিকান সাঁতারু গ্যারি হল জুনিয়র দি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যদিও "মাইক (ফেলপস) বলছে যে সে শেষ বারের জন্য অলিম্পিকে ১০০(মিটার) ফ্লাই (বাটারফ্লাই বিভাগ) জিতবে", তাঁর মতে ক্যাভিচ জিতবে।[13]
অন্যান্য সম্ভাব্য পদকবিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন ২০০৪ অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ইউক্রেনের আন্দ্রেই সার্ডিনভ,[9] এবং ২০০৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ভেনেজুয়েলান অ্যালবার্ট সুব্রিয়েটস, যিনি সব হিসাব উল্টে দিতে পারেন যদি বেজিংয়ে তাঁর ৫১.৮২ সময়ের সমান বা তার থেকে ভাল সময় করেন।[9]
হিট শুরু হয় ১৪ই আগস্ট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:৫৭ (CST or UTC+8).[14] মোট নয়টি প্রাথমিক পর্যায়ের হিট হলেও, পরের পর্বের ষোলজন প্রতিযোগী শেষ পাঁচটি হিট থেকেই আসেন। মাত্র তিনজন সাঁতারু প্রথম হিটে অংশ নেন। লাটভিয়ার আন্দ্রেজ ডুডা ৫৫.২০সেকেন্ড সময়ে জেতেন।[5] হিট ২, ৩ ও ৪ যথাক্রমে জেতেন কেম্যান আইল্যান্ডের শন ফ্রেজার, লিথুয়ানিয়ার রিম্ভিডাস সালসিয়াস, এবং জ্যাকব শিওয়েট অ্যান্ডজায়ের (ডেনমার্ক)।[5] সালসিয়াস, জেরেমি নোউলস (বাহামাস), আলোন ম্যান্ডেল (ইজরায়েল), অ্যান্ডজায়ের, মিকাল রুবায়েক (চেক প্রজাতন্ত্র), সোটিরিওস পাস্ট্রাস (গ্রীস), এবং লোন স্টেফান ঘের্ঘেল (রোমানিয়া), এরা সবাই নিজের নিজের দেশের নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন।[3] সাউথ আফ্রিকান লিন্ডন ফার্নস প্রথম সাঁতারু হিসাবে সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন। তিনি হিট নং ৫-এর বিজয়ী হন ৫২.০৪সেকেন্ড সময়ে।[5] অন্যদিকে একই হিটে জাতীয় রেকর্ড করেন মারিও টোডোরোভিচ (ক্রোয়েশিয়া), সিমাও মোর্গাদো (পর্তুগাল), এবং ডগলাস লেনক্স-সিলভা (পুয়ের্তো রিকো)।[3] সের্জি ব্রুয়াস (ইউক্রেন) এবং শি ফেং (চীন), ষষ্ঠ হিটে যথাক্রমে ৫১.৮২ এবং ৫১.৮৭ সেকেন্ড সময়ে প্রথম ও দ্বিতীয় হন এবং সেমিফাইনালে পৌঁছোন।[5] সপ্তম হিটে আটজনের মধ্যে পাঁচজন প্রতিযোগীই সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন। এঁরা হলেন, কেনিয়ার জ্যাসন ডানফোর্ড, অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু লটারস্টেইন, জাপানের তাকুরো ফুজি, ফ্রান্সের ফ্রেডেরিক বস্কেট, এবং পাপুয়া নিউ গিনির রায়ান পিনি।[5] অ্যাথেন্সে ১০০মিটার বাটারফ্লাই ফাইনালে করা ফেলপসের ৫১.২৫সেকেন্ডের অলিম্পিক রেকর্ড, ডানফোর্ড ভাঙেন ৫১.১৪ সেকেন্ড সময়ে; তাঁর এই সময়, নতুন আফ্রিকান এবং কেনিয়ান রেকর্ডও গড়ে।[3] অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু লটারস্টেইনের ৫১.৩৭ সেকেন্ড সময় ছিল ওশেনীয় এবং অস্ট্রেলীয় সেরা।[5] আবার, তাকুরা ফুজি নতুন জাপানি ও এশীয় রেকর্ড গড়েন ৫১.৫০ সেকেন্ড সময়ে।[5] অ্যালবার্ট সুব্রিয়েট আল্টিস (ভেনেজুয়েলা), কর্নি সোয়ানপোয়েল (নিউজিল্যান্ড), এবং ইয়ান ক্রকার (যুক্তরাষ্ট্র) অষ্টম হিটে সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন।[5] এই হিটেRecords broken in the this heat included the দক্ষিণ আমেরিকান এবং ভেনেজুয়েলান রেকর্ড গড়েন আল্টিস, এবং নিউজিল্যান্ড রেকর্ড গড়েন সোয়ানপোয়েল।[5] নবম হিট ছিল দ্রুততম, যেখানে মিলোরাড ক্যাভিচ (সার্বিয়া), মাইকেল ফেলপস (যুক্তরাষ্ট্র), আন্দ্রেই সার্ডিনভ (ইউক্রেন), পিটার ম্যানকোচ (স্লোভেনিয়া), এবং কায়ো ডি আলমেইডা (ব্রাজিল) সেমিফাইনালে ওঠেন।[5] ক্যাভিচ এই হিটের বিজেতা হিসাবে ৫০.৭৬ সেকেন্ড সময় করে দুটো হিট আগে করা ডানফোর্ডের অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙেন,[3] আর সেই সঙ্গে নতুন ইউরোপীয় এবং সার্বীয় রেকর্ড গড়েন। অন্যদিকে জাতীয় রেকর্ড গড়েন সার্ডিনভ ও ম্যানকোচ।[3]
সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ১৫ই আগস্ট ১১:২৬ CST সময়ে।[15] প্রথম সেমিফাইনাল ৫০.৯৭ সেকেন্ড সময়ে জেতেন মাইকেল ফেলপস। এছাড়া অ্যান্ড্রু লটারস্টেইন (৫১.২৭সেকেন্ড), জ্যাসন ড্যানফোর্ড (৫১.৩৩সেকেন্ড), এবং রায়ান পিনি (৫১.৬২ সেকেন্ড) এই সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন।[5] আশ্চর্যজনকভাবে, ২০০৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী অ্যালবার্ট সুব্রিয়েট আল্টিস,[9] ষষ্ঠ স্থানে শেষ করে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হন।[5] এছাড়া আয়োজক দেশের শি ফেং, সের্জি ব্রুয়াস, এবংকায়ো ডি আলমেইডা ফাইনালের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হন।[5] দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৫০.৯২সেকেন্ড সময়ে আবারো বিজয়ী হন মিলোরাড ক্যাভিচ। বাকি তিনজন ফাইনালের যোগ্যতাঅর্জনকারী হলেন, যথাক্রমে, ইয়ান ক্রকার (৫১.২৭সেকেন্ড), আন্দ্রেই সার্ডিনভ (৫১.৪১সেকেন্ড), এবং তাকুরো ফুজি (৫১.৫৯সেকেন্ড)।[5] সেমিফাইনালে লটারস্টেইন নতুন ওশেনীয় এবং অস্ট্রেলীয় রেকর্ড গড়েন, এবং শি চীনা জাতীয় রেকর্ড গড়েন।[3]
১৬ই আগস্ট সকাল ১০:১০ CST-তে ফাইনাল শুরু হয়।[16] ফাইনালের আগে মিলোরাড ক্যাভিচ একটি সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন, ক্রীড়া হিসাবে সাঁতারের লাভ হবে যদি তিনি ফেলপসকে হারান।[2] ফেলপসের কোচ বব বোম্যান এই উদ্ধৃতি ব্যভার করেন তাঁর ছাত্রকে উদ্বুদ্ধ করতে। পরে একটি সাক্ষাৎকারে ফেলপস বলেন, তিনি সবসময় বিরূদ্ধ মন্তব্যকে স্বাগত জানান। কারণ ক্যাভিচের মত সমালোচকদের মন্তব্য তাঁকে জেতার জন্য আরও উদ্বুদ্ধ করে।[1] প্রতিযোগিতা শুরু হবার সাথে সাথেই ক্যাভিচ এগিয়ে যান; আর ফেলপস কিছুটা ধীরে শুরু করেন। বাঁক ঘোরার সময় ক্যাভিচ প্রথমে ছিলেন,[17][18] আর তাঁর পিছনে ছিলেন ইয়ান ক্রকার।[17] ফেলপস সপ্তম স্থানে ছিলেন, ক্যাভিচের থেকে মাত্র ০.৬২সেকেন্ড পিছনে।[18] প্রতিযোগিতার শেষাশেষি, ক্যাভিচ দেওয়াল ছোঁয়ার চেষ্টা করেন একটি স্ট্রোকে,[18] অন্যদিকে ফেলপস ভুল আন্দাজ করে অর্ধ-স্ট্রোক বেশি করেন। দুজনেই প্রায় একই সময় দেওয়াল স্পর্শ করেন।[2] শেষ পর্যন্ত জানা যায়, ফেলপস ক্যাভিচের থেকে সেকেন্ডের এক শতাংশ সময় আগে ৫০.৫৮সেকেন্ডে প্রতিযোগিতা জিতেছেন।[19] ফেলপস স্বীকার করেন, যে প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন অতিরিক্ত স্ট্রোকটির জন্যই তিনি স্বর্ণপদক খোয়ালেন, পরে স্কোরবোর্ডের দিকে দেখে তিনি আস্বস্ত হন।[1] অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু লটারস্টেইনও ব্রোঞ্জ মেডেল জেতেন, সেকেন্ডের শতাংশের ব্যবধানে ক্রকারকে হারিয়ে।[1]
ফাইনালে অনেকগুলি রেকর্ড ভাঙে। ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আঙিনায় প্রথমবার কোনো ফাইনালে ফেলপস বিশ্বরেকর্ড ভাঙেননি। স্বদেশীয় ক্রকারের ২০০৫সালে করা ৫০.৪০সেকেন্ড সময়ের থেকে সেকেন্ডের অষ্টাদশ-শতাংশ বেশি সময়ে তিনি প্রতিযোগিতা শেষ করেন। যদিও তিনি নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়েন।[2] তিনটি নতুন মহাদেশীয় রেকর্ড তৈরী হয় ফাইনালে। ফুজি গড়েন নতুন এশীয় রেকর্ড, ক্যাভিচ গড়েন নতুন ইউরোপীয় রেকর্ড, এবং লটারস্টেইন গড়েন নতুন ওশেনীয় রেকর্ড।[3] সবার শেষে প্রতিযোগিতা শেষ করলেও অলিম্পিক ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পাপুয়া নিউগিনির প্রথম সাঁতারু হিসাবে রায়ান পিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেন; তাঁকে অভিনন্দন জানাতে প্রধানমন্ত্রী মাইকেল সোমারেফোন করেন।[20] সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, ফেলপস এই প্রতিযোগিতায় তাঁর সপ্তম স্বর্ণপদক লাভ করে মার্ক স্পিৎজের একটি অলিম্পিকে সর্বাধিক স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ডকে স্পর্শ করেন।[2] স্পিৎজের রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি করার জন্য, স্পিডো, মাইকেল ফেলপসের স্পনসর, তাঁকে US$১০লক্ষ পুরস্কার দেয়। এই পুরস্কার ২০০৪ অলিম্পিকেও তাঁর জন্য বলবৎ ছিল।[1] ফাইনালের পরে, ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানী (NBC) ফেলপস ও স্পিৎজের যুগ্ম সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে। সেখানে স্পিৎজ ফেলপসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, "আজ রাতে তুমি যা করেছ, তা মহাকাব্যিক" এবং যদিও একটা সময় ফেলপস ক্যাভিচের চেয়ে অর্ধসেকেন্ড পিছিয়ে ছিলেন, তা সত্ত্বেও স্পিৎজের "মুহুর্তের জন্যও মনে হয়নি যে তুমি (ফেলপস) প্রতিযোগিতা হেরে যাবে।"[2]
প্রতিযোগিতা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই, সার্বিয়ান দল দাবী জানায় ক্যাভিচ আগে দেওয়াল স্পর্শ করেছেন, কিন্তু তিনি হয়ত আলতো স্পর্শ করায় টাইমিং সেন্সর সেটা রেকর্ড করেনি।[18] ইন্টারন্যাশনাল সুইমিং ফেডারেশন (FINA) প্রতিনিধিরা স্লো মোশনে ভিডিও দেখে, ফেলপসকেই জয়ী ঘোষণা করেন। FINA রেফারি বেন একুম্বো, ঘোষণা করেন, "এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে সার্বিয়ান সাঁতারুটি মাইকেল ফেলপসের পরই (দেওয়াল) স্পর্শ করেন।"[2] সার্বিয়া সরকারীভাবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও, সবাই মেনে নেয়নি যে ফেলপস সোনা জিতেছেন; ব্রানিস্লাভ জেভটিচ, সকল ক্রীড়ার জন্য সার্বিয়ার শেফ দি মিশন, উদ্ধৃতি দেন "আমার মতে, এটা ঠিক হয়নি, তবে আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে। সবাই দেখেছে কি ঘটেছে।"[1] অন্যদিকে প্রতিযোগিতার পর ক্যাভিচ একটি সাক্ষাতকারে বলেন যে তিনি "নিজের অবস্থান নিয়ে দারুণ খুশি", আবার অন্য একটি সাক্ষাৎকারে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, "লোকে এই বিষয় নিয়ে বহুবছর আলোচনা করবে আর বলবে তুমিই (ক্যাভিচ) জিতেছিলে। আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকলে, আমিই জিততাম"।[18]
এই প্রতিযোগিতার আগে বিশ্ব ও অলিম্পিক রেকর্ড নিচে দেওয়া হল।
বিশ্ব রেকর্ড | ইয়ান ক্রকার (USA) | ৫০.৪০ সেকেন্ড | মন্ট্রিয়ল, কানাডা | ৩০শে জুলাই ২০০৫ | [21] |
অলিম্পিক রেকর্ড | মাইকেল ফেলপস (USA) | ৫১.২৫. সেকেন্ড | অ্যাথেন্স, গ্রীস | ১৬ই আগস্ট ২০০৪ | [21] |
এই অলিম্পিকে যে সব রেকর্ড গড়া হয় সেগুলি নিচে দেওয়া হল।
তারিখ | বিভাগ | নাম | রাষ্ট্র | সময় | OR | WR |
---|---|---|---|---|---|---|
১৪ই আগস্ট | হিট ৭ | জ্যাসন ডানফোর্ড | কেনিয়া | ৫১.১৪ | OR | |
১৪ই আগস্ট | হিট ৯ | মিলোরাড ক্যাভিচ | সার্বিয়া | ৫০.৭৬ | OR | |
১৬ই আগস্ট | ফাইনাল | মাইকেল ফেলপস | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫০.৫৮ | OR |
|
|
ক্রম | হিট | লেন | নাম | দেশ | সময় | টিকা |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৯ | ৫ | মিলোরাড ক্যাভিচ | সার্বিয়া | ৫০.৭৬ | ওআর |
২ | ৯ | ৪ | মাইকেল ফেলপস | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫০.৮৭ | |
৩ | ৯ | ৭ | আন্দ্রেই সার্ডিনভ | ইউক্রেন | ৫১.১০ | NR[3] |
৪ | ৭ | ৫ | জ্যাসন ডানফোর্ড | কেনিয়া | ৫১.১৪ | AF |
৫ | ৯ | ২ | পিটার মানকোচ | স্লোভেনিয়া | ৫১.২৪ | NR[3] |
৬ | ৭ | ৩ | অ্যান্ড্রু লটারস্টেইন | অস্ট্রেলিয়া | ৫১.৩৭ | OC |
৭ | ৭ | ৭ | তাকুরো ফুজি | জাপান | ৫১.৫০ | AS |
৮ | ৮ | ৫ | অ্যালবার্ট সুব্রিয়েটস | ভেনেজুয়েলা | ৫১.৭১ | NR |
৯ | ৮ | ১ | কর্নি সোয়ানপোয়েল | নিউজিল্যান্ড | ৫১.৭৮ | NR[3] |
১০ | ৬ | ২ | সের্গেই ব্রুয়াস | ইউক্রেন | ৫১.৮২ | |
১১ | ৭ | ৪ | ফ্রেডেরিক বস্কোয়েট | ফ্রান্স | ৫১.৮৩ | |
১২ | ৬ | ৮ | শি ফেং | চীন | ৫১.৮৭ | |
১৩ | ৮ | ৪ | ইয়ান ক্রকার | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫১.৯৫ | |
১৪ | ৭ | ২ | রায়ান পিনি | পাপুয়া নিউগিনি | ৫২.০০ | |
১৫ | ৫ | ৩ | লিন্ডন ফার্নস | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫২.০৪ | |
১৬ | ৯ | ৬ | কায়ো আলমেইডা | ব্রাজিল | ৫২.০৫ | |
১৭ | ৮ | ৭ | অ্যাডাম পাইন | অস্ট্রেলিয়া | ৫২.০৭ | |
১৮ | ৬ | ৬ | লার্স ফ্রোল্যান্ডার | সুইডেন | ৫২.১৫ | |
১৯ | ৪ | ৩ | জ্যাকব শিওয়েট অ্যান্ডজকার | ডেনমার্ক | ৫২.২৪ | |
২০ | ৫ | ৫ | মারিও টোডোরোভিচ | ক্রোয়েশিয়া | ৫২.২৬ | NR[3] |
২০ | ৭ | ১ | নিকোলাই স্ভোরোতসভ (সাঁতারু) | রাশিয়া | ৫২.২৬ | |
২০ | ৯ | ১ | রবিন ভ্যান অ্যাগিলে | নেদারল্যান্ডস | ৫২.২৬ | |
২৩ | ৮ | ৬ | গ্যাব্রিয়েল ম্যাঙ্গাবেইরা | ব্রাজিল | ৫২.২৮ | |
২৪ | ৮ | ৩ | ইভজেনি কোরোতিশ্কিন | রাশিয়া | ৫২.৩০ | |
২৫ | ৪ | ৪ | সোতিরিওস পাস্ট্রাস | গ্রিস | ৫২.৪১ | NR[3] |
২৬ | ৯ | ৩ | মাসায়ুকি কিশিদা | জাপান | ৫২.৪৫ | |
২৭ | ৬ | ৪ | মাইকেল রক (সাঁতারু) | গ্রেট ব্রিটেন | ৫২.৪৮ | |
২৮ | ৪ | ৬ | লোন স্টেফান ঘের্ঘেল | রোমানিয়া | ৫২.৫০ | NR[3] |
২৯ | ৬ | ৫ | টড কুপার | গ্রেট ব্রিটেন | ৫২.৫২ | |
৩০ | ৮ | ২ | রাফায়েল মুনোজ (সাঁতারু) | স্পেন | ৫২.৫৩ | |
৩১ | ৮ | ৮ | ক্রিস্টোফ লেবঁ | ফ্রান্স | ৫২.৫৬ | |
৩২ | ৬ | ৩ | মস বার্মিস্টার | নিউজিল্যান্ড | ৫২.৬৭ | |
৩৩ | ৫ | ১ | সিমাও মোর্গাডো | পর্তুগাল | ৫২.৮০ | NR[3] |
৩৪ | ৩ | ২ | রিম্ভিডাস সালসিয়াস | লিথুয়ানিয়া | ৫২.৯০ | NR[3] |
৩৫ | ৭ | ৮ | জো বার্টোখ | কানাডা | ৫২.৯০ | |
৩৬ | ২ | ৫ | আলোন ম্যান্ডেল | ইসরায়েল | ৫২.৯৯ | NR[3] |
৩৭ | ৫ | ২ | ফ্র্যাঙ্কোয়েস হীরসব্র্যান্ড | বেলজিয়াম | ৫৩.৩৩ | |
৩৮ | ৫ | ৮ | ডগলাস লেনক্স-সিলভা | পুয়ের্তো রিকো | ৫৩.৩৪ | NR[3] |
৩৯ | ৫ | ৬ | অ্যাডাম সিউই | কানাডা | ৫২.৩৮ | |
৪০ | ৫ | ৪ | ইভান লেঞ্জার | সার্বিয়া | ৫৩.৪১ | |
৪১ | ৯ | ৮ | বেঞ্জামিন স্টার্ক | জার্মানি | ৫৩.৫০ | |
৪২ | ৪ | ১ | মাইকেল রুবাশেক | চেক প্রজাতন্ত্র | ৫৩.৫৩ | NR[3] |
৪৩ | ৫ | ৭ | ইভজেনি লাজুকা | বেলারুশ | ৫৩.৫৪ | |
৪৪ | ৭ | ৬ | থমাস রুপ্রাথ | জার্মানি | ৫৩.৫৬ | |
৪৫ | ৪ | ২ | হুয়ান ভেলোজ | মেক্সিকো | ৫৩.৫৮ | |
৪৬ | ৬ | ৭ | অক্টাভিও আন্দ্রেজ আলেসি গঞ্জালেজ | ভেনেজুয়েলা | ৫৩.৫৮ | |
৪৭ | ৬ | ১ | আলেক্সি পুনিনস্কি | ক্রোয়েশিয়া | ৫৩.৬৫ | |
৪৮ | ৪ | ৮ | রায়ান গ্যাম্বিন | মাল্টা | ৫৩.৭০ | |
৪৯ | ৩ | ৩ | জেরেমি নোউলস (সাঁতারু) | বাহামা দ্বীপপুঞ্জ | ৫৩.৭২ | NR[3] |
৫০ | ৩ | ১ | অ্যাডাম ম্যাডারাসি | হাঙ্গেরি | ৫৩.৯৩ | |
৫১ | ২ | ৫ | শন ফ্রেজার | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ | ৫৪.০৮ | |
৫২ | ৩ | ৮ | হোর্টুর মার রেনিসন | আইসল্যান্ড | ৫৪.১৭ | |
৫৩ | ৩ | ৭ | ক্যামিলো বেসেরা | কলম্বিয়া | ৫৪.২৭ | |
৫৪ | ২ | ৪ | ড্যানিয়েল বেগো | মালয়েশিয়া | ৫৪.৩৮ | |
৫৫ | ২ | ২ | গর্ডন টৌ নগি জৌ | সুরিনাম | ৫৪.৫৪ | |
৫৬ | ২ | ৬ | রুস্তম খুদিয়েভ | কাজাখস্তান | ৫৪.৬২ | |
৫৭ | ৪ | ৭ | অঙ্কুর পসেরিয়া | ভারত | ৫৪.৭৪ | |
৫৮ | ৩ | ৫ | ওনুর উরাস | তুরস্ক | ৫৪.৭৯ | |
৫৯ | ১ | ৩ | আন্দ্রেজ ডুডা | লাতভিয়া | ৫৫.২০ | |
৬০ | ৩ | ৬ | জর্জি পালাজভ | বুলগেরিয়া | ৫৫.২৫ | |
৬১ | ২ | ৩ | আহমেদ নাদা | মিশর | ৫৫.৫৯ | |
৬১ | ২ | ১ | বাদের আব্দুলরহমান আলমুহানা | সৌদি আরব | ৫৫.৫৯ | |
৬৩ | ১ | ৪ | হুয়াও লুইস কার্ডোসো ম্যাটিয়াস | অ্যাঙ্গোলা | ৫৭.০৬ | |
৬৪ | ২ | ৭ | নদিম নিসিচ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ৫৭.১৬ | |
৬৫ | ১ | ৫ | মার্কো ক্যামার্গো | ইকুয়েডর | ৫৭.৪৮ | |
৪ | ৫ | মাটিয়া নালেসো | ইতালি | DNF |
ক্রম | হিট | লেন | নাম | দেশ | সময় | টিকা |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৪ | মিলোরাড ক্যাভিচ | সার্বিয়া | ৫০.৯২ | |
২ | ১ | ৪ | মাইকেল ফেলপস | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫০.৯৭ | |
৩ | ১ | ৩ | অ্যান্ড্রু লটারস্টেইন | অস্ট্রেলিয়া | ৫১.২৭ | OC |
৩ | ২ | ১ | ইয়ান ক্রকার | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫১.২৭ | |
৫ | ১ | ৫ | জ্যাসন ডানফোর্ড | কেনিয়া | ৫১.৩৩ | |
৬ | ২ | ৫ | আন্দ্রেই সার্ডিনভ | ইউক্রেন | ৫১.৪১ | |
৭ | ২ | ৬ | তাকুরো ফুজি | জাপান | ৫১.৫৯ | |
৮ | ১ | ১ | রায়ান পিনি | পাপুয়া নিউগিনি | ৫১.৬২ | |
৯ | ১ | ৭ | শি ফেং | চীন | ৫১.৬৮ | NR[3] |
১০ | ২ | ৩ | পিটার ম্যানকোচ | স্লোভেনিয়া | ৫১.৮০ | |
১১ | ১ | ৬ | অ্যালবার্ট সুব্রিয়েটস | ভেনেজুয়েলা | ৫১.৮২ | |
১২ | ২ | ২ | কর্নি স্বোয়ানপোয়েল | নিউজিল্যান্ড | ৫২.০১ | |
১৩ | ১ | ২ | সের্গেই ব্রুয়াস | ইউক্রেন | ৫২.০৫ | |
১৪ | ২ | ৮ | লিন্ডন ফার্নস | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫২.১৮ | |
১৫ | ১ | ৮ | কায়ো আলমেইডা | ব্রাজিল | ৫২.৩২ | |
১৬ | ২ | ৭ | ফ্রেডেরিক বস্কোয়েট | ফ্রান্স | ৫২.৯৪ |
ক্রম | লেন | নাম | দেশ | সময় | টিকা |
---|---|---|---|---|---|
৫ | মাইকেল ফেলপস | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫০.৫৮ | ওআর | |
৪ | মিলোরাড ক্যাভিচ | সার্বিয়া | ৫০.৫৯ | EU | |
৩ | অ্যান্ড্রু লটারস্টেইন | অস্ট্রেলিয়া | ৫১.১২ | OC | |
৪ | ৬ | ইয়ান ক্রকার | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫১.১৩ | |
৫ | ২ | জ্যাসন ডানফোর্ড | কেনিয়া | ৫১.৪৭ | |
৬ | ১ | তাকুরো ফুজি | জাপান | ৫১.৫০ | AS |
৭ | ৭ | আন্দ্রেই সার্ডিনভ | ইউক্রেন | ৫১.৫৯ | |
৮ | ৮ | রায়ান পিনি | পাপুয়া নিউগিনি | ৫১.৮৬ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.