২০০৪-এর ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্প ও সুনামি
২৬ ডিসেম্বরের ভারত ভূমিকম্প উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২৬ ডিসেম্বরের ভারত ভূমিকম্প উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০০৪ ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে ০০:৫৮:৫৩ ইউটিসি, ২৬ ডিসেম্বর ঘটে। ভূমিকম্পটি উপকেন্দ্রের সাথে ঘটে।এর প্রভাব পরিমাপ করা হয় ৯.১ থেকে ৯.৩ এর মাত্রায় যা IX এর সর্বোচ্চ মার্কেলি তীব্রতা ছিল।ভারতীয় প্লেট বার্মা প্লেট দ্বারা যখন বিভাজিত হয় তখন ভারতীয় মহাসাগরের সীমান্তবর্তী বহির্দেশের সমভূমির মধ্য দিয়ে বিধ্বস্ত সুনামির একটি ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করে যার ফলে সমুদ্রতলে মেগাথ্রাস্ট ভূমিকম্প ঘটে। এর ফলে ১৪টি দেশের ২,৩০,০০০ থেকে ২,৮০,০০০ জন মানুষ মারা যায় এবং উপকূলিয় অঞ্চল ৩০ মিটার (১০০ ফু) ঢেউয়ে প্লাবীত হয়। এটি লিপিবদ্ধ করা ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে একটি। ইন্দোনেশিয়াকে কঠিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নত করা হয়,এর পর শ্রীলঙ্কা, ভারত ও থাইল্যান্ড কে পর্যায় ক্রমে ধরা হয়।
ইউটিসি সময় | ?? |
---|---|
তারিখ * | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪[1]
[[Category:EQ articles using 'date' or 'time'(deprecated)]] |
মূল সময় * | 00:58:53 UTC 07:58:53 WIB [[Category:EQ articles using 'origintime'(deprecated)]] |
মাত্রা | 9.1–9.3 Mw |
গভীরতা | ৩০ কিমি (১৯ মা)[1] |
ভূকম্পন বিন্দু | ৩.৩১৬° উত্তর ৯৫.৮৫৪° পূর্ব[1] |
ধরন | Megathrust |
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা | ইন্দোনেশিয়া শ্রীলঙ্কা ভারত থাইল্যান্ড মালদ্বীপ মালয়েশিয়া মাদাগাস্কার সোমালিয়া কেনিয়া তানজানিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা |
সর্বোচ্চ তীব্রতা | IX (Violent)[1] |
সুনামি | ১৫ থেকে ৩০ মিটার (৫০ থেকে ১০০ ফু)[2] with maximum runup of 51 m (167.3 ft) at Lhoknga.[3] |
হতাহত | ২৩০,০০০-২৮০,০০০ মারা যায় ও আরো নিখোঁজ[4][5] |
* Deprecated | See documentation. |
এটি সিজমোগ্রাফে ধারণকৃত তৃতীয় বৃহত্তম ভূমিকম্প। ভূমিকম্পটি ৮.৩ থেকে ১০ মিনিট স্থায়ী ছিল যা সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়ের ভূমিকম্প।[6] এটি সমগ্র গ্রহটি কে ১ সেন্টিমিটার (০.৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত স্পন্দিত করে এবং আলাস্কার পাশাপাশি অন্যান্য ভূমিকম্পের স্থান সক্রিয় করে তুলে।[7][8] এর উপকেন্দ্রটি সিমেওলুই এবং মূল ভূখণ্ড ইন্দোনেশিয়ার মধ্যবর্তিতে ছিল।[9]
সমুদ্রগর্ভের ৩০ কিলোমিটার নীচে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু৷ নয় দশমিক এক থেকে নয় দশমিক তিন শক্তির জোরালো ভূকম্পন৷ শুধু তাই নয়, ভূকম্পন চলে প্রায় আট-দশ মিনিট ধরে, যা কিনা একটা রেকর্ড৷ সারা ভূগোলক নাকি এক সেন্টিমিটার কেঁপে যায়৷ বিজ্ঞানীরা এই ভূমিকম্পের নাম দিয়েছেন সুমাত্রা-আন্দামান ভূমিকম্প।
ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি বিশ্বের ১৪টি দেশে প্রায় দু'লাখ ত্রিশ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটায়৷ সুনামির জলোচ্ছ্বাস কোথাও কোথাও ৩০ মিটার অবধি উঁচু হয়ে বেলাভূমিতে আছড়ে পড়ে, বাড়িঘর ধ্বংস করে মানুষজনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়৷
ভূমিকম্পের পর সুনামি আসতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগলেও, সমুদ্রতটের অধিকাংশ মানুষই সমূহ এবং আসন্ন বিপদটি উপলব্ধি করতে পারেননি, কেননা তখন ভারত মহাসাগরে কোনো ধরনের সুনামি সতর্কতা প্রণালী ছিল না৷ ২০০৪ সালের সুনামির পর সেই সতর্কতা প্রণালী স্থাপন করা হয়; ২০০৬ সাল থেকে এই প্রণালী সক্রিয় এবং ভারত মহাসাগরে ২০১২ সালের ভূমিকম্পগুলির পর এই সতর্কতা প্রণালী তার কার্যকরিতাও প্রমাণ করেছে৷
সুনামিতে প্রাণ হারান দু'লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ, তাদের মধ্যে এক লাখ সত্তর হাজারের বেশি ইন্দোনেশিয়ায়৷ প্রাণহানির হিসেবে এর পরে আসছে শ্রীলঙ্কা, ভারত – প্রধানত তামিল নাড়ু – থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ এবং সোমালিয়া৷ এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকাতেও আটজন মানুষ সমুদ্রে বাড় এসে প্রাণ হারিয়েছেন৷ সব মিলিয়ে নিহতদের এক-তৃতীয়াংশ ছিল শিশু, এছাড়া বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে পুরুষদের চেয়ে তিনগুণ বেশি মহিলার প্রাণ হারানোর খবর দিয়েছে অক্সফ্যাম৷
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.