হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন
হঠাৎ হৃৎপিণ্ড বন্ধ হওয়ার পর প্রযুক্ত জরুরি চিকিৎসাপদ্ধতি যাতে দেহের অতিগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুল / From Wikipedia, the free encyclopedia
হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন কোনও হৃদ্রোধ হওয়া (হৃৎপিণ্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া) ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত একটি জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, ঔষধ বা যন্ত্রের সহায়তার অপেক্ষায় থেকে সময় নষ্ট না করে বারংবার (মিনিটে কমপক্ষে ১০০-১২০ বার বা সেকেন্ডে ২ বার) ব্যক্তিটির বক্ষ সঞ্চাপন করে (বুকে চাপ দিয়ে) হৃৎসংবাহন করা হয় ও প্রায়শই একই সাথে (প্রতি ৩০ বার চাপ দেওয়ার পরে বা প্রতি ১৫ সেকেন্ডে ২ বার) মুখ থেকে মুখে বাতাস ঢুকিয়ে কৃত্রিম শ্বসন নিশ্চিত করা হয়। একে ইংরেজি ভাষায় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (Cardiopulmonary Resuscitation) বা সংক্ষেপে সিপিআর (CPR) বলা হয়। স্বতঃস্ফূর্ত রক্ত সঞ্চালন ও শ্বসন ফিরিয়ে আনার জন্য পরবর্তী সমাধানগুলি প্রয়োগ করার আগ পর্যন্ত যেন রোগী বেঁচে থাকে, তার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ক্রিয়া যেন অক্ষুণ্ণ থাকে ও সম্ভব হলে হৃৎপিণ্ড যেন আবার সচল হয়ে উঠতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তি বা রোগী হঠাৎ নিঃসাড় হয়ে পড়ে ও তার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা অত্যন্ত অস্বাভাবিক হয়ে যায় (যেমন মুমূর্ষু শ্বসন), তখন এই পদ্ধতিটি প্রয়োগের সুপারিশ করা হয়।[1] এক্ষেত্রে প্রথমেই টেলিফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার নম্বরে কল করতে হবে, যাতে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা যতদ্রুত সম্ভব ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন এককভাবে জীবন বাঁচায় না, বরং স্বাস্থ্যকর্মীদের পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এই পদ্ধতিটি আক্রান্ত ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করে যেতে হয়, যাতে তার বেঁচে যাওয়ার সুযোগ-সম্ভাবনা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পায়। হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতি প্রয়োগ না করলে প্রতি মিনিটে আক্রান্ত ব্যক্তির বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পায়।