হুসামুল হারামাঈন
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হুসামুল হারামাঈন (হুসাম আল-হারামাঈন) বা হুসাম আল হারমাঈন (পবিত্র দুই মসজিদের তরবারি) ১৯০৬ সালে আহমদ রেজা খান বেরলভী (১৮৫৬-১৯২১) কর্তৃক লিখিত একটি গ্রন্থ যেটিতে তিনি দেওবন্দি, আহলে হাদিস ও কাদিয়ানী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতাদের ধর্মদ্রোহিতা হিসেবে ঘোষণা করেন।[1][2][3][4]
গ্রন্থটি আরবি, উর্দু, ইংরেজি, তুর্কি এবং হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এবং আল জামিয়াতুল আশরাফিয়া এর অঙ্গীকার বাধ্যতামূলক।[5] বইটির জবাবে হুসাইন আহমদ মাদানি আশ শিহাবুস সাকিব রচনা করেন।[6]
১৯০৫ সালে, খান হেজাজে পবিত্র স্থানগুলোতে সফর করেছিলেন। এই সময়কালে, তিনি "আল মো'তামাদ ওয়াল মোস্তানা" (নির্ভরযোগ্য প্রমাণ) শীর্ষক একটি খসড়া দলিল প্রস্তুত করেন যাতে তিনি মক্কা ও মদিনায় তার সমকালীন আলেমদের নিকট উপস্থাপনের জন্য দেওবন্দি, আহলে হাদীস এবং আহমদিয়া আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতাদের মতামতের বিরুদ্ধে মতামত প্রদান করেছিলেন। খান ৩৩ জন ইসলামী পণ্ডিতের রায় সম্পর্কে পাণ্ডিত্যপূর্ণ মতামত সংগ্রহ করেছিলেন। সকলেই তার এই দৃঢ় বিবৃতির সাথে একমত হয়েছিল যে, দেওবন্দী, আহমদিয়া এবং আহলে হাদীস আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতারা ধর্মভ্রষ্ট (মুরতাদ) এবং কুফরে ছিলেন। তারা ব্রিটিশ ভারত সরকারকে ধর্মবিরোধের জন্য এই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।[7][8][9]
ফতোয়াতে নিম্নলিখিত প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে:
আশরাফ আলী থানভী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি এবং কাসেম নানুতবিকে ছিলেন মুখ্য ব্যক্তিত্ব, যারা আল্লাহ, নবী হজরত মুহাম্মদ (দ.) এবং আউলিয়াদের বিরুদ্ধে ধর্মনিন্দা প্রদর্শনের কারণে দেওবন্দী আন্দোলনের এই তিন জন কাফের হিসাবে অভিহিত হয়েছিল।
আহমদিয়া আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম কাদিয়ানীকে নবী হজরত মুহাম্মাদ (দ.)'র নবুয়তের সম্পূর্ণতা (খতমে নবুয়ত) সম্পর্কিত বিশ্বাসের লঙ্ঘনের কারণে কাদিয়ানিকে কাফের হিসাবে অভিহিত করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.