স্বর্ণ চতুর্ভুজ
From Wikipedia, the free encyclopedia
স্বর্ণ চতুর্ভুজ (জিকিউ) হল ভারতের জাতীয় মহাসড়কের একটি নেটওয়ার্ক যা এই দেশের বেশিরভাগ শিল্প, কৃষি ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে সংযুক্ত করেছে। এটি ভারতের চারটি প্রধান মহানগর, দিল্লি (উত্তর), কলকাতা (পূর্ব), মুম্বই (পশ্চিম) এবং চেন্নাই (দক্ষিণ)কে ছুঁয়ে গিয়ে একটি চতুর্ভুজ গঠন করেছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত অন্যান্য শহরের মধ্যে রয়েছে আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, বালেশ্বর, ভুবনেশ্বর, কটক, দুর্গাপুর, জয়পুর, কানপুর, পুনে, সুরাট, বিজয়ওয়াড়া, আজমির, ভাইজাগ, বুদ্ধ গয়া, বারাণসী, আগ্রা, মথুরা, ধানবাদ, গান্ধীনগর, উদয়পুর) এবং বড়োদরা। এই বিশাল মহাসড়কের মূল লক্ষ্য হল ভারতের চারটি মহানগরের মধ্যে দূরত্ব এবং যাতায়াতের সময় হ্রাস করা।
স্বর্ণ চতুর্ভুজ | |
---|---|
পথের তথ্য | |
এনএইচএআই কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত | |
দৈর্ঘ্য | ৫,৮৪৬ কিমি (৩,৬৩৩ মা) |
দিল্লি – কলকাতা | |
দৈর্ঘ্য | ১,৪৫৩ কিমি (৯০৩ মা) |
প্রধান সংযোগস্থল | এনএইচ ৪৪ & এনএইচ ১৯ |
দিল্লি – মুম্বই | |
দৈর্ঘ্য | ১,৪১৯ কিমি (৮৮২ মা) |
প্রধান সংযোগস্থল | এনএইচ ৪৮ |
মুম্বই – চেন্নাই | |
দৈর্ঘ্য | ১,২৯০ কিমি (৮০০ মা) |
প্রধান সংযোগস্থল | এনএইচ ৪৮ |
চেন্নাই – কলকাতা | |
দৈর্ঘ্য | ১,৬৮৪ কিমি (১,০৪৬ মা) |
প্রধান সংযোগস্থল | এনএইচ ১৬ |
মহাসড়ক ব্যবস্থা | |
|
৫,৮৪৬ কিলোমিটার (৩,৬৩৩ মা) দৈর্ঘ্য নিয়ে, এটি ভারতের বৃহত্তম মহাসড়ক প্রকল্প এবং বিশ্বের পঞ্চম।[1] এটি জাতীয় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (এনএইচডিপি) এর প্রথম পর্ব, এবং চার ও ছয়-লেনের এক্সপ্রেস মহাসড়ক নিয়ে গঠিত। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ₹ ৬০০ বিলিয়ন (US$ ৭.৩৩ বিলিয়ন)।[2] ১৯৯৯ সালে প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ২০০১ সালে এর কাজ শুরু হয়েছিল এবং এটি ২০১২ সালে শেষ হয়েছিল।[3]
স্বর্ণ চতুর্ভুজ প্রকল্পটি সড়ক, পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের অধীনে ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই) দ্বারা পরিচালিত হয়। রাস্তার অধিকাংশ ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রিত প্রবেশের জন্য নয়, কিন্তু এখানে কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা, যেমন পার্শ্বস্থ রেলিং, বাম্পার এবং উচ্চ-দৃশ্যমানতাযুক্ত চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ে, ভারতে প্রথম উচ্চ গতির যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মিত টোল রাস্তা, এই জিকিউ প্রকল্পের একটি অংশ। কিন্তু এনএইচএআই এটিতে অর্থসাহায্য করেনি, এবং মূল মহাসড়ক থেকে আলাদা। এই প্রকল্পের জন্য অর্থ পেট্রোল এবং ডিজেলের কর থেকে প্রাপ্ত হয়েছে, যার পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন টাকা। এছাড়াও বাহ্যিক সহায়তার মাধ্যমে ২০০ বিলিয়ন টাকা, বাজারে ঋণ থেকে ১০০ বিলিয়ন টাকা এবং বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ থেকে ৪০ বিলিয়ন টাকা পাওয়া গিয়েছিল। প্রকল্পটি এনএইচএআই এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের মধ্যে একটি সরকারী-বেসরকারী অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে।[4]