Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সৈয়দ আবুল মনসুর হাবিবুল্লাহ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের একজন নেতৃস্থানীয় কমিউনিস্ট কর্মী এবং পরবর্তীকালের বামপন্থি নেতা। তিনি সর্ব-ভারতীয় কিষাণ সভার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৪৪ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা ঠিক পূর্বে ১৯৪৬ হইতে ১৯৪৭ সালের মাঝে সংঘটিত বিখ্যাত তেভাগা আন্দোলনকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করেছিলেন মনসুর হাবিব। তেভাগা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর ‘লাঙ্গল যার জমি তার’ বিখ্যাত ডাকটি প্যাম্ফলেট আকারে তিনি প্রকাশ করেন।
সৈয়দ আবুল মনসুর হাবিবুল্লাহ | |
---|---|
বিধায়ক | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬২ – ১৯৬৭ | |
সংসদীয় এলাকা | মন্তেশ্বর |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৭ – ১৯৮৭ | |
সংসদীয় এলাকা | নাদনঘাট বিধানসভা কেন্দ্র |
প্রোটেম স্পীকার, পশ্চিমবঙ্গ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৭ – ১৯৮২ | |
আইন মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮২ – ১৯৮৭ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বর্ধমান | ১৭ নভেম্বর ১৯১৭
মৃত্যু | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ ৭৮) কলকাতা | (বয়স
দাম্পত্য সঙ্গী | মাকসুদা খাতুন |
মনসুর হাবিবউল্লাহ (যে নাম তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন) বর্ধমান টাউন স্কুল এবং কলকাতার প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করেছিলেন।[1] তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করেন এবং আইনেও স্নাতক করেন। ১৯৩৩ সালে তিনি তদানীং নিষিদ্ধ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতেন। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।[2]
তিনি ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ও বেঙ্গল প্রাদেশিক কৃষক সভার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। তিনি এক সময়ে বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলরের রূপেও কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি জনযুদ্ধ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।[2] ১৯৪৪ সালে মনসুর হাবিবুল্লাহ বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।[3]
দেশভাগের পর তিনি কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশে সদ্য গঠিত পূর্ব পাকিস্তানে চলে গিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে পূর্ব-পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির প্রাদেশিক কমিটির সদস্য হন। ১৯৪৯ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁকে রাজশাহী জেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১৯৫০ সালের ২৪শে এপ্রিল খাপড়া ওয়ার্ডে পুলিশের গুলীবর্ষণে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। ১৯৫২ সালে তাঁকে পাকিস্তান হইতে বহিষ্কার করা হলে তিনি ভারত ফিরে আসেন।[4]
ভারতে ফিরে সৈয়দ আবুল মনসুর হাবিবুল্লাহ আবার ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তিনি প্রথমে তৎকালীন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ান। রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার দরুণ তাঁর চাকরি চলে যায় এবং তৎপরবর্তীতে তিনি আইন অনুশীলন শুরু করেন। ১৯৬২ সালে তার নির্বাচনী যাত্রা শুরু হয় তৎকালীন বর্ধমান জেলার (অধুনা পূর্ব বর্ধমান জেলা) মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। তারপর নাদনঘাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত পরপর নির্বাচিত হতে থাকেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রীর মতো বিভিন্ন উচ্চ সরকারি পদ অলঙ্কৃত করেছেন।[5][2]
তিনি কৃষকদের সমস্যা নিয়ে বিশদে লেখালেখি করেছেন। মকসুদা খাতুন, মুসলিম মহিলাদের একজন নেত্রী ছিলেন তাঁর স্ত্রী। কয়েকটি সূত্র উল্লেখ করেছে যে এই দম্পতির কন্যা হলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সদস্যা তথা দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ, মমতাজ সঙ্ঘমিতা।[6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.