Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো, জিসিবি এসি (উচ্চারণ [ʂuʂiɭo b̥amb̥aŋ juɖ̥ɔjɔno] (; )জাভানীয়: ʂuʂiɭo b̥amb̥aŋ juɖ̥ɔjɔno; জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯) পূর্ব জাভার পাসিটান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল অফিসার। বৈশ্বিক পর্যায়ে সংক্ষেপে তিনি এসবিওয়াই নামে পরিচিত হয়ে আছে। ২০০৪ সাল থেকে তিনি ইন্দোনেশিয়ার ৬ষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি হিসেবেও রয়েছেন তিনি।[১]
মহামান্য সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো জিসিবি এসি | |
---|---|
ইন্দোনেশিয়ার ৬ষ্ঠ রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২০ অক্টোবর ২০০৪ – ২০ অক্টোবর ২০১৪ | |
উপরাষ্ট্রপতি | জুসুফ কাল্লা বোদিওনো |
পূর্বসূরী | মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী |
উত্তরসূরী | জোকো উইদোদো |
ইন্দোনেশিয়ার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ – ১5 মার্চ ২০ | |
পূর্বসূরী | আনাস আর্বানিংগ্রাম |
উত্তরসূরী | আগুস হরিমূর্তি যুধিওনো |
রাজনীতি, সামাজিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক সমন্বয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ আগস্ট, ২০০০ – ১ জুন, ২০০১ | |
রাষ্ট্রপতি | আবদুর রহমান ওয়াহিদ |
পূর্বসূরী | সোজার্দি সোদির্জা |
উত্তরসূরী | আগুম গুমলার |
কাজের মেয়াদ ৯ আগস্ট, ২০০১ – ১ জুন, ২০০৪ | |
রাষ্ট্রপতি | মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী |
পূর্বসূরী | আগুম গুমলার |
উত্তরসূরী | হরি সবার্নো |
খনিজ ও শক্তি মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ অক্টোবর, ১৯৯৯ – ২৬ আগস্ট, ২০০০ | |
রাষ্ট্রপতি | আবদুর রহমান ওয়াহিদ |
পূর্বসূরী | কুন্তরো মাংকুসুবরতো |
উত্তরসূরী | পুর্ণোমো ইয়াসগিয়ানতরো |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পাসিটান, পূর্ব জাভা, ইন্দোনেশিয়া | ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্র্যাটিক পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্রিস্টিয়ানি হেরাবতী (বিবাহ: ১৯৭৬) |
সন্তান | আগুস হরিমূর্তি ইয়ুধনো এধি বাস্করো ইয়ুধনো |
বাসস্থান | মারদেকা প্রাসাদ, জাকার্তা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ম্যাগল্যাং মিলিটারি একাডেমী ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি এয়ারবোর্ন স্কুল র্যাঞ্জার স্কুল ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি ইনফেন্ট্রি স্কুল ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড এন্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ ওয়েবস্টার বিশ্ববিদ্যালয় বোগোর এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট |
ধর্ম | ইসলাম |
পুরস্কার | আধি মাকায়াসা (১৯৭৩) |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ইন্দোনেশিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেস |
শাখা | ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭৩-২০০০ |
পদ | জেনারেল |
ইয়ুধনো নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারের সন্তানরূপে পূর্ব জাভার প্যাসিটান রিজেন্সি’র আর্যোসারি এলাকার ট্রিমাস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাদেন সোকোতজো ও সিতি হাবিবা ছিলেন তার বাবা-মা।[২] তার পিতা রাদেন সোকোতজো ছিলেন মাঝারীসারির একজন সামরিক কর্মকর্তা। তিনিও পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। সংস্কৃত ভাষার একটি শাখা জাভানীয় ভাষায় তার নামকরণ হয়েছে।[৩] সু শব্দের অর্থ ভালো, সিলা অর্থ আচরণ। বামবাং জাভানীয় ভাষায় বালকদের জন্য উপযোগী সনাতনী নাম। ইয়ুধনো এসেছে যোদ্ধা থেকে।
শৈশবকাল থেকেই তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন।[৪] বিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যাগ্রহণের পাশাপাশি কবিতা, ছোট গল্প ও অভিনয় করতেন। এছাড়াও তিনি সঙ্গীত এবং ক্রীড়ানুরাগী ছিলেন। তিনি ও তার বন্ধুরা মিলে ক্লাব রাজাওয়ালী নামে একটি ভলিবল ক্লাব এবং গায়া তেরুনা নামের একটি ব্যান্ড দল প্রতিষ্ঠা করেন।[৫] ইন্দোনেশীয় সামরিক একাডেমি থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করে সামরিকবাহিনীতে যোগদান করেন। এক ক্ষমতাধর জেনারেলের কন্যা ক্রিস্টিয়ানি হেরাবতীকে বিয়ে করে তার দ্রুত র্যাঙ্কিংয়ে উত্তোরণ ঘটে। সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে ইয়ুধনো বিদেশ থেকে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী’র ইনফ্যান্ট্রি অফিসার অ্যাডভান্স কোর্স, ইউ.এস. আর্মি কমান্ড এন্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়াও, ইন্দোনেশিয়ার বোগোর এগ্রিকালচারাল ইন্সটিটিউট থেকে ২০০৪ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন তিনি।
২০০৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। এ নির্বাচনে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি মেঘবতী সুকর্ণপুত্রীর বিপক্ষে ৬১% ভোটে পরাভূত করে এ সম্মাননা অর্জন করেন। ২০ অক্টোবর, ২০০৪ তারিখে উপ-রাষ্ট্রপতি জুসুফ কালাকে সাথে নিয়ে শপথ গ্রহণপূর্বক কার্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অতঃপর ২০০৯ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বোদিনোকে সাথে নিয়ে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম পর্যায়ের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় ২০ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
টাইম সাময়িকীর পক্ষ থেকে ২০০৯ সালে তাকে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[৬] ৯-১১ মার্চ, ২০১০ তারিখে অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরে তাকে সম্মানসূচক অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া (এসি) পদবীতে ভূষিত করা হয়।[৭] এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলীয় সংসদে ভাষণ দান করেন যা যে-কোন ইন্দোনেশীয়দের মধ্যে প্রথম।[৮] ৩০ অক্টোবর, ২০১২ তারিখে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কর্তৃক তাকে সম্মানসূচক নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অব দি অর্ডার অব দ্য বাথ (জিসিবি) উপাধি প্রদান করা হয়।[৯]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.