সুচৌ
পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী / From Wikipedia, the free encyclopedia
সুচৌ (চীনা: 苏州) পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্ব ভাগে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরী। এটি সাংহাই নগরী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। প্রদেশের রাজধানী নানচিংয়ের পরেই সুচৌ প্রদেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী এবং একটি প্রধান আর্থ-বাণিজ্যিক কেন্দ্র। নগরীটি ছাং চিয়াং নদীর নিম্ন ব-দ্বীপ অববাহিকায়, থাই হ্রদের তীরে অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে সুচৌ একটি জেলা-স্তরের নগরী। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী মূল সুচৌ শহরের জনসংখ্যা ৪৩ লক্ষেরও বেশি। বৃহত্তর সুচৌ অঞ্চলের জনসংখ্যা ১ কোটির কিছু বেশি। [5][6][7][8]
সুচৌ 苏州市 | |
---|---|
জেলা-স্তরের নগরী | |
চিয়াংসু প্রদেশে অবস্থান | |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/China Jiangsu" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র China Jiangsu" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।চিয়াংসু প্রদেশে সুচৌ নগরকেন্দ্রের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (Suzhou municipal government): ৩১°১৭′৫৯″ উত্তর ১২০°৩৫′০৭″ পূর্ব | |
দেশ / রাষ্ট্র | গ্ণচীন |
প্রদেশ | চিয়াংসু |
উপজেলা-স্তরের বিভাগ | ১১ |
প্রতিষ্ঠা | ৫১৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
Municipal seat | Gusu District |
সরকার | |
• ধরন | জেলা-স্তরের নগরী |
• দলীয় সচিব | লান শাওমিন |
• নগরপ্রধান | লি ইয়াফিং |
আয়তন[1] | |
• জেলা-স্তরের নগরী | ৮,৪৮৮.৪২ বর্গকিমি (৩,২৭৭.৪০ বর্গমাইল) |
• স্থলভাগ | ৬,০৯৩.৯২ বর্গকিমি (২,৩৫২.৮৮ বর্গমাইল) |
• জলভাগ | ২,৩৯৪.৫০ বর্গকিমি (৯২৪.৫২ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২,৭৪৩ বর্গকিমি (১,০৫৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১৮)[2] | |
• জেলা-স্তরের নগরী | ১,০৭,২১,৭০০ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৩০০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | সুচৌ |
সময় অঞ্চল | বেইজিং সময় (ইউটিসি+৮) |
Postal code | ২১৫০০০ |
এলাকা কোড | ৫১২ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | CN-JS-05 |
স্থূঅউ (২০১৮) |
CNY ১.৮৬ trillion
CNY ১৭৪,১২৯
|
HDI (2015) | 0.894 – very high[3] |
নগর ফুল | Osmanthus |
নগর বৃক্ষ | Camphor laurel |
আঞ্চলিক উপভাষা | উ: সুচৌ উপভাষা |
License plate prefix | 苏E and 苏U[4] |
ওয়েবসাইট | www |
সুচৌ | |||||||||||||||||||||||||||||||
সরলীকৃত চীনা | 苏州 | ||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ঐতিহ্যবাহী চীনা | 蘇州 | ||||||||||||||||||||||||||||||
|
৫১৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত সুচৌ শহরের ইতিহাস ২৫০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। শহরের সর্বত্র প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনস্থল ও প্রাচীন বস্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ১০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে পূর্বী হান রাজবংশের শাসনামলে এটি সমগ্র বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম নগরীর একটিতে পরিণত হয়, মূলত উত্তর চীন থেকে আগত অভিবাসীদের কারণে।[9] ১০ম শতকের সুং রাজবংশের শাসনামল থেকে এটি চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। মিং ও ছিং রাজবংশের শাসনামলেও সুচৌ ছিল জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক[10] কেন্দ্র। সেসময় রাজধানী নয়, এমন নগরীগুলির মধ্যে এটি বিশ্বের বৃহত্তম নগরী ছিল।[11] কিন্তু ১৮৬০ সালের থাইফিং বিদ্রোহ ঘটে এবং এর তিন বছর পরে লি হুংচাং ও চার্লস জর্জ গর্ডন যখন শহরটি পুনরায় নিয়ন্ত্রণে আনেন, ততদিনে সুচৌকে ছাপিয়ে সাংহাই নগরী চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক নগরীতে পরিণত হয়।[12] ১৯৭৮ সালে চীনের অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু হবার পরে সুচৌ বিশ্বের সবচেয়ে বর্ধমান প্রধান নগরীগুলির একটিতে পরিণত হয় এবং একবিংশ শতকের শুরু পর্যন্ত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নগরীটির স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাৎসরিক গড়ে ১৪% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।[5][13] উচ্চ প্রত্যাশিত আয়ু ও মাথাপিছু আয়ের শহর সুচৌয়ের মানব উন্নয়ন সূচক মধ্য পর্যায়ের উন্নত দেশের সমান, ফলে এটি চীনের সবচেয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ নগরীগুলির একটি।[3]
সুচৌ নগরীর খাল, প্রস্তরসেতু, বৌদ্ধমন্দির বা প্যাগোডা, এবং সুক্ষ্মভাবে নকশাকৃত চীনা বাগিচাগুলির কারনণে এটি দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। সুচৌ নগরীর ধ্রুপদী চীনা বাগানগুলিকে ১৯৯৭ ও ২০০০ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। নগরীটিকে প্রায়ই "প্রাচ্যের ভেনিস" বা "চীনের ভেনিস" নামে ডাকা হয়।[14][15][16]