সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব
From Wikipedia, the free encyclopedia
সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব হচ্ছে প্রত্নতত্ত্বের একটি পূর্ণাঙ্গ শাখা যা বিশেষভাবে মানুষের সংগে সাগর,[1] হ্রদ এবং নদীর সম্পর্ক টিকে থাকা ধংসাবশেষ, জাহাজ, তীরবর্তী সুবিধা, বন্দর-সংশ্লিষ্ট কাঠামো, কার্গো, মানুষের দেহাবশেষ এবং নিমজ্জিত ভূমিরূপের উপর ভিত্তি করে অধ্যায়ন করে।[2] সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের মধ্যে একটি বিশেষত্ব বিশিষ্টতা নটিক্যাল প্রত্নতত্ত্ব, যা জাহাজ নির্মাণ এবং ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করে।[3] পূর্ণাঙ্গ প্রত্নতত্ত্ব হিসেবে সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব ঐতিহাসিক, শিল্প, বা প্রাগৈতিহাসিক সময়কালের প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করে।[4] একটি সহযোগী শাখা, যা প্রত্নতত্ত্বের মধ্যেই আছে, জলতলের প্রত্নতত্ত্ব, সমুদ্রে ডুবন্ত অবশেষের মাধ্যমে অতীত নিয়ে গবেষণা করে। প্রাগৈতিহাসিক যুগের কোন উদাহরণ নিমজ্জিত অবশেষ বা জল শুকিয়ে যাওয়া শুকনো ভূমির মধ্যে রয়ে গেছে। হ্রদ, নদী বা সমুদ্রের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা হচ্ছে ঐতিহাসিক, শিল্প বা আধুনিক যুগের উদাহরণ। অনেক বিশেষজ্ঞ সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র এবং জলতলের প্রত্নতত্ত্বের বিষয়শ্রেণীগুলোকে একত্রিত করেছেন।[5]
জাহাজ ডুবি, কখনো সিসেমিক বিপর্যয়ের ফলে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট তৈরী হয় এবং বছরের পর বছর সঞ্চিত বস্তু একটি সময়কে তুলে ধরে যেখানে বিভিন্ন সময়ে বস্তু হারিয়ে গিয়েছিলো অথবা ফেলে দেওয়া হয়েছিলো। এই ঘটনার হাত ধরে প্রায়শই জাহাজডুবি মিডীয়া এবং জনপ্রিয় মাধ্যমে টাইম ক্যাপসুল হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
সমুদ্র বা ডুবো পরিবেশের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান স্থলজ প্রত্নতত্ত্ব থেকে ভিন্ন ফ্যাক্টরের সম্মুখীন হয়। টিকে থাকা প্রত্নস্থল আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদগণ অনুসন্ধান করে প্রকৃত বস্তুর তুলনায় খুবই খুদ্র ভগ্নাংশের সন্ধান পায়। । সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমস্ত উপাদান নষ্ট হয়ে গেলেও মাঝে মাঝে সেখানে বিরল কিছু বেঁচে থাকা উল্লেখযোগ্য উদাহরণ খুঁজে পাওযা যায় যা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শেখা যায়। সাইটে ঢোকার জন্য প্রায়শই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
প্রত্নতত্ত্ব সম্প্রদায়ে এমন অনেকেই আছে যারা সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বকে একটি পৃথক শাখা হিসেবে বিবেচনা করে এবং জাহাজডুবিকে নিজস্ব বিষয় বিবেচনা করে ও জলতলের প্রত্নতত্ত্ববিদ হতে বিশেষায়িত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। অন্যেরা সমন্বিত পদ্ধতির উপর জোর দেয়, নৌ কার্যক্রমের সংগে স্থল সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগ আছে এবং প্রত্নতত্ত্ব হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব, এটা কোন ব্যাপার না যে কোথায় গবেষণা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রয়োজ়ন যে পরিবেশে কাজ হচ্ছে তার উপর দক্ষ নিয়ন্ত্রণ।