সামরিক বাহিনী
প্রধানত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি এবং পরিচালনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী / From Wikipedia, the free encyclopedia
একটি রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী হলো ঐ রাষ্ট্রের সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা ও আক্রমণকারী বাহিনী এবং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থা সমূহ। রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রনীতির উপর তাদের অস্তিত্ব নির্ভর করে। কিছু কিছু দেশের সামরিক বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনী অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক লক্ষ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সামরিক বাহিনী ব্যবহৃত হয়।
সামরিক বাহিনীর ব্যবহার শিক্ষাকে সামরিক বিজ্ঞান বলে। ব্যাপক অর্থে, সামরিক বিজ্ঞান আক্রমণ ও প্রতিরক্ষাকে তিনটি “স্তরে” বিবেচনা করে: স্ট্র্যাটিজি, অপারেশনাল ওয়ারফেয়ার এবং কৌশল (tactics)। তিনটি স্তরেই লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য শক্তি প্রয়োগ ব্যবস্থা আলোচিত হয়।
সামরিক শব্দের দুটি ব্যাপক অর্থ আছে। প্রথম অর্থে, সৈন্য ও সৈন্য সমাবেশ বোঝায়। দ্বিতীয় অর্থে, সামরিক বাহিনীকে সামগ্রিকভাবে বোঝায়। বহু বছরে মিলিটারি ইউনিটগুলো বিভিন্ন আকার ও আকৃতি লাভ করেছে। মিলিটারি ইউনিটগুলো, সামন্তরাজের নেতৃত্বে লড়াইয়ের জন্য গুটিকয় সাধারণ কৃষকের সমন্বেয় গঠিত মধ্যযুগীয় দলের মত ক্ষুদ্র আয়তন হতে, ১৯৪৪ সালের ডি-ডে’র জন্য গঠিত অধিক্রম বাহিনীর মত বৃহৎ আয়তন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এগুলো সাকা জুলুর ইম্পির মত কঠোরভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে পারে, আবার নাইটস টেম্পলারের মত প্রায় স্বতন্ত্রও হতে পারে। কিছু রাষ্ট্র - যেমন স্পার্টা বা আধুনিক কালের প্রুশিয়া - সামরিক বিক্রমকে সরকারের কেন্দ্রে স্থান দেয়।
সৈন্য সমাবেশের কার্যক্রম ইতিহাসের সুরু থেকে হয়ে আসছে।
বর্তমান কালে, যুদ্ধ ও অন্যান্য দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক ভূ-অবস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। অনেক সাম্রাজ্যের আবির্ভাব ও পতন সাধন; নতুন রাষ্ট্রের গঠন ও বিলুপ্তি সাধন হয়েছে। ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং সামরিক শক্তি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এখনও আধিপত্য করছে। বর্তমান সমাজে সামরিক ভূমিকা পূর্বাপেক্ষা অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।