সাধারণ পূর্বপুরুষ ও বিবর্তনের প্রমাণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
বহু দশক ধরে গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন এবং অজস্র প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, সকল জীব একই পূর্বপুরুষ থেকে এসেছে। বিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে জৈববৈচিত্র্য গড়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আধুনিক বিবর্তনীয় সংশ্লেষণকে সমর্থন করে এবং এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়, কেন ও কীভাবে জীবন সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানীরা সাধারণ পূর্বপুরুষের সপক্ষে অসংখ্য প্রমাণ একাট্টা করেছেন, যা থেকে অনুমিত হয় সমগ্র জীবকুলের সার্বজনীন সাধারণ পূর্বপুরুষ ছিল।
জীবসমূহের মধ্যে ডিএনএ অনুক্রমের তুলনা থেকে দেখা গিয়েছে, যেসব জীব জাতিজনী ভাবে কাছাকাছি অবস্থান করে তাদের ডিএনএ অনুক্রম বা সিকোয়েন্স, জাতিজনী ভাবে দূরে থাকা অন্যান্য জীবের তুলনায় অনেক বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ। জিনগত তথ্য এবং ডিএনএ আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা প্রজাতির সাথে জীবের সম্পর্ক ও জাতিজনী বৃক্ষ তৈরীতে সক্ষম হন। যেখানে প্রতিটা জীব কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত তা বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে। একই সাথে আণবিক ঘড়ি তৈরীতে বিজ্ঞানীরা সক্ষম হয়েছেন, যার ফলে প্রজাতির শ্রেণিগুলো একে অপর থেকে কখন পৃথক হয়েছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। সম্ভব হয়েছে জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ।
প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক সময়ে কীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে, তা বুঝার জন্য জীবাশ্ম থেকে সংগৃহীত তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।,
ডারউইন বেঁচে থাকা অবস্থায় প্রাণীর রঞ্জন যেমনঃ ক্যামোফ্ল্যাজ, মিমিক্রি এবং সতর্কীকরণ রঞ্জন সংক্রান্ত উদাহরণ গুলো পরিলক্ষিত হয়েছিল। এসব উদাহরণগুলো প্রাকৃতিক নির্বাচনকেই সত্যায়িত করে।
ব্যাকটেরিয়া যেভাবে নিজেকে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী করে তুলছে এবং ছড়িয়ে পরছে, তা থেকে বুঝা যায়, প্রকৃতিতে প্রাকৃতিক নির্বাচনের দরুণ ক্রমাগত বিবর্তন হচ্ছে। প্রজাত্যায়নের মত নতুন প্রজাতির সৃষ্টি প্রকৃতিতে এবং পরীক্ষাগারে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। জীবের সাধারণ পূর্বপুরুষ আছে কিনা, তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হলো, ঐতিহাসিক থেকে সাম্প্রতিক সময়ে জীবের নির্বাচিত প্রজনন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এই নিবন্ধের প্রতিটা অনুচ্ছেদে বিবর্তনের বিভিন্ন উদাহরণকে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হবে।