Loading AI tools
পাখির প্রজাতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাদা-ভুরু খঞ্জন বা ধলাভ্রু খঞ্জন বা পাকাড়া খঞ্জন (বৈজ্ঞানিক নাম: Motacilla maderaspatensis) একটি মাঝারি আকারের পাখি এবং খঞ্জন পরিবারের সবচেয়ে বৃহদাকার সদস্য। এদের দেহের উপরের দিক কালো, আর পেটের দিকটা সাদা। চোখের উপরে ভুরুর জায়গাটিও সাদা। কাঁধে সাদা ডোরা রয়েছে, আর লেজের বাইরের দিকের পালকগুলোও সাদা। এর বৈজ্ঞানিক নাম এসেছে ভারতের শহর মাদ্রাজ (বর্তমান নাম চেন্নাই) থেকে।
সাদাভুরু খঞ্জন | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস |
পরিবার: | Motacillidae |
গণ: | Motacilla |
প্রজাতি: | M. maderaspatensis |
দ্বিপদী নাম | |
Motacilla maderaspatensis মালিন, ১৭৮৯ | |
প্রতিশব্দ | |
Motacilla madaraspatensis lapsus |
ইংরেজি নাম White-browed Wagtail বা Large Pied Wagtail, বৈজ্ঞানিক নাম Motacilla maderaspatensis।[5]
সাদা-ভুরু খঞ্জন, খঞ্জন পরিবারের সবচেয়ে বৃহদাকার সদস্য, লম্বায় প্রায় ২১ সেন্টিমিটার। এদের দেহের উপরের দিক কালো, আর পেটের দিকটা সাদা। চোখের উপরে ভুরুর জায়গাটিও সাদা। কাঁধে সাদা ডোরা রয়েছে, আর লেজের বাইরের দিকের পালকগুলোও সাদা। পাখিটি বেশ হালকা-পাতলা গড়নের, এছাড়া আছে লম্বাটে চটপটে লেজ। এর ঊর্ধ্বঙ্গ, মাথা এবং বুক লম্বাটে, সাথে আছে ঔদাসিন্যপূর্ণ এবং বৃহৎ সাদা ডানা। সাদা খঞ্জনের মতো এদের মাথার চূড়ায় সাদা রং থাকে না। শরীরের নিম্নাংশের বাকিটুকু সাদা হয়ে থাকে। স্ত্রী পাখির শরীরের রঙ, পুরুষের তুলনায় কিছুটা হালকা হয়ে থাকে। কিশোর বয়সে স্ত্রী পাখিরা বাদামি-ছাই রঙের হলেও প্রাপ্তবয়স্ক হলে কালো রঙ ধারণ করে।[6][7]
বাংলাদেশে Motacilla গণের পাঁচ প্রজাতির খঞ্জনপাখি দেখা যায়। পাঁচ প্রজাতির মধ্যে চার প্রজাতির খঞ্জন শীতের শুরুতে আসে এবং গ্রীষ্মে চলে যায়। শুধু দেশে স্থায়ীভাবে বাস করে ও বাসা বাঁধে ধলাভ্রু খঞ্জন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্যমতে, দেশে ধলাভ্রু খঞ্জন সংখ্যায় খুব কম এবং এরা, মানুষের অবাধ পদচারণার কারণে বাসা করার জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা পাচ্ছে না। ঢাকার চারপাশে ক্রমাগত জলাশয় ভরাট করে ফেলায় এদের স্বাভাবিক আবাস হারিয়ে গেছে।[5]
এই পাখি নদী, বড় পুকুর ও বড় জলাশয়ের কাছাকাছি কোনো জায়গায় থাকতে পছন্দ করে।[5] তবে নগরের পরিবেশেও এরা খাপ খাইয়ে নিয়েছে। শহরাঞ্চলে এরা বাড়ির ছাঁদে বাসা বেঁধে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] খাবারের জন্য এরা চরে বেড়ায় এবং একটু পর পরই ডেকে ডেকে জায়গা পরিবর্তন করে। দলে সাধারণত দুটি পাখি থাকে। এদের লেজ সাধারণত হয় লম্বা। পা, ঠোঁট, গলা ও বুক কালো রঙের; নিচের দিক সাদা পালকে আবৃত থাকে। চোখের ওপরের ভ্রু সাদা। ডানায় সাদা রেখা থাকে, লেজের বাইরের পালক সাদা। খাবারের তালিকায় আছে ফড়িং, পোকামাকড়, ছোট শামুক ইত্যাদি। মার্চ থেকে মে মাসে জলাশয়ের কাছাকাছি নিরাপদ জায়গায় বাসা করে। তিন-চারটি ডিম দেয়। দলের দুজন মিলেই সংসার করে।[5]
এদের বাসার আকৃতি গোলাকার কাপের মতো হয়। চটের আঁশ, শুকনো ডালপালা, নরম ঘাস ইত্যাদি জড়ো করে বাসা তৈরি করে থাকে।[5]
অতীতে, ভারতে, এজাতীয় পাখিকে খাঁচায় পুরে রাখা হতো এদের গান গাইবার ক্ষমতার কারণে। পাখিটির স্থানীয় নাম "খঞ্জন" থেকে উৎপত্তিলাভ করে "খঞ্জন-চোখা" প্রবাদটির, যদ্বারা কারো খুব সুন্দর চোখ বোঝানো হয়।[8] ভারতে, পাখিটির আরেকটি স্থানীয় নাম হলো ধোবিন (বা ধোপিনী)।[9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.