সাগু
From Wikipedia, the free encyclopedia
সাগু বা সাবুদানা আমাদের দেশে খুব পরিচিত একটা খাবার। এটা সাধারণত রােগী বা বাচ্চাদের কে খাওয়ানাে হয়। জ্বর হয়েছে আর সাগু খাননি এমন লােক খুব কমই আছে৷
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
সাগু /ˈseɪɡoʊ/ এক প্রকার স্টার্চ জাতীয় পদার্থ যা বিভিন্ন উষ্ণমন্ডলীয় পাম গাছের (বিশেষ করে মেত্রোক্সিলন সাগু (Metroxylon sagu) ) কাণ্ডের ভেতরের নরম স্পঞ্জের মত অংশ- বিশেষ থেকে নিষ্কাশন করা হয়।। [1] এটি পাপুয়া নিউ গিনি ও মলাস্কার নিম্নাঞ্চলের মানুষের অন্যতম প্রধান খাবার। সেখানে এটি সাকসাক (saksak), রাবিয়া (rabia) ও সাগু(sagu) নামে পরিচিত। সাগুর বৃহত্তম যোগান আসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে। সাগু প্রচুর পরিমাণে রান্নার সামগ্রী হিসেবে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় পাঠানো হয়। এটি বিভিন্নভাবে রান্না যায়। এগুলোকে অনেকভাবেই খাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াজাত করা যায়, যেমন-ছোট ছোট বলের মতো আকারে, গরম পানির সাথে মিশিয়ে আঠালো পেস্ট (পেপদা) হিসেবে, অথবা প্যানকেকের মতো করে। সাগু প্রায়শই "মুক্তা"র (pearls) আকারে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয় (ছোট গোলাকার স্টার্চ দানা, তাপ প্রয়োগে আংশিক জমাট বাঁধানো (Gelatinized) রুপে)। সাগুর দানাগুলি (sagu pearls) পানি বা দুধ এবং চিনির সাথে মিশিয়ে গরম করে মিষ্টি সাগু পুডিং তৈরি করা যায়। [2] এই সাগু মুক্তো বা সাগু দানা অন্যান্য উৎস, যেমন কাসাভা স্টার্চ (ট্যাপিওকা) এবং আলুর স্টার্চ থেকে প্রাপ্ত সাগু দানার মতো একই রকম দেখতে। এগুলো বিভিন্ন খাবার তৈরিতে অদলবদল করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সগো নামটি কখনও কখনও অন্য উৎস থেকে উদ্ভূত স্টার্চের জন্য ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে সাগা সাইকাদ, সাইকাস রিভোলুটা । সাগু cycad কে কখনো কখনো সাগু palm বলা হয়, কিন্তু এটা ভুল, কেননাপাম গাছ সাইকাসজাতীয় গাছ থেকে বহুলাংশে ভিন্ন। সাগা সাইকাদ থেকে ভোজ্য স্টার্চ বের করে নিতে বিশেষ যত্ন প্রয়োজন সাইকাদের বিষাক্ত প্রকৃতির কারণে । এই উদ্ভিদের সাগু, পাম সাগুর মতো প্রায় একই কাজে ব্যাবহার করা যায়।
সাগু পাম গাছের ফলগুলোকে সম্পূর্ণরূপে পরিপক্ব হতে দেওয়া হয় না, কেননা সম্পূর্ণ ফল পাকা গাছের জীবনচক্রটি সম্পূর্ণ করে এবং বীজ উৎপাদনের জন্য কাণ্ডের সঞ্চিত স্টার্চ নিঃশেষিত হয়ে গাছ মরে যায়, আর থেকে যায় গাছের খালি ফাঁপা কাণ্ড। প্রায় ১৫ বছর বয়সী গাছগুলোতে ফুল ধরবার সামান্য আগে বা ধরবার পর খুব শীঘ্রই কেটে ফেলা হয়। ১০ থেকে ১৫ মিটার লম্বা কাণ্ডকে মাঝ থেকে চিরে ফেলা হয়। স্টার্চ-ধারণকারী মজ্জা বা পিথ কাণ্ড থেকে বের করে নিয়ে গুড়ো করে ফেলা হয়। গুড়োগুলোকে কাপড় বা ঝাঁঝরির ওপর রেখে পানিতে পিষে এর স্টার্চ বের করে আনা হয় পানির মধ্যে। এই পানি-স্টার্চের মিশ্রণ পাঠানো হয় কয়েকটি চওড়া অগভীর পাত্র (trough)তে, যেখানে স্টার্চ থিতিয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার এ স্টার্চ ধোয়ার পর রান্না করার জন্য উপযোগী হয়। একটি পাম গাছ থেকে প্রায় ৮০০ পাউন্ড (৩৬০ কিলোগ্রাম) শুকনো স্টার্চ পাওয়া যায়। এই গাছটি সাধারণত গ্রাম অঞ্চল এলাকায় বেশি দেখা যায়।