Loading AI tools
মঙ্গোলীয় রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাখিয়াজিন এলবেগদর্জ (মঙ্গোলীয়: Цахиагийн Элбэгдорж, জন্ম: ৮ মার্চ, ১৯৬৩) জেরেগ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী মঙ্গোলিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এরপূর্বে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মঙ্গোলিয়ায় গণতন্ত্রের প্রধান রূপকার তিনি।[1] তাকে দেশের উদীয়মান অর্থনীতি বিকাশে অন্যতম প্রধান দিকপাল হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
সাখিয়াজিন এলবেগদর্জ Цахиагийн Элбэгдорж | |
---|---|
মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৮ জুন, ২০০৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | সাঞ্জাজিন বায়ার সুখবাতারিন নরোভিন আল্তানখুয়াগ দেনদেব তারবিশদাগভা (ভারপ্রাপ্ত) চাইমদিন সাইখানবিলেগ |
পূর্বসূরী | নাম্বারিন এনখবায়ার |
মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২০ আগস্ট, ২০০৪ – ১৩ জানুয়ারি, ২০০৬ | |
রাষ্ট্রপতি | নাতসাগিন বাগাবান্দি নাম্বারিন এনখবায়ার |
পূর্বসূরী | নাম্বারিন এনখবায়ার |
উত্তরসূরী | মিয়িগম্বিন এনখবোল্ড |
কাজের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল, ১৯৯৮ – ৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ | |
রাষ্ট্রপতি | নাতসাগিন বাগাবান্দি |
পূর্বসূরী | মেন্দাসাইখানি এনখসাইখান |
উত্তরসূরী | জানলাভিন নারানসাতস্রাল্ত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জেরেগ, মঙ্গোলিয়া | ৮ মার্চ ১৯৬৩
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্র্যাটিক পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | খাজিদসুরেনজিন বলোরমা |
সন্তান | ১২ কন্যা (দত্তক) ১৩ পুত্র (৯ দত্তক) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | এলভিভ পলিটেকনিক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়, বোল্ডার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
পরিবারের আট ভাইয়ের সর্বকনিষ্ঠ তিনি। সীমান্তবর্তী এলাকায় ১৯৩৯ সালের খালখিন গোল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে তার পরিবার আর্দেনেত সিটিতে চলে আসেন। সেখানকার বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন ও ১৯৮১ সালে পড়াশোনা শেষ করেন।[2]
১৯৮১-৮২ অর্থ বছরে আর্দেনেত কনসার্ন নামের কপার আকরিক খনি ও প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।[3] ১৯৮২ সালে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হন।[4] উলান ওদ নামীয় সেনাবার্তায় কবিতা পাঠান। এতে সেনা কর্তৃপক্ষ বেশ আগ্রহান্বিত হন। এরফলে ১৯৮৩ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মিলিটারী পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউটে সেনা সাংবাদিকতা ও মার্কসবাদ-লেনিনবাদ বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পান।[5][6] ১৯৮৮ সালে সাংবাদিকতা বিষয়ে ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[7] এরপর উলান ওদ সংবাদপত্রে কাজ করতে শুরু করেন।[8]
দেশের প্রধানমন্ত্রী হবার প্রথম মেয়াদের পর ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বুল্ডার্স ইকোনমিক ইনস্টিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করেন।[9] এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ বৃত্তি নিয়ে পড়েন।[10] ২০০২ সালে জন এফ. কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পান।[11][12]
২০ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন।[13] এবার জোট সরকারের প্রধান হিসেবে এ দায়িত্ব পান। ২১ নভেম্বর, ২০০৫ তারিখে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশ উলানবাটারে এলবেগদর্জের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাতে মিলিত হন। এ সময় তিনি তার সম্বন্ধে বলেন যে, বিশ্ব গণতন্ত্রের উন্নয়নে আপনার ন্যায় ব্যক্তিদের প্রয়োজন।[14]
২৪ মে, ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৫১.২১% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।[15][16] নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এখবায়ার পেয়েছিলেন ৪৭.৪১% ভোট। অতঃপর ১৮ জুন, ২০০৯ তারিখে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।[17]
১৯৯০ সালে মঙ্গোলিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে ভূমিকা রাখেন। এরফলে দীর্ঘ ৭০ বছর পর সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হয় মঙ্গোলিয়া। এছাড়াও, ১৯৯২ সালে দেশের খসড়া সংবিধানের সহঃউদ্যোক্তা ছিলেন যাতে গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির দিক-নির্দেশনা ছিল। তার সমর্থকদের কাছে তিনি মুক্তিযোদ্ধা[18] এবং "গণতন্ত্রের সোনালী চড়ুই পাখী' নামে পরিচিত তিনি।[19]
দেশের প্রধান স্বাধীন সংবাদপত্র আর্দচিলালের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এছাড়াও, মঙ্গোলিয়ার প্রথম স্বাধীন টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।[20][21]
তার শাসনামলে দূর্নীতি উৎপাটন, পরিবেশ সংরক্ষণ, মহিলাদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, বিচারব্যবস্থা পুণঃগঠন, নাগরিক সম্পৃক্ততা, অর্থনৈতিক উদারনীতি গ্রহণ ও বেসরকারীকরণ, সম্পত্তির অধিকার, মৃতদণ্ডের সাজা বিলোপনের ন্যায় বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।[22]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.