Loading AI tools
পাবনা জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাঁথিয়া উপজেলা বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
সাঁথিয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে সাঁথিয়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩′৪৭″ উত্তর ৮৯°৩২′০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | পাবনা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৩১.৫৬ বর্গকিমি (১২৮.০২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[1] | |
• মোট | ৩,২৩,৯৩২ |
• জনঘনত্ব | ৯৮০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬২.০৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৭৬ ৭২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সাথিয়ার আয়তন ৩৩১.৫৬ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলার উত্তরে ফরিদপুর উপজেলা ও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা, দক্ষিণে সুজানগর উপজেলা, পূর্বে বেড়া উপজেলা এবং পশ্চিমে পাবনা সদর ও আটঘরিয়া উপজেলা।
এটি জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা ৬৮-এর অধীন যা পাবনা-১ নামে পরিচিত।
সাঁথিয়া উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন জনশ্রুতি আছে। জানা যায় সমগ্র সাঁথিয়া অতীতে চরএলাকা ছিল। এই চরে সিনথিয়া নামে এক সাঁওতাল আদিবাসি বাস করত। পরবর্তীতে অন্যান্য এলাকা থেকে সাঁওতালরা এসে সিনথিয়ার সংগে বসবাস করতে শুরু করে এবং একটি গ্রামের সৃষ্টি হয়। আদিবাসি সিনথিয়ার নাম থেকেই পরবর্তীকালে সাঁথিয়া নামের উৎপত্তি হয় মর্মে শোনা যায়। দ্বিতীয় জনশ্রুতি মতে অনেক আগে সাঁথিয়া অঞ্চল গভীর জংগলে পরিপূর্ণ ছিল। সংগী অথবা সাথী ছাড়া কেহই একা এই এলাকায় চলাফেরা করত না। সকলেই সাথী সহ এখানে আসতেন। পরবর্তীতে এই সাথী থেকেই সাঁথিয়া নামের উদ্ভব মর্মে শোনা যায়।
সাঁথিয়া উপজেলার ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায় ব্রিটিশ শাসনামলে লর্ড ওয়ারেন হেষ্টিংসের সময় ১৯১৯ সালে সাঁথিয়া থানার জন্ম। ১৯৬০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খাঁনের শাসনামলে সাঁথিয়া উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়াকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। মূলত কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি এ উপজেলার মূল চালিকা শক্তি। এ উপজেলার চার পাশের বড়াল ও যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে সুরক্ষিত থাকায় কখনও বন্যা হয় না। অপর দিকে শুষ্ক মৌসুমে ক্যানেলে পাম্পের সাহায্যে যমুনা নদী হতে পানি এনে ধরে রেখে এ উপজেলার চাহিদা সহজে পূরণ করা হয়। যার ফলে বন্যা অথবা অনাবৃষ্টি এ এলাকার কৃষিকে খুব বেশি প্রভাবিত করতে পারে না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে এ উপজেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি থাকায় এখানকার জনগণ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন।[2]
জনসংখ্যা ৩,২৩,৯৩২ জন। ঘনত্ব ৯৮৬ জন/বর্গ কিমি। খানা ৬৫,০৩৯ টি।
এ উপজেলার মানুষ কৃষি, হাস মুরগীর খামার, দুগ্ধ খামার, গরু ছাগল পালন, তাঁত শিল্প ইত্যাতি পেশার সাথে জড়িত। এছাড়া বগুড়া নগরবাড়ী মহাসড়কের পাশে কাশিনাথপুর হতে ২ কিঃ মিঃ উত্তরে "বেঙ্গল মিট" অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান। এখানে সম্পূর্ণ স্বয়ক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ কেজি মাংস প্রক্রিয়াজাত করা হয়; যা বিদেশে রপ্তানী করা হয়। এখানে প্রায় ১৫০ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ এ পেঁয়াজ চাষ এ সাঁথিয়া অনেক এগিয়ে আছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.