শ্রীমঙ্গল উপজেলা
মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা / From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজধানী নামে খ্যাত। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি উপজেলা যা সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের অন্তর্গত হাইল-হাওরের পাশে ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান করছে।[1][4][5][6][7][8] শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪৩.৩৪% জায়গা জুড়ে রয়েছে চা বাগান।
শ্রীমঙ্গল | |
---|---|
উপজেলা | |
ডাকনাম: চায়ের রাজধানী, শীতের শহর, বৃষ্টিপাতের অঞ্চল, পর্যটন শহর | |
স্থানাঙ্ক: ২৪.৩০৯২° উত্তর ৯১.৭৩১৪° পূর্ব / 24.3092; 91.7314 | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | মৌলভীবাজার জেলা |
ইউনিয়ন | ৯ টি |
পাকিস্তানের দখল মুক্ত হয় | ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১[1] |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে (শ্রীমঙ্গল থানা) |
উপজেলায় রূপান্তর | ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ |
পৌরসভা গঠন | ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দ |
সরকার | |
• ধরন | সংসদীয় আসন |
• শাসক | (মৌলভীবাজার-৪) |
• সংসদ সদস্য | মোঃ আব্দুস শহীদ |
আয়তন | |
• মোট | ৪২৫.১৫ বর্গকিমি (১৬৪.১৫ বর্গমাইল) |
• চা বাগান | (৪৩.৩৪%) ১৮৪.২৯ বর্গকিমি (৭১.১৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[2][3] | |
• মোট | ৩,১৮,০২৫ |
• জনঘনত্ব | ৭৪৮/বর্গকিমি (১,৯৩৭.৪/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | শ্রীমঙ্গলি |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩২১০-১৪ |
দেশের টেলিফোন কোড | +৮৮০ |
ওয়েবসাইট | sreemangal |
শ্রীমঙ্গলের ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার (৭১.১৫ বর্গমাইল) অঞ্চল অর্থাৎ ৪৩.৩৪% ই চা-বাগান অধ্যুষিত অঞ্চল। পাহাড়, রেইন ফরেস্ট, হাওর আর সবুজ চা বাগান রয়েছে এ অঞ্চলে। এজন্য এ স্থানে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকের সমাগম থাকে। আর এ কারণে শ্রীমঙ্গলে গড়ে ওঠেছে পাঁচ তারকা হোটেলসহ অনেক আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ। শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে চা বাগান। দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে এ উপজেলায় রয়েছে ৪০ টি চা বাগান।[9][10]
তাছাড়াও রাবার, লেবু ও আনারসের চাষ হয় শ্রীমঙ্গলে।[8][10][11] শ্রীমঙ্গলের পাশে অবস্থিত এককালে বৃহত্তর সিলেটের মৎস্যভান্ডার বলে খ্যাত হাইল হাওরের বাইক্কা বিল দেশের বৃহৎ মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোর মধ্যে একটি। পাহাড়ি ও ঘন বনাঞ্চল এলাকায় বৃষ্টিপাত বেশি হয় আর পাহাড় ও ঘন বনাঞ্চল থাকায় শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা এলাকার তালিকাভুক্ত।[12][13][14][15]
এত বৃষ্টিপাতের পরেও শ্রীমঙ্গলে বন্যা না হওয়ার কারণ কাছাকাছি অবস্থিত (২০ কিলোমিটার দূরে) বড় নদী মনু থেকে শ্রীমঙ্গলে আসার পথে অনেক নিচুভূমি, শ্রীমঙ্গল শহরের গড় উচ্চতা আশেপাশে অবস্থিত অন্যান্য অঞ্চল থেকে বেশি। শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে কালাপুর ইউনিয়নের গ্যাসক্ষেত্র। তাছাড়া শ্রীমঙ্গলের বালিতে খনিজ পদার্থ জাতীয় সিলিকা বালি পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে বেশ কিছু প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো হলো: নির্মাই শিববাড়ি (১৪৫৪), কালাপুর গ্রামে প্রাপ্ত একাদশ শতাব্দীর (১০০০-১১০০ খ্রিষ্টাব্দ) রাজা মরুন্ডনাথের তাম্রশাসন ও লামুয়া গ্রামের মাটির নিচ থেকে উদ্ধারকৃত অনন্ত নারায়ণ দেবতার বিগ্রহ ইত্যাদি প্রাচীন যুগের নিদর্শন শ্রীমঙ্গলের প্রাচীন রূপকে পরিস্ফুটিত করতে অনেকটাই সক্ষম।[6][8][10][11][16]