![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f0/Meru1.jpg/640px-Meru1.jpg&w=640&q=50)
শ্রীবিদ্যা
From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্রীবিদ্যা (অর্থাৎ, আধ্যাত্মিক বিদ্যা[1]) হল একটি হিন্দু তান্ত্রিক মত, যে মতে মহাশক্তিকে ললিতা ত্রিপুরাসুন্দরী, ভুবনেশ্বরী ইত্যাদি রূপে পূজা করা হয়। এই রূপটির এক হাজার নাম পাওয়া যায় ললিতা সহস্রনাম স্তোত্রে। এই স্তোত্রটি শ্রীবিদ্যা ধারণার অন্তর্গত।[2] এই মহান সাধনা জাগতিক সমৃদ্ধি ও আত্ম-অনুসন্ধান উভয়ের উপরই জোর দিয়ে থাকে। শ্রীবিদ্যার সাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ।[3] ঋকবেদে শ্রীসূক্তে শ্রীদেবী বা মহালক্ষী যিনি সৃষ্টিকর্তা সেই পরমেশ্বরীর উপাসনা করা হয় যা বৈদিক শ্রীবিদ্যাসাধনা।[4] এই সাধনায় বামাচারী ও দক্ষিণাচারী শাখা দেখা যায়। এইসাধনা বাস্তবে গুরুমুখী।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f0/Meru1.jpg/320px-Meru1.jpg)
শ্রীবিদ্যা দর্শন অনুসারে, দেবী হলেন সর্বোচ্চ উপাস্য।[5] তাকে শ্রীযন্ত্র বা শ্রীচক্র নামে একটি ছবিতে পূজা করা হয়।[6] শ্রীযন্ত্রের ত্রিমাত্রিক রূপটি হল মেরুচক্র। এটি পাথর, স্ফটিক বা ধাতুতে নির্মিত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সোনায় মোড়া অষ্টধাতুর শ্রীযন্ত্রও পূজা করা হয়। শ্রীযন্ত্রের উল্লেখ বেদে আছে।[7]
শ্রীবিদ্যা সাধনায় মন্ত্র গুরু, দেবতা ও শিষ্যকে এক করে। এই সাধনায় প্রথমে বাল-ত্রিপুরাসুন্দরী মন্ত্রে দীক্ষা দেওয়া হয়। এই মতে দেবী একটি শিশুকন্যা। এরপর পঞ্চদশাক্ষরী এবং শেষে ষোড়শী মন্ত্রে দীক্ষা হয় ও বৈদিকমতে শ্রীদেবীর দীক্ষা দেওয়া হয়।