Loading AI tools
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত একটি এলাকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শিলাইদহ গ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নে অবস্থিত একটি পর্যটন গ্রাম-এলাকা।[1][2][3] এখানে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি অবস্থিত। এছাড়াও বিরাহিমপুর জমিদারির সদর কাচারিও এখানে অবস্থিত। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী, নদীর ওপারে পাবনা জেলা অবস্থিত। এছাড়াও এখানে শিলাইদহ নৌকা ঘাট, শিলাইদহ কাঠের বাড়ি প্রভৃতি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।[4]
শিলাইদহ গ্রামের নাম পূর্বে খোরশেদপুর নামে পরিচিত ছিল। ১৮৫০ সালের দিকে জোঁড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার এই গ্রামটি কিনে নেওয়ার আগে এখানে একটি নীলকুঠি ছিল। শেলী নামের একজন নীলকর এটি নির্মাণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে। গ্রাম ঘেঁষে চলা গড়াই এবং পদ্মা নদীর মিলিত প্রবাহের ফলে সৃষ্ট গভীর একটি ‘দহ’ (ঘূর্ণিস্রোত) থেকে গ্রামটি শেলী-দহ নামে পরিচিতি লাভ করে। এরপরে কালের বিবর্তনে সহজ প্রতিবর্নী শিলাইদহ নামকরণ পায়। ১৮০৭ সালে রামলোচন ঠাকুরের থেকে রবীন্দ্রনাথের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর এই অঞ্চলের জমিদারির মালিক হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৮৯ সালের নভেম্বর মাসে সর্বপ্রথম এই গ্রামে আসেন।[5]
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি গ্রাম শিলাইদহ। পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে গ্রামটির পূর্ব নাম কসবা। রবীন্দ্রনাথের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তিতে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে জমিদার হয়ে আসেন। এখানে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন। এ সময় এখানে বসেই তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, ইত্যাদি, গীতাঞ্জলী কাব্যের অনুবাদ কাজও শুরু করেন।[6][7] এখানে রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করতে এসেছেন জগদীশ চন্দ্র বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রমথ চৌধুরী সহ আরো অনেকে।
শিলাইদহ নৌকাঘাট এই গ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান, এই নৌকা ঘাটের মাধ্যমে কুষ্টিয়া শহর থেকে পাবনা শহরের যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। এই নৌকাঘাটটি গ্রামটি একটি বানিজ্যিক এলাকায় পরিণত করেছে। এছাড়াও নানা পর্যটক ও দর্শনার্থী এখানে পদ্মা নদীতে ঘুরতে আসেন।[4][8]
এই গ্রামের আব্দুর রশীদ জোয়ার্দার নামে এক ব্যক্তি পাঁচতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দিত এক কাঠের বাড়ি নির্মাণ করেছে,[9] এই কাঠের বাড়ি দেখতে বহু মানুষ ভিড় করছে।[10][11] বাড়ি শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাছেই ১২ শতক জায়গার ওপর দুই বছরের চেষ্টা করে পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে।[12] বাড়িটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে মেহগনি, শাল, কেরোসিন ও তালগাছের কাঠ। ২০১৯ সালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বাড়িটির উচ্চতা ৩৫ ফুট।[13][14][15]
শিলাইদহ গ্রামটি কুষ্টিয়ার মধ্যে নানা কারণে উল্লেখযোগ্য একটি গ্রাম। দুই জেলার মধ্যে নদীপথে যোগাযোগের কারণে বানিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রাম হয়ে উঠেছে। এবং রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি, নৌকা ঘাট, কাঠের বাড়ি প্রভৃতি কারণে গ্রামটি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।[1]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.