Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শামস তাবরিজি (ফার্সি: شمس تبریزی) বা শামস আল দিন মোহাম্মদ (১১৮৫-১২৪৮) ছিলেন একজন ইরানি সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি বিখ্যাত মুসলিম জ্ঞান তাপস জালালউদ্দিন রুমির একজন শিক্ষক ছিলেন। শামস শব্দের অর্থ সূর্য। রুমির লেখা পড়েছে আর শামস এ তাবরিজি-এর নাম শোনেন নি এমন লোক পাওয়া মুশকিল। রুমির সবচেয়ে বড় মহাকাব্য যাকে উৎসর্গ করে লেখা তিনি শামস তাবরিজি, জালালউদ্দিন রুমির ঐশী গুরু। বলা হয়, সত্যিকারের সাধকরা কখনো সমাজের কাছে ধরা দেন না। তারা কেবল তাদের শিষ্যদের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেন। শামস তাবরিজি কতটা প্রজ্ঞাবান এবং কিভাবে পরিপূর্ণ ভাবে স্রষ্টার সাথে লীন হয়ে যেতে পেরেছেন: সেটা দেখা যায় তার শিষ্য রুমির লেখার ভেতর দিয়ে।
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। (সেপ্টেম্বর ২০১৮) |
শামস তাবরিজি | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১১৮৫ |
মৃত্যু | ১২৪৮ খৈয়, ইরান |
ধর্ম | ইসলাম |
মুসলিম নেতা | |
ভিত্তিক | ইরান |
কাজের মেয়াদ | দ্বাদশ শতাব্দীর শেষদিক ও ত্রেয়দশ শতাব্দীর প্রথমদিক |
উত্তরসূরী | জালালুদ্দিন রুমি |
পদ | সুফিবাদ |
শামস তাবরিজি সম্পর্কে ইতিহাস বড্ড ধোঁয়াশা, বড্ড বেশি রহস্যময়। তাবরিজি এতোটাই অস্থির ছিলেন যে তাকে বলা হত "পারিন্দা' বা 'পাখি'।
কখনো কোথাও তিনি থিতু হন নি। কিভাবে কেটেছিল তার শৈশক কিভাবে তার স্রষ্টার দিকে ধাবিত হওয়া এসব সম্পর্কে শামস তাবরিজির লেখা আত্মজীবনী থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
সিপাহ সালার তথ্য অনু্যায়ি, রুমির অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং ভক্ত যিনি তার সাথে চল্লিশ দিন অতিবাহিত করছিলেন। শাসম ইমাম আলা আল-দিন এর পুত্র ছিলেন। শামস যখন খুব ছোট তখন থেকেই তিনি আর দশ জন বাচ্চার মত ছিলেন না। বলা হয়, তিনি ছোট বেলাতেই দৈব দৃষ্টি লাভ করেন। নানা দেশে ভ্রমণ করে নানা ধর্মের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছেন তিনি। সবশেষে তিনি ভালবাসার ৪০টি নিয়ম তৈরি করেন এবং মানব কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেন। শামস তার গোটা জীবনই কাটিয়েছেন সৃষ্টিকর্তার প্রেমে পাগল হয়ে পথে পথে, জীবনকে সঙ্গী করে। স্বষ্টার প্রেমে মত্ত হয়ে উনি উদ্ভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়িয়েছেন শহর থেকে শহরে আর খুঁজেছেন এমন কাউকে যাকে তিনি দিয়ে যেতে পারবেন তার সমস্ত ভাবনা, উপলব্ধি অনুধাবন। যে বুঝবে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রেম হলো স্রষ্টার জন্য প্রেমিক হওয়া। যে হবে তার যথার্থ উত্তরসূরী। নিজের অর্জিত জ্ঞান অন্যকে জানাতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেন এবং সপ্নের মাধ্যমে তিনি তার শিষ্যের খোঁজ পান। তিনি রুমির জীবনে বেশ প্রভাব বিস্তার করেন। তার হঠাৎ মৃত্যু রুমিকে বেশ ব্যাথিত করে। পরে রুমি তার স্মরণে Diwan-e Shams-e Tabrizi() রচনা করেন।কথিত আছে যে দামেস্ক যাওয়ার আগে শামস চল্লিশ দিন ধরে রুমিকে শিক্ষা দিয়েছেন। ধারণা করা হয় শামস ষাট বছর বয়সে কনিয়ায় গমন করেন। শামসের শৈশব কাটে ইরানের তাবরিজে, বাবা কামাল আল দীন জুমদির শিষ্য হিসেবে। রুমির সাথে দেখা হওয়ার পুর্বে শামস নানা দেশ ঘুরে বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি মানুষের সপ্ন ব্যাখ্যা করতেন। অনার্থক চতুরতা, ধন-জ্ঞানের বড়াই করা ছিল তার অপছন্দ। তিনি জ্ঞানী, দরবেশদের সাথে সময় কাটাতেন। কিন্তু কখনো নিজের জ্ঞান প্রদর্শন করতেন না।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.