লোমহর্ষক কল্পকাহিনী
From Wikipedia, the free encyclopedia
লোমহর্ষক কল্পকাহিনী (বা হরর ফিকশন) কল্পসাহিত্যের একটি শাখা যেখানে পাঠক বা দর্শকে ভয় পাওয়ানোই হয় প্রধান লক্ষ্য। ঐতিহাসিকভাবে এই ভয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অতিলৌকিক কল্পনা থেকে সঞ্জাত। ১৯৬০-এর দশক থেকে যেকোনো অস্বাভাবিক, বীভৎস, পরাবাস্তব, অথবা বিশেষভাবে রহস্যময় বা ভীতিপ্রদ বিষয়ভিত্তিক সৃষ্টিকর্মই হরর নামে আখ্যাত হয়ে আসছে। লোমহর্ষক কল্পকাহিনী প্রায়শই কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসির সঙ্গে পরস্পর সম্পৃক্ত আকারে লক্ষিত হয়; বর্তমানে তাই এই তিন ধারাকে একত্রে কল্পসাহিত্য ধারার ছত্রতলে আনা হয়েছে।
ভূতগ্রস্থতাকে (haunting) ভৌতিক ও অস্বভাবী সাহিত্যে মূল কাহিনিকাঠামো হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হানাবাড়ির কিংবদন্তি তো সাহিত্যের একটি পুরনো থিম। উদাহরণস্বরূপ, the আরব্যরজনীর "কাইরেন আলি ও বাগদাদের হানাবাড়ি" গল্পে দেখা যায় জিন পরিপূর্ণ এক হানাবাড়ি।[1] আরব্যরজনীর এই প্রভাব আধুনিক ভৌতিক সাহিত্যেও লক্ষ্য করা যায়, বিশেষত এইচ পি লাভক্র্যাফট রচিত গ্রন্থাবলিতে।[2]
ভীতিপ্রদ সাহিত্যে উৎকর্ষের জন্য একাধিক পুরস্কারও দেওয়া হয়। দ্য হরর রাইটারস অ্যাসোসিয়েশন এই ধারায় শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের জন্য ব্রাম স্টকার অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। এই পুরস্কার দেওয়া হয় বিশিষ্ট ড্রাকুলা-র লেখক তথা বিশিষ্ট ভৌতিক কাহিনিকার ব্রাম স্টকারের নামাঙ্কিত।[3]
আজ ভৌতিক সাহিত্য চলচ্চিত্রেরও অন্যতম জনপ্রিয় ধারা।[4]