লেসোথো (/ləˈsuːtuː,
কেপ কলোনি থেকে আগত ডাচ এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীদের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিবর্তন রূপ পায়। ১৮৩৭ থেকে ১৮৫৫ সালের মাঝে মোশোয়েশো প্রথম কর্তৃক আমন্ত্রিত মিশনারিরা সোথো ভাষায় অর্থোগ্রাফি এবং মুদ্রিত রচনাগুলি প্রকাশ করেছিলেন। দেশটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল এবং আগত ইউরোপীয় এবং করানাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য বন্দুক সংগ্রহ করেছিল। ব্রিটিশ এবং বোয়ারদের সাথে প্রায়ই অঞ্চলভিত্তিক দ্বন্দ্ব লেগে যেত, যার মধ্যে মশেশোর বোয়েরদের বিপক্ষে ফ্রী স্টেট–বাসোথ যুদ্ধ এ উল্লেখযোগ্য বিজয় অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু ১৮৬৭ সালের চূড়ান্ত যুদ্ধের পর রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে আবেদন করা হলে তিনি রাজি হন বাসুতল্যান্ডকে বৃটিশ রাজ্যের অধীনস্থ করার। [3] ১৮৬৯ সালে ব্রিটিশরা আলিওয়ালে বোয়েরদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে যা বাসুতোল্যান্ড এবং পরবর্তীতে লেসোথোর সাথে সীমানা সংজ্ঞায়িত করে, যা পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলিকে পরিত্যাগ করে মোশয়েশোর রাজ্যটিকে কার্যকরভাবে তার আগের আকারের অর্ধেক করে দেয়।
১৯৬৬ সালে বাসুতোল্যান্ড এর স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত বাসুতোল্যান্ড এর ওপর ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ এর হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে । স্বাধীনতার পর এটি কিংডম অফ লেসোথো নাম নেয়। কিন্তু শাসনাধীন বাসোথো ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) স্বাধীনতত্তোর প্রথম সাধারণ নির্বাচন বাসোথো কংগ্রেস পার্টির (বিসিপি) কাছে হেরে গেলে লেয়াবুয়া জোনাথন পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং নিজেকে টোনা খোলো(সেসোথো ভাষায় প্রধানমন্ত্রী) ঘোষণা করেন। বিসিপি বিদ্রোহ শুরু করে যা ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে । এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতা তৎকালীন আনুষ্ঠানিক রাজা মশেশো তৃতীয় কাছে হস্তান্তর হয় কিন্তু তিনি এর পরের বছরেই সেনাবাহিনীর আনুকূল্য হারালে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। তার পুত্রকে লেটসি তৃতীয় নামে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।১৯৯৮ এ লেসোথো কংগ্রেস ফর ডেমোক্রেসি (এলসিডি) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা স্বীকৃত সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি অশান্তিকর থাকে যার মধ্যে ১৯৯৪ সালের অগাস্টে লেটসী তৃতীয় দ্বারা সংঘটিত স্ব অভ্যুত্থানও ছিল। বিরোধীদলীয় পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সত্ত্বেও দেশটিতে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে।
ভূমিক্ষয় প্রবণ এলাকা থেকে দক্ষিণ দিকে অভিবাসনের এক পর্যায়ে বান্টুভাষী জনপদ বর্তমানকালের লেসোথো এবং এর চারপাশের উর্বর ভূমিতে বসতি স্থাপন করে। এই জনপদের লোকেরা সেসোথো নামের একটি "দক্ষিণ সোথো" উপভাষা ব্যবহার করত এবং নিজেদেরকে বাসোথো বলে পরিচয় দিত। 19 শতকের শুরুর দিকে বাসোথোরা বেশ কয়েকটি চরম বাধার সম্মুখীন হয়। বলা হয়ে থাকে এইসব বাধার একটি ছিল লিফাকেনের অংশ হিসেবে জুলুল্যান্ড থেকে নির্বাসিত লুটেরা জুলু সম্প্রদায়, যারা প্রথমে পশ্চিম এবং পরে উত্তরে, স্থানান্তর করার সময় সামনে পড়া বাসোথদের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালাতো। অন্যটি হলো জুলুরা উত্তরে অতিক্রম করার সাথে সাথেই প্রথম ভূর্ট্রেককেরদের দের আগমন ঘটে যাদের মধ্যে কেউ কেউ উত্তরে তাদের ভ্রমণকালে আতিথিয়তা লাভ করেছিল। শুরুর দিককার ভুরট্রেকারদের বর্ণনায় পাওয়া যায় বাসোথদের পাহাড়ের আশেপাশের জমি কীভাবে পোড়ানো এবং ধ্বংস করা হয়েছিল। য ফলে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে ভূর্ট্রেককেররা দখল করতে শুরু করে।[4]
তবে আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের ইতিহাসের এই ব্যাখ্যাটি একটি বিতর্কের বিষয়। নরম্যান এথেরিংটোন দ্য গ্রেট ট্রেক্স: ট্রানসফর্মেশন অফ সাউদার্ন আফ্রিকা,১৮১৫-১৮৫৪তে এটি খন্ডনের একটি প্রচেষ্টা চালান। এথেরিংটোন যুক্তি দেন যে মফেকেন নামে কিছু ঘটেনি ।জুলুরা অন্য কোন গোত্র থেকে কোন অংশে কম লুটেরা ছিল না। ভূর্ট্রেককেকেরা যেসব জমি খালি দেখেছিল তা জুলু বা বাসোথো কারো দ্বারাই আবাদ হতো না ।কেননা তারা এসব খোলা নিচু সমতলকে চারণভূমি হিসেবে মূল্য দিতো না।[5]
বাসোথো রাষ্ট্রকে স্বাধীন করার যুদ্ধ
১৮১৮ সালে মশেশো প্রথম /moʊˈʃweɪʃweɪ/ বিভিন্ন বাসোথো গোত্রকে একত্রিত করে রাজা হন। মশেশোর রাজত্বকালে (১৮২৩-১৮৭০) ঐতিহ্যবাহী বাসোথো দ্বীপে বসতি স্থাপনকারী বোয়েরদের সাথে একটানা অনেকগুলো যুদ্ধ(১৮৫৬-৬৮) সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলে ভূমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় যার ফলে অঞ্চলটি এখন " হারানো অঞ্চল" নামে পরিচিত।
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.