লেসুলা
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লেসুলা (বৈজ্ঞানিক নাম:Cercopithecus lomamiensis) আফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে আবিষ্কৃত নতুন প্রজাতির বানর। পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স নামের অনলাইন সাময়িকীর এক খবরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নামেই বানরকে ডাকে।[1]
জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা যায় এই বানর ওল্ড ওয়ার্ল্ড মাংকিজ-এর গুয়েনন গ্রুপের সদস্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম লোমামি নদীর নামানুসারে ‘সারকোপি-থেকাস লমামিয়েনসিস’। গবেষকদের হিসাব অনুসারে এই বানরদের বিচরণ ক্ষেত্র মধ্য কঙ্গোর সাড়ে ৬ হাজার মাইলব্যাপী বিস্তৃত। তাদের আশঙ্কা, এই অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র এলাকায় বসবাস এই প্রাণীগুলোকে মানুষের চাপের কাছে অরক্ষিত। আদিবাসী বুশম্যানদের শিকারের ফলে এরা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। লেসুলা বানরগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অরক্ষিত থেকে মারাত্মক বিপন্ন অবস্থার দিকে ধাবিত হতে পারে।[2] বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, অবহেলিত এই নতুন প্রজাতির বানরগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির দিকে যাবে। জীববিজ্ঞানীরা ওই অঞ্চলে আরও কিছু নতুন জীব প্রজাতি থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।
লেসুলার মুখের অনেকটা অংশ লোমহীন। এদের নাক বেশ লম্বা। মাথা ও মুখের পাশে উজ্জ্বল লোম রয়েছে।[1] খাড়া নাকবিশিষ্ট প্রজাতিটি দেখতে অত্যন্ত নাদুস নুদুস। তাদের সারা গায়ে উজ্জল রংয়ের ঘণ কেশ রয়েছে। অগ্রভাগে কেশগুলো ক্রমেই ধূসর হয়ে গেছে। এদের ক্রিম কালার উঁচু খাড়া ধরনের নাক দিয়ে সহজেই তাদেরকে চিহ্নিত করা যায়।[3] লেসুলার চোখ মানুষের চোখের মতো বড়, গোলাপি রংয়ের মুখের গড়ন কিছুটা পেঁচার মতো, লেজটি লম্বা এবং গায়ের রংও ভিন্ন। এরা স্বভাবতই লাজুক ও শান্ত।[4][5]
এরা ভূমি ও গাছ উভয় স্থানেই বিচরণ করে। লেসুলা ফল ও সবজি খেয়ে জীবন ধারণ করে।[4]
কঙ্গোর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া দু’টি নদীর (কঙ্গো নদী ও লোমামি নদী) মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই বানরগুলোর বসবাস।[3]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.