লেজার
From Wikipedia, the free encyclopedia
লেজার একটি আদ্যক্ষরা। ইংরেজি অক্ষর LASER এর L হল Light, A হল Amplification, S হল Stimulated, E হল Emission, R হল Radiation; অর্থাৎ LASER এর পূর্ণ শব্দটি হল Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation,[1][2] অর্থাৎ বিকিরণের উত্তেজিত নিঃসরণের দ্বারা আলোক বিবর্ধন। চার্লস হার্ড টাউনস ও আর্থার লিওনার্ড শলোএর তাত্ত্বিক গবেষণাকর্মের ভিত্তিতে ১৯৬০ সালে থিওডোর হ্যারল্ড মাইম্যান হিউজেস রিসার্চ ল্যাবরেটরিস এ প্রথম লেজার তৈরী করেন।[3][4][5]
সাধারণ আলোতে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ থাকে। একই বর্ণের আলোতে একই দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ থাকলেও তারা বিভিন্ন তলে চলে। কিন্ত লেজারে সব তরঙ্গই হয় একই দৈর্ঘ্যের এবং তারা একই তলে চলে; অর্থাৎ লেজার রশ্মি সংসক্ত। এ রশ্মি অত্যন্ত ঘন সংবদ্ধ একমুখী বলে তা অনেক পথ অতিক্রম করতে পারে এবং এরা মাত্র কয়েক মাইক্রন (১ মাইক্রন = ১০-৩ মি. মি.) চওড়া। এজন্য এতে প্রচণ্ড তাপশক্তি সঞ্চার করা সম্ভব হয় এবং তাপমাত্রা সূর্য পৃষ্ঠ তাপমাত্রার চেয়েও বেশি হয়। ফলে লেজার রশ্মি দিয়ে মানুষের একটা চুলকেও ছিদ্র করা সম্ভব।[6]লেজারগুলি অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভ, লেজার প্রিন্টার, বারকোড স্ক্যানার, ডিএনএ সিকোয়েন্সিং যন্ত্র, ফাইবার-অপটিক, সেমিক, সেমিকন্ডাক্টিং চিপ ম্যানুফ্যাকচারিং (ফটোলিথোগ্রাফি), এবং ফ্রি-স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশন, লেজার সার্জারি এবং ত্বকের চিকিৎসা, কাটিয়া এবং লেজার বীম ওয়েল্ডিং, সামরিক এবং আইন প্রয়োগকারী ডিভাইস, পরিমাপ পরিসীমা, গতি চিহ্নিত করার জন্য এবং বিনোদনের জন্য লেজার আলো প্রদর্শনে ব্যবহৃত হয়। নীল রশ্মি থেকে কাছাকাছি ইউভি রশ্মিতে সেমিকন্ডাক্টর লেজার দ্বারা সাদা আলোর উৎস হিসেবে প্রতিপ্রভা-কে উত্তেজিত করার জন্য আলোক নিঃসারী ডায়োড (এলইডি) ব্যবহার করা হয়েছে। একটি লেজারের অনেক বেশি উজ্জ্বলতার কারণে একটি ছোট নির্গমন এলাকার যায় এবং এলইডি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ড্রুপটি এড়িয়ে চলে, এই ধরনের ডিভাইস ইতিমধ্যে কিছু গাড়ী সামনের বাতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[7][8][9][10]