Loading AI tools
দক্ষিণ কোরীয় ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লি ছং ইয়ং (কোরীয়: 이청용; জন্ম ২ জুলাই ১৯৮৮) একজন দক্ষিণ কোরিয়ান ফুটবলার, যিনি প্রিমিয়ার লিগের দল ক্রিস্টাল প্যালেস এবং দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় দলের হয়ে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
জন্ম | ২ জুলাই ১৯৮৮ | ||
জন্ম স্থান | সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মি (৫ ফু ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মিডফিল্ডার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ক্রিস্টাল প্যালেস | ||
জার্সি নম্বর | ১৪ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০১-২০০৩ | ডোবোং মিডল স্কুল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৪-২০০৯ | এফসি সিউল | ৫৪ | (১১) |
২০০৯-২০১৫ | বোল্টন ওয়ান্ডারার্স | ১৭৪ | (১৭) |
2015– | ক্রিস্টাল প্যালেস | ৩২ | (১) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৩-২০০৫ | দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব- ১৭ | 6 | (6) |
২০০৬-২০০৭ | দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-২০ | 18 | (১) |
২০০৭-২০০৮ | দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ | 7 | (০) |
২০০৮- | দক্ষিণ কোরিয়া | ৭৮ | (৮) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং 16:16, ১৬ নভেম্বর ২০১৭ (UTC) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা 01:30, ১৬ নভেম্বর ২০১৭ (UTC) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
২০০৪ সালে ১৬ বছর বয়সে কে লিগের দল এফসি সিউলে যোগ দেন এবং ২০১৬ সালে দলটির হয়ে অভিষিক্ত হন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে টাইম পত্রিকার জরিপে সেরা ৫০ উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন।[1]
২০০৩ সালে এফসি সিউলের ম্যানেজার চো ইয়াং-রে যুবদলের উন্নয়নের জন্য ডোবোং মিডল স্কুলের একটি ম্যাচে উপস্থিত হন। ম্যাচের প্রথমার্ধে তিনি লি ছং ইয়ং- এর প্রতিভা দেখতে পান। তিনি সিদ্বান্ত নেন তাকে দলে নেয়ার, তাই মাঠেই তাকে ক্লাবে নেয়।[2] ফলে লি মিডল স্কুল ছেড়ে এফসি সিউলে যোগ দেয়। ২০০৪ সালের লিগ কাপে তিনি বদলি হিসেবে একটি ম্যাচ খেলেন, ২০০৬ সালে কে লিগের হয়ে তার অভিষেক হয়।
২০০৭ সালে, সেনোল গুয়েনেস এফসি সিউলে ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপে তুরস্ককে ৩য় স্থান লাভ করায়। লি ছং ইয়ং এর খেলা দেখে তিনি বুঝতে পারেন সে মুল একাদশের হয়ে খেলার যোগ্য। সেই মৌসুমে লিং ছং ইয়ং ১৫ টি লিগ ম্যাচে খেলেন এবং ৩ টি গোল করেন।
২০০৮ সালে তিনি এফসি সিউলের মুল একাদশের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পান। সেবার ২২ টি লিগ ম্যাচে ৫ টি গোল করেন। ২০০৯ সালের মৌসুমে লি তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখে এবং ৭ মার্চে উদ্বোধনী ম্যাচে চুন্নাম ড্রাগন্সের বিপক্ষে ৩ টি এসিস্ট করেন, ৪ এপ্রিলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী সুয়োন সেমসাং ব্লুউইংসের বিপক্ষে জয়সুচক গোল করেন।
২০০৯ সালের ১৪ আগস্ট লি ছং ইয়ং ২.২ মিলিয়ন ইউরোতে ৩ বছরের চুক্তিতে প্রিমিয়ার লিগের দল বোল্টনে যোগ দেন।[3] এই সম্পর্কে তিনি বলেন " আমি আমার ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছি এবং ক্লাবের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে আছি।"[4]
২০০৯ সালের ১৫ আগস্টে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে গেভিন ক্যানের বদলি হিসেবে নেমে প্রথম ম্যাচ খেলেন। বার্মিংহাম সিটির বিপক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বরে বোল্টনের হয়ে প্রথম গোল এবং জয়সূচক গোলটি করেন। টটেনহাম হটস্পায়ারের বিপক্ষে ম্যাচে একটি এসিস্ট করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।[5] ভালো পার্ফমেন্সের সুবাদে তিনি টানা দুবার ইএসপিএন সকারনেট সাপ্তাহিক একাদশে জায়গা পান। মৌসুম শেষে লি বোল্টন প্লেয়ার অফ দ্যা সিজন এবং সেরা উদীয়মান নির্বাচিত হন। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের পর লিভারপুল তার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। তবে লি ২৫ নভেম্বরে বোল্টনের সাথে নতুন চুক্তি করেন এবং ২০১৩ পর্যন্ত থাকার সিদ্বান্ত নেন। ২০১১ সালের ৩০ জুলাইতে প্রাক মৌসুম প্রীতি ম্যাচে নিউপোর্ট কাউন্টির বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েন। ফলে ৯ মাসের জন্য খেলতে পারেনি। ২০১২ সালের ২৯ শে মেতে লি ২০১৪-১৫ মৌসুম পর্যন্ত চুক্তি বাড়ান।[6] সেই মৌসুমে তিনি যেসকল ম্যাচে গোল করেছেন তার প্রত্যেকটি ম্যাচেই বোল্টন জয়লাভ করে।
২০১২-১৩ সালে লি ফিটনেসের উন্নতি করে দলে যোগ দেন। চেম্পিয়েন্সিপে ৪ গোল এবং ৭ টি এসিস্ট করেন।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারির দলবদলের শেষদিনে লি প্রিমিয়ার লিগের দল ক্রিস্টাল প্যালেসে যোগ দেন। লি ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি করেন।[7] ২০১৫ সালের ২৫ আগস্টে প্যালেসের হয়ে প্রথম গোল করেন। ১৯ ডিসেম্বরে স্টোক সিটির বিপক্ষে ৯০ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে গোল করেন, ম্যাচটি ক্রিস্টাল প্যালেস ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
লি ২০০৭ ফিফা অনুদ্ধ-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়া অ-২০ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-২০ দলের পর লি ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলে সুযোগ পান। ১৭ অক্টোবর ২০১৭ সালে সিরিয়ার দামেস্কে প্রথম ম্যাচটি খেলেন।
৩১ মে ২০০৮ সালে ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জর্ডানের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলেন। ৫ সেপ্টেম্বর ফিরতি লেগে সিউল ওয়াল্ড কাপ স্টেডিয়ামে প্রথম গোল করেন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ১৭ই জুনে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথমার্ধে গোল করেন।[8] লি ২য় রাউন্ডে উরুগুয়ের বিপক্ষে আবার গোল করেন, তবে ম্যাচটি ২-১ গোলে হারে কোরিয়া।
২০১৩ সালে ১৫ অক্টোবরে মালির বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে নিজের ৫০ তম ম্যাচ খেলেন। ম্যাচটিতে তার ২ এসিস্টের সুবাদে কোরিয়া ৩-১ গোলে বিজয়ী হয়। ১ মাস পর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন এবং ৮৭ মিনিটে জয়সুচক গোল করেন। এটি তার ৩ বছর পর প্রথম গোল ছিল।
লি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়া দলে সুযোগ পান। তবে গ্রুপ পর্বে তার দল বাদ পড়ে। ২০১৫ সালের এএফসি কাপে কোরিয়া দলে সুযোগ পান।
২০১৪ সালের ১২ জুলাই সিউলে লি তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বান্ধবী শিলাকে বিয়ে করেন।[9]
লি ধূমপান ও মদপান করেনা, এমনকি কফিও পান করেননা। তিনি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা ইংরেজি ক্লাসে ইংরেজি শেখেন।[10]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.