Loading AI tools
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লিবিয়ার ইতিহাস আদিবাসী বর্বর যাযাবর উপজাতিদের সাথে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সংমিশ্রণের ইতিহাস। সেই নুমিডিয়ানদের যুগ থেকে সোমালিয়ার বর্বর উপজাতি, মালির টিমবুক্টু উপজাতিদের মতো বর্বর উপজাতিদের উপস্থিতি রয়েছে লিবিয়ার ইতিহাসের সর্বত্রই। ইতিহাসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, লিবিয়া নিয়ন্ত্রিত হয়েছে ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন শাসকদের মাধ্যমে। স্বাধীন লিবিয়ার আধুনিক ইতিহাসের পরতে পরতে তাই রয়েছে বিপ্লব আর প্রতিবিপ্লবের ছাপ।
যুগ ভিত্তিক লিবিয়ার ইতিহাস আলোচনা করতে তাই এর ইতিহাসকে ছয়টি যুগে বিভক্ত করা যায়। যথাক্রমে প্রাচীন লিবিয়া, রোমান যুগ, ইসলামিক যুগ, অটোমান শাসন, ইতালিয়ান শাসন এবং আধুনিক যুগ।
সাহারা মরুভূমি, যা এখন প্রায় ৯০% লিবিয়া জুড়ে রয়েছে, এককালে তা ছিলো সবুজ ও ঊর্বর ভূমি। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে প্রাগৈতিহাসিককালে সাহারা মরুভূমিতে হ্রদ, বন, এবং বন্যজীবন এর উপস্থিতি ছিলো এবং এর জলবায়ু ছিলো ভূমধ্যসাগরীয় নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু। ঊর্বর সেই সমভূমিটি ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকেই নব্যলিথিক জনগণের কাছ পরিচিত ছিলো। সেই জনগোষ্ঠী ঊর্বর ভূমি ও জলবায়ুগত সুবিধার কারণের লিবিয়া জুড়ে নিজস্ব সংস্কৃতির বিস্তার করে এবং পশুপালন ও চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতো। [1]
পরবর্তীতে ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের পরিবর্তনের ফলে "সবুজ সাহারা"র দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে । কালের বিবর্তনে জলুবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আফ্রিকার আটলান্টিক উপকূল থেকে মিশরের সিওয়া ওয়েসিস পর্যন্ত সবুজ ঊর্বর সাহারা জনবিচ্ছিন্ন ঊষর মরুভূমিতে পরিণত হয়।
ধারণা করা হয় যে ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকে যাযাবর বর্বর উপজাতিদের পূর্বপুরুষেরা আফ্রিকা হতে এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। দক্ষিণ লিবিয়ার গার্মায় বসবাস করা এই উপজাতিরা গ্যারামেন্টেস নামে পরিচিত যারা এ অঞ্চলে বিস্তৃত ভূগর্ভস্থ সেচ ব্যবস্থা ব্যবহার প্রচলন করেছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে, ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের মধ্যে তারা সম্ভবত ফেজনে নামক অঞ্চলে বসবাস শুরু করে এবং ৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সাহারায় স্থানীয় শক্তি হিসেবে প্রাধান্য বিস্তার করে। পূর্বদিক থেকে লিবিয়ায় আগত সেমেটিক সভ্যতার লেবু উপজাতি, গ্যারামেন্টস এবং সাহারাতে বসবাসকারী অন্যান্য বর্বর উপজাতিগুলি্র সাথে আধুনিক লেবানন অঞ্চলে অবস্থিত সেকালের সেমেটিকভাষী ফিনিশয়দের সাথে যোগাযোগ ছিল।
প্রাচীন লিবিয়াঃ ফিনিশীয় ও গ্রিক সভ্যতা
ফিনিশিয়ানরা ছিলো লিবিয় উপকূলীয় বাণিজ্য পোস্ট স্থাপনকারী প্রথম সভ্যতা। ফিনিশিয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বর্বর উপজাতির সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল এবং তাদের সাথে বাণিজ্যের কাঁচামাল আহরণে সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য চুক্তি করেছিল। [2][3] খ্রিস্টপূর্ব ৫ ম শতাব্দীর মধ্যে, ফিনিশিয়ান উপনিবেশগুলির মধ্যে বৃহত্তম উপনিবেশ, যা কার্থেজ নামে পরিচিত ছিল, তারা উত্তর আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে এর আধিপত্য বিস্তার করে। এভাবে কালক্রমে লিবিয়ায় পুনিক নামে পরিচিত একটি স্বতন্ত্র সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। লিবিয়ার উপকূলে পুনিক বসতিগু্লির ওয়া (পরবর্তী ত্রিপলি), লিবিদা (পরে লেপটিস ম্যাগনা) এবং সাব্রথা নামক তিনটি শহরে বিস্তৃত ছিল যা পরবর্তী সময়ে ত্রিপোলিস বা "তিনটি শহর" নামে পরিচিত লাভ করে। আধুনিক লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি নামটি আসে সেখান থেকেই।
খ্রিস্টপূর্ব ৬৩০ সালে, প্রাচীন গ্রীকরা পূর্ব লিবিয়া উপনিবেশ স্থাপন করেছিল এবং সাইরেন শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। [4] ২০০ বছরের মধ্যে, আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রীক নগর সেই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা সেরেনাইকা নামে পরিচিত হয়েছিল: বার্স (পরে মার্জ); ইউস্পেরাইডস (পরবর্তীকালে বেরেনিস, বর্তমান বেনগাজি); তৌচাইরা (পরে আর্সিনোয়, বর্তমান তৌচেরিয়া); বালাগ্রে (পরে বায়দা এবং বেদা লিটোরিয়া ইতালিয়ান অধীনে, বর্তমান বেয়দা); এবং অ্যাপোলোনিয়া (পরে সুসা), সাইরেন বন্দর। [5] সাইরেন এর সাথে তারা একসাথে পেন্টাপলিস (পাঁচটি শহর) নামে পরিচিত ছিল। সাইরেন গ্রীক বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর বৌদ্ধিক ও শৈল্পিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে এবং এটি মেডিকেল স্কুল, বুদ্ধিজীবীতা এবং স্থাপত্যবিদ্যা এর জন্য বিখ্যাত ছিল। পেন্টাপোলিসের গ্রীকরা উক্ত অঞ্চলকে পুবের প্রাচীন মিশরীয়দের পাশাপাশি পশ্চিমের কার্থাজিনিয়ানদের দখল প্রতিরোধ করেছিল।
খ্রিস্টপূর্ব ৫২৫ খ্রিস্টাব্দে গ্রিকদের প্রতিরোধ ভেঙে যায় এবং দ্বিতীয় ক্যামবাইসিস এর পার্সিয়ান সেনাবাহিনীর হাতে সেরেনাইকা এর পতন ঘটে। ফলে পরবর্তী দুই শতাব্দীর জন্য পারস্য বা মিশরীয় শাসনের অধীনে চলে যায় গ্রিকদের পেন্টাপোলিস। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার সেরেনাইকা অধিগ্রহণ করলে গ্রীকরা আলেকজান্ডারকে সমর্থন জানায়। অপরদিকে পূর্ব লিবিয়া পুনরায় গ্রিক জাতির নিয়ন্ত্রণে আসে টলেমাইক রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে পেন্টাপলিসের একটি ফেডারেশন হিসেবে আবির্ভূত হয় যা অনানুষ্ঠানিকভাবে শাসিত হতো টলেমাইক রাজ্যের রাজার মাধ্যমে।
শেষ গ্রীক শাসক টলেমি অ্যাপিওন খ্রিস্টপূর্ব 74৪ খ্রিস্টাব্দে রোম সাম্রাজ্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরেনাই্কা দান করেছিলেন এবং সেনেরাইক রোম সাম্রাজ্যের প্রদেশ হিসাবে ক্রিটের সাথে সংযুক্ত হয় । রোমান গৃহযুদ্ধের সময় ত্রিপলিটানিয়া (ত্রিপোলি এবং এর আশেপাশের অঞ্চল ) এবং সেরেনাইক এর প্রতিরোধ যথাক্রমে সিজার এবং অক্টাভিয়ার বিরুদ্ধে পম্পে এবং মার্ক অ্যান্টনিকে টিকিয়ে রেখেছিলো। [6] সম্রাট অগাস্টাসের সময় রোমানদের রাজ্যজয়ের অভিপ্রায়ের ফসল হিসেবে আফ্রিকা বিজয়ের পর লিবিয়া আফ্রিকার নোভা প্রদেশের অংশে পরিণত হয়। বলা যায়, অগাস্টাসের সময় থেকে আফ্রিকার নোভা প্রদেশের অংশ হিসেবে বিবেচিত সময়কালে ত্রিপলিটানিয়া সমৃদ্ধির শিখরে অবস্থান করছিলো। এর মধ্যে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শতাব্দীকে অত্র অঞ্চলের স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে সম্রাট ক্লডিয়াসের যুগে সেরেনাইক এর প্রথম খ্রিস্টান সম্প্রদায়গুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা কিটোস যুদ্ধের সময় ( রোমান-ইহুদিদের মাঝে সংঘটিত যুদ্ধগুলির মাঝে অন্যতম) ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল। কিটোস এর যুদ্ধে উক্ত অঞ্চল হতে প্রায় একইভাবে গ্রীক রোমান ও ইহুদিগণ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। যদিও পরবর্তীতে রোমান সম্রাট ট্র্যাজন এর তত্ত্বাবধানে উক্ত এলাকায় সামরিক উপনিবেশগুলির সাথে পুনরায় জনবসতি স্থাপিত হয়, তবে ততদিনে সমৃদ্ধ ত্রিপলিটানিয়া্র গৌরব ক্ষয় হতে শুরু করে।
৬৪৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমান (বাইজান্টাইন) শাসনামলের ক্ষয়িষ্ণু শক্তির ত্রিপলটানিয়ার উপকূলীয় দূর্গগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরবীয় ঘোড়াসওয়ারদের প্রতিরোধ করার মতো ততটা শক্তিশালী ছিলো না। মক্কা বিজয়ের পর হতে মুসলিম সাম্রাজ্য (খোলাফায়ে রাশেদিন ও উম্মাইয়া খেলাফতকালে) পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো জয়ের দিকে নজর দেয় এ্বং অল্প সময়ের মধ্যে সিরিয়া, পারস্য (ইরাক ও ইরান), মিশর এবং লিবিয়াসহ আশেপাশের অঞ্চলগুলো আংশিক বা পূর্ণাঙ্গভাবে তাদের অধীনস্থ হতে শুরু করে। ৬৪৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে আমর ইবনে আল আস-এর সেনাপতিত্বে ইসলামের সেনাবাহিনী সেরেনাইকা জয় করে এবং পেন্টাপোলিসের নামকরণ করে বার্কা। মুসলিম বাহিনী ত্রিপোলির অভ্যন্তরেও প্রবেশ করে এবং শহরের রোমান রক্ষাপ্রাচীর ধ্বংস করে । পরবর্তীতে ৬৪৭ খ্রিস্টাবের খলিফা উসমানের পালক-ভাই আবদুল্লাহ ইবনে সাদের নেতৃত্বে ৪০,০০০ আরবের একটি বাহিনী পশ্চিম লিবিয়ার গভীরে প্রবেশ করে এবং বাইজেন্টাইনদের কাছ থেকে ত্রিপোলিকে ছিনিয়ে নেয়। ৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে উকবা ইবনে নাফি এর নেতৃত্বে বার্কা থেকে ফেজন (লিবিয়ার দক্ষিণ অঞ্চল) অভিমুখে মুসলিম বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে এবং সেখানে বসবাসরত বর্বর উপজাতিদের প্রতিরোধকে পরাভূত করে ফেজেন-এ মুসলিম সাম্রাজ্যের পতাকা উত্তোলন করে। বণিক সম্প্রদায়কে স্বাধীনভাবে বাণিজ্য করার সুযোগ দিয়ে এবং আরবীয় শাসনকে মেনে নেবার প্রতিশ্রুতি দান করা কৃষকদের নিজেদের ভূমিতে চাষাবাদের সুযোগ দেবার মধ্য দিয়ে আরবীয়রা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই লিবিয়ার হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। তাছাড়া বাইজেন্টাইন নিপীড়ন থেকে মুক্তিদাতা হিসাবে স্থানীয় অধিবাসীরা মুসলিম আরবকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। পার্বত্য অঞ্চলের বর্বর উপজাতিরা ইসলাম গ্রহণ করেছিল, তবে তারা তাদের স্থানীয় গোত্র শাসনের উপর চাপিয়ে দেয়া আরবের রাজনৈতিক শাসনকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিহত করেছিল।
পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে লিবিয়া বিভিন্ন ইসলামী রাজবংশের শাসনের অধীনে এসেছিল, তৎকালীন উম্মাইয়া, আব্বাসীয় এবং ফাতিমি (শিয়া খেলাফত) খলিফাদের বিভিন্ন স্তরের স্বায়ত্তশাসনের অধীনে ছিল। তবে মুসলিম খেলাফত বিভিন্ন রাজবংশের হাতে পরিবর্তন এবং বিশেষত কারবালা প্রান্তে ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর শহীদের পর সুস্পষ্টভাবে রাজনৈতিক এবং ধর্মতত্ত্বের দিক থেকে সুন্নি ও শিয়া- এই দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়া মুসলিম বিশ্বের বৈরি প্রভাব অত্র অঞ্চলেও পড়েছিলো। তাই কয়েক শতাব্দীর মধ্যেই তাই লিবিয়ার পুনরদ্ধারকৃত গৌরব আবার ফিকে হতে শুরু করে।
উম্মাইয়া খেলাফতকালে লিবিয়া দামেস্ক থেকে শাসিত হতো। তবে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয়দের হাতে উম্মাইয়া বংশের উৎখাতের পর লিবিয়া আব্বাসীয় খেলাফতের অধীনে বাগদাদ এর অধীনে শাসিত হতো। বাগদাদের প্রখ্যাত খলিফা হারুন আল-রশিদ ৮০০ খ্রিস্টাব্দে ইব্রাহিম ইবনে আল-আঘলবকে ইফরিকিয়ায় তাঁর গভর্নর নিযুক্ত করলে লিবিয়া পরবর্তী সময়কালে আঘলাববী বংশের অধীনে যথেষ্ট স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করেছিল। আবঘালীরা জনকল্যাণকর শাসক ছিলেন । তারা অত্র অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন করেন এবং রোমান সেচ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করেছিল যা কৃষিক্ষেত্র থেকে এই অঞ্চলে সমৃদ্ধি এনেছিল। নবম শতাব্দীর শেষের দিকে, শিয়া ফাতিমিয়রা তাদের পশ্চিম রাজধানী মাহদিয়া থেকে পশ্চিম লিবিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। পরবর্তীতে ৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তারা তাদের নতুন রাজধানী কায়রোতে স্থানান্তর করলে কায়রো থেকেই পুরো লিবিয়া শাসন করা শুরু করে এবং বলোঘাইন ইবনে জিরি-কে গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত করে। ফাতিমিয় শাসনের সময়, সুদান থেকে আনীত দাস এবং স্বর্ণ ব্যবসায় সমৃদ্ধ ছিলো লিবিয়া। ফাতিমিয়রা লিবিয়ার বন্দর ব্যবহার করে ইতালির সাথে ব্যবসা করতো । ইতালিতে পশম, চামড়া এবং লবণের রপ্তানির বিপরীতে লিবিয়া কাঠ ও লোহার জিনিস আমদানি করতো।
পরবর্তীতে ফাতিমিয়দের নিযুক্ত গভর্নর ইবনে জিরি-এর জিরিয় রাজবংশ শিয়া শাসন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাগদাদের সুন্নি আব্বাসীদেরকে ন্যায়সঙ্গত খলিফা হিসাবে মেনে নিলে প্রতিশোধ হিসেবে ফাতি্মিয়রা উত্তর আফ্রিকা হতে বিশৃঙ্খল ও কুখ্যাত আরব বেদুইন উপজাতি যথাক্রমে বনু সুলাইমা এবং বনু হিলাল-কে থেকে লিবিয়াতে অনুপ্রবেশ করায়। হাজার হাজার অধিবাসীর এই দুটি উপজাতীয় গোত্র কেবলমাত্র জিরিয় রাজবংশের জন্য রাজ্যশাসনকেই কঠিন করে তুলেনি, তারা লিবিয়ার প্রান্ত অঞ্চলে মারাত্নক বিশৃঙ্খলা আনয়ন করে। ফলে এ অঞ্চলে আব্বাসীয় সুন্নি প্রভাব তথা এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত আরবিকরণকে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রখ্যাত আরবীয় বুদ্ধিজীবী ইবনে খালদুন উল্লেখ করেছিলেন যে বনু হিলাল হানাদার বাহিনী লিবিয়ার জমিগুলোকে সম্পূর্ণ শুষ্ক মরুভূমিতে পরিণত করে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.