ঠোঁট রঙ করার জন্য ব্যবহৃত প্রসাধনী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ওষ্ঠরঞ্জনী বা ইংরেজিতে লিপস্টিক (ইংরেজি: lipstick) হচ্ছে এক প্রকার প্রসাধনী দ্রব্য যা বিভিন্ন রকম রঞ্জক পদার্থ, তেল, মোম এবং ত্বক কোমলকারী পদার্থের সন্নিবেশে তৈরি হয় এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তা ঠোঁটে প্রয়োগ করা হয়। ওষ্ঠরঞ্জনী বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। ওষ্ঠরঞ্জনী সাধারণত নারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় এবং রূপসজ্জার কার্য ব্যতীত ছেলেরা এটি ব্যবহার করেন না। নারীদের ক্ষেত্রেও বয়সন্ধিকালে রয়েছেন এমন মেয়ে বা তরুণীরা সচারচর ওষ্ঠরঞ্জনী ব্যবহার করেন না, কারণ সেসময় ঠোঁটের প্রাকৃতিক রং ও ভাঁজ, সর্বোপরি সৌন্দর্য অটুট থাকে।.[১]
প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার নারীদের মাঝে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঠোঁটে ওষ্ঠরঞ্জনী ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।[২] প্রাচীন মিশরীয়রা সামুদ্রিক আগাছা থেকে[৩] আরোহিত পার্পল-লাল রং এর এক প্রকার পদার্থের সাথে ০.০১% আয়োডিন, এবং কিছু ব্রোমিন মিশিয়ে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করতেন, যা ওষ্ঠরঞ্জনী হিসেবে প্রয়োগ করা হতো। রানী ক্লিওপেট্রা তাঁর ঠোঁটে ওষ্ঠরঞ্জনী ব্যবহার করতেন যা তৈরি হতো মেরুন রংয়ের বিটল পোকা থেকে, এর ফলে ঠোঁটে একটি গাঢ় লাল আভা ফুটে উঠতো, এছাড়া বেজ দেওয়া জন্য ব্যবহৃত হতো পিঁপড়া।
আগে কেবলমাত্র প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ওষ্ঠরঞ্জনী তৈরি করা হতো। তবে যুগের আধুনিকতার সাথে সাথে ওষ্ঠরঞ্জনীর উপকরণেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে তা তৈরিতে সব সময় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। বর্তমানে আধুনিক উপায়ে অনেক রাসায়নিক দ্রব্য তথা উপকরণ ব্যবহারে তৈরি হচ্ছে ওষ্ঠরঞ্জনী বা লিপস্টিক। বিভিন্ন মার্কা বা কোম্পানি বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহারে নানা উপায়ে তৈরি করছে এসব ওষ্ঠরঞ্জনী। তারা বিভিন্ন দামে সেগুলো বিক্রিও করছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের মার্কার ও রঙের ওষ্ঠরঞ্জনী সাধ্য অনুযায়ী ক্রয় করছেন। ওষ্ঠরঞ্জনী বা লিপস্টিকের মার্কার মধ্যে বিশ্বজনীন জনপ্রিয় কিছু মার্কা হচ্ছে লরিয়্যাল (Loreal), জরডানা (Jordana), ল্যাকমি (Lakme), গোল্ডেন রোজ (Golden Rose), রেভলন (Revlon), নিওর (Nior), রিভাজ (Rivaj), লোটাস (Lotus), ডেভিস (Davis),জ্যাকলিন (Jackeline) ইত্যাদি।
মার্কাভেদে এসব ওষ্ঠরঞ্জনীর দাম ও গুণগত মানও ভিন্ন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.