লাহোর দুর্গ
From Wikipedia, the free encyclopedia
লাহোর দুর্গ (উর্দু/গুরুমুখী: شاہی قلعہ) (স্থানীয়ভাবে শাহী কিল্লা বলে পরিচিত) পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লাহোরে অবস্থিত একটি দুর্গ।[1] এই দুর্গ ইকবাল পার্কে লাহোরের দেয়ালঘেরা শহরের উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। এই পার্ক পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় নগর পার্কের অন্যতম। ট্রাপোজয়েড আকৃতির স্থানটি ২০ হেক্টর এলাকা নিয়ে গঠিত।[2] এটিতে ২১ টি উল্লেখযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে যার মধ্যে কয়েকটি সম্রাট আকবরের যুগে রয়েছে।[3] ১৭ শ শতাব্দীতে লাহোর দুর্গটি প্রায় পুরোপুরি পুনর্নির্মাণের জন্য উল্লেখযোগ্য, যখন মুঘল সাম্রাজ্য তার জাঁকজমক ও ঐশ্বর্যের চূড়ান্ত উচ্চতায় ছিল।[4]
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান | |
---|---|
অবস্থান | ইকবাল পার্ক, লাহোর, পাকিস্তান |
মানদণ্ড | সাংস্কৃতিক: i, ii, iii |
সূত্র | 171 |
তালিকাভুক্তকরণ | ১৯৮১ (৫ম সভা) |
বিপদাপন্ন | ২০০০–২০১২ |
দুর্গের উৎস প্রাচীনকাল হলেও বর্তমান স্থাপনা মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে নির্মিত হয়েছে। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাটদের সময়ে দুর্গের বৃদ্ধি ঘটেছে। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর শিখ ও ব্রিটিশ শাসকরাও দুর্গের বৃদ্ধি ঘটান। এর দুইটি ফটক রয়েছে। এর মধ্যে একটি সম্রাট আওরঙ্গজেব নির্মাণ করেছেন। এটি আলমগিরি ফটক বলে পরিচিত এবং তা বাদশাহী মসজিদমুখী। অন্যটি আকবরের সময় নির্মিত হয় এবং এটি মাসিতি[টীকা 1] বা মসজিদি ফটক নামে পরিচিত। এটি দেয়ালঘেরা শহরের মাসিতি এলাকামুখী। বর্তমানে আলমগিরি ফটকটি প্রধান প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং মাসিতি ফটকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। দুর্গে মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন রয়েছে।[5] দুর্গের কিছু বিখ্যাত স্থানের মধ্যে রয়েছে শিশ মহল, আলমগিরি ফটক, নওলাখা প্যাভেলিয়ন ও মোতি মসজিদ।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে শালিমার উদ্যানের পাশাপাশি এই দুর্গ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত হয়। এক্সপো ২০১০ এ পাকিস্তানের প্যাভেলিয়ন দুর্গের রেপ্লিকা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।[6]