রিজ উইদারস্পুন
মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র পরিচালক / From Wikipedia, the free encyclopedia
রিজ উইদারস্পুন নামে সমধিক পরিচিত লরা জন রীজ উইদারস্পুন (ইংরেজি: Laura Jeanne Reese Witherspoon; জন্ম: ২২শে মার্চ, ১৯৭৬) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯৮ সালে তিনি তিনটি খ্যাতনামা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেগুলো হচ্ছে: ওভারনাইট ডেলিভারি, প্লিজেন্টভিল, এবং টোয়াইলাইট। পরবর্তী বছরে সমালোচকভূষিত চলচ্চিত্র ইলেকশন-এ তাকে দেখা যায়। এই চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০১ সালে তার পেশাজীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা ঘটে। “এল উড” চরিত্রে অভিনীত তার চলচ্চিত্র লিগালি ব্লন্ড বক্স অফিস হিট হয়; আর এটাই উইদারস্পুনের চলচ্চিত্র জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ২০০২ সালে তিনি সুইট হোম আলাবামা ছবিতে অভিনয় করেন, যা এখন পর্যন্ত তার অভিনীত সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি। ২০০৩ তিনি চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন আসেন একই সাথে মূল নায়িকা ও প্রযোজক হিসেবে; প্রযোজনা ও অভিনয় করেন লিগালি ব্লন্ড চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় পর্ব লিগালি ব্লন্ড ২: রেড, হোয়াইট, এন্ড ব্লন্ড। ২০০৫ সালে ওয়াক ইন দ্য লাইন চলচ্চিত্রে জুন কার্টার ক্যাশ চরিত্রে তার অভিনয় আন্তর্জাতিক মনোযোগ কাড়তে সমর্থ হয়। এই চলচ্চিত্রের জন্য পরবর্তীকালে তিনি মূল চরিত্রে অভিনয়কৃত সেরা অভিনেত্রী হিসেবে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা, এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেন।
রিজ উইদারস্পুন | |
---|---|
জন্ম | লরা জন রিজ উইদারস্পুন (1976-03-22) মার্চ ২২, ১৯৭৬ (বয়স ৪৮) |
পেশা | অভিনেত্রী, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৯১–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | রায়ান ফিলিপ (১৯৯৯–২০০৭); ২ সন্তান |
উইদারস্পুন বিয়ে করেছিলেন তার অভিনীত ক্রুয়েল ইনটেনশন চলচ্চিত্রের সহ-অভিনেতা রায়ান ফিলিপকে। তাদের বিয়ে হয় ১৯৯৯ সালে, এবং আভা ও ডেকন নামে এই দম্পতির দুটি সন্তান আছে। এই দম্পতি ২০০৬ সালের শেষে সেপারেশন গ্রহণ করেন এবং আলাদাভাবে বসবাস করতে থাকেন। ২০০৭-এর অক্টোবরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। উইদারস্পুনের একটি নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখান এ ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়, এছাড়া তিনি নারী ও শিশু বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। তিনি চিল্ড্রেন'স ডিফেন্স ফান্ডের (CDF) বোর্ডের একজন সদস্য এবং এই সংগঠনে তিনি নিয়মিত সময় দিয়ে আসছেন। তাকে ২০০৭ সালে অ্যাভন প্রোডাক্ট-এর বিশ্বব্যাপী প্রচারদূত করা হয়, এবং তখন থেকে তিনি অ্যাভন ফাউন্ডেশনের সম্পানসূচক চেয়ার পদে বহাল আছেন।