রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
কলকাতার একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কলকাতার একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হল একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের ৩ নম্বর গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটে অবস্থিত।[1] ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি এই বাড়িতেই স্বামী বিবেকানন্দ (পূর্বাশ্রমের নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[2] বিবেকানন্দের পুরো শৈশব ও প্রথম যৌবন এই বাড়িতেই কাটে।[3][4] ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম এই বাড়ির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।[5]
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র | |
---|---|
প্রাক্তন নাম | স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসস্থান দত্তদের পৈতৃক বাসভবন |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
ধরন | ঐতিহ্যবাহী স্থান, জাদুঘর |
ঠিকানা | ৩ গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিট |
শহর | কলকাতা |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৫′১০.৮″ উত্তর ৮৮°২২′২.৫″ পূর্ব |
পুনঃসংস্কার | ২০০৪ |
স্বত্বাধিকারী | রামকৃষ্ণ মিশন |
১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দের বাবা বিশ্বনাথ দত্তের দেহাবসান হয়। সেই সময় বিবেকানন্দের কাকীমাও তাঁদের বাড়িতে থাকতেন। বিশ্বনাথ দত্তের মৃত্যুর পর তিনি বাড়ির সম্পূর্ণ অধিকার দাবি করে বিবেকানন্দের মা ভুবনেশ্বরী দেবী ও তার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।[3] এই মামলায় বিবেকানন্দ জয়ী হন। তবে উচ্চতর আদালতে পুনর্বিচারের জন্য মামলাটি আবার দায়ের করা হয়।[6] উচ্চতর আদালতে মামলাটি অনেক দিন ধরে চলে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দের মৃত্যুর কিছুদিন আগে মামলাটি শেষ হয়। সেখানেও বিবেকানন্দ জয়ী হন।
কালক্রমে বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবনটি জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ সম্পত্তিটি অধিগ্রহণ করে একটি জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় রামকৃষ্ণ মিশন জমি ও পার্শ্ববর্তী স্থানটি অধিগ্রহণ করে। প্রকল্প রূপায়ণের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও সাধারণের দান থেকে ১০ কোটি টাকা জোগাড় করতে সমর্থ হয়। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারই দান করেছিল ৯.৯ কোটি টাকা।[5] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে সংস্কারের পর বাড়িটিকে একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রূপায়ণের কাজ শেষ হয়।[1]
বর্তমানে এই বাড়িতে একটি জাদুঘর, একটি গবেষণা কেন্দ্র, একটি স্মারক মন্দির, একটি গ্রন্থাগার, একটি ইংরেজি শিক্ষা কেন্দ্র, একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি দাতব্য চিকিৎসালয় রয়েছে। এখানে নিয়মিত সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।[4]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.