![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/28/Rani_Mukerji_promoting_Hichki_in_2018_%2528cropped%2529.jpg/640px-Rani_Mukerji_promoting_Hichki_in_2018_%2528cropped%2529.jpg&w=640&q=50)
রাণী মুখার্জীর চলচ্চিত্র তালিকা
তালিকা / From Wikipedia, the free encyclopedia
রাণী মুখার্জী একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ব্যপকভাবে পরিচিত। তিনি তার বাবা রাম মুখার্জী পরিচালিত বিয়ের ফুল (১৯৯৬) বাংলা চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।[1] তার প্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় ছিল ধর্ষণের শিকার একটি মেয়ের চরিত্রে ১৯৯৭ সালের সামাজিক নাট্য রাজা কি আযে গি বারাত চলচ্চিত্রে, যা আর্থিকভাবে ব্যর্থ হলেও তিনি তার চরিত্রের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ জুরি ট্রফি লাভ করেন।[2] ১৯৯৮ সালে, তিনি গোলাম অ্যাকশন চলচ্চিত্রে আমির খানের বিপরীতে তার চরিত্রের জন্য সর্বজনীন স্বীকৃতি অর্জন করেন।[3] সে বছরের শেষে, কুছ কুছ হোতা হ্যায় রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্রে শাহরুখ খানের বিপরীত রোমান্টিক চরিত্রে যুগান্তকারী ভূমিকার জন্য মুখার্জী শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।[4] এই প্রাথমিক সাফল্যের পর তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রে নেতৃস্থানীয় নারী চরিত্রে উপস্থিত হয়েছেন, যার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে কমেডি চলচ্চিত্র হ্যালো ব্রাদার (১৯৯৯), অ্যাকশন থ্রিলার বিচ্ছু (২০০০), এবং নাট্য চলচ্চিত্র নায়ক: দ্য রিয়েল হিরো (২০০১), যার কোনটিই তার কর্মজীবনে সাপল্য আনতে সাহায্য করেনি।[5][6][7] এছাড়াও কমল হাসান পরিচালিত হে রাম (২০০০) দ্বিভাষিক চলচ্চিত্র পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় উল্লেখযোগ্য ছিল, এবং চলচ্চিত্রটি সে বছরের জন্য একাডেমি পুরস্কার ভারতের অফিসিয়াল ভুক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।[8]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/28/Rani_Mukerji_promoting_Hichki_in_2018_%28cropped%29.jpg/320px-Rani_Mukerji_promoting_Hichki_in_2018_%28cropped%29.jpg)
মুখার্জীর কর্মজীবনের সাফল্য আসে ২০০২ সালে, যখন তিনি যশ রাজ ফিল্মসের রোমান্টিক নাট্য সাথিয়া চলচ্চিত্রে একজন মেডিকেল ছাত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন, যা তাকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার এনে দেয়।[9][10] একই বছরে, তিনি আদনান সামীর তেরা চেহেরা মিউজিক ভিডিওতে উপস্থিত হন।[11] ২০০৪ সালে রোমান্টিক কমেডি হাম তুম এবং নাট্য যুবা চলচ্চিত্রে তার ভূমিকার জন্য মুখার্জী সে বছর একমাত্র অভিনেত্রী হিসেবে যথাক্রমে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং শ্রেষ্ঠ পাশ্ব অভিনেত্রী জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।[12][13][14] সে বছরই, তিনি বীর-জারা–বছরের সর্বাধিক ব্যবসাসফল বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[15] ২০০৫ সালে, তিনি ব্ল্যাক নাট্য চলচ্চিত্রে একজন অন্ধ, বধির ও মূক নারী চরিত্রে এবং সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত পহেলি ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা অর্জন করেন।[16][17] একই বছর তিনি বান্টি অর বাবলি সফল কমেডি চলচ্চিত্রে একটি চঞ্চল নারী চরিত্রে অভিনয় করেন।[18] ব্ল্যাক চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য, তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – সমালোচক ট্রফি অর্জন করেন।[10] পরবর্তী বছর, তিনি একজন অসুখী বিবাহিত নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন কভি আলবিদা না কেহনা নাট্য চলচ্চিত্রে — যা বিদেশে শীর্ষ আয়কারী বলিউড চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।[19]
আর্থিকভাবে সফল তা রা রাম পাম (২০০৭) পারিবারিক নাটক চলচ্চিত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় অভিনয়ের পর,[20] মুখার্জী পরবর্তী দুই বছরের জন্য যশ রাজ ফিল্মস প্রযোজিত চলচ্চিত্রে প্রাথমিকভাবে অভিনয় করেন।[21] এই চলচ্চিত্রের কোনটিই বক্স অফিসে সাফল্য লাভ করনি,[22] যার পরে তিনি সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের রিয়ালিটি শো ডান্স প্রিমিয়ার লীগের (২০০৯) একজন প্রতিভা বিচারক হিসাবে উপস্থিত হন।[23] ২০১১ সালের আধা জীবনী থ্রিলার নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা চলচ্চিত্র মীরা গাইতি নামে একজন উদ্ধত টেলিভিশনের প্রতিবেদকের চরিত্রে অভিনয় তাকে পুনরায় ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী ট্রফির কৃতীত্ব এনে দেয়,[24] এবং চলচ্চিত্রটি বিগত চার বছরের মধ্যে তার প্রথম বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয়।[25] গাইতি চরিত্রে তিনি এছাড়াও সি.আই.ডি. টেলিভিশন ধারাবাহিকের একটি পর্বে উপস্থিত হন।[26] ২০১২ সালে তিনি একজন শোকার্ত মায়ের চরিত্রে তালাশ: দ্য আনমসার উইদিন অতিপ্রাকৃত থ্রিলার চলচ্চিত্রে চিত্রিত হন এবং ২০১৪ সালে তিনি মারদানি অপরাধ থ্রিলার চলচ্চিত্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে হাজির হন।[27][28][29]