রত্নাপুরা
মানববসতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
রত্নপুরা (সিংহলি: රත්නපුර; তামিল: இரத்தினபுரி) (সিংহলি এবং তামিল ভাষায় "রত্নের শহর") শ্রীলঙ্কার একটি প্রধান শহর। এটি সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর। সেইসাথে রত্নপুরা জেলা এবং শ্রীলঙ্কার রত্ন বাণিজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র। এটি দক্ষিণ-মধ্য শ্রীলঙ্কার কালু গঙ্গায় (কালো নদী) দেশের রাজধানী কলম্বোর প্রায় ১০১ কিমি (৬৩ মা) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। রত্নাপুরাকে রত্নপুরাও বলা হয়।
রত্নাপুরা රත්නපුර இரத்தினபுரி মিনি পুরা, রুওয়ান পুরা, মানিক পুরা | |
---|---|
নগর | |
রত্নাপুরা | |
স্থানাঙ্ক: ৬°৪০′৫০″ উত্তর ৮০°২৪′০৮″ পূর্ব | |
দেশ | শ্রীলংকা |
প্রদেশ | সাবারাগামুওয়া |
জেলা | রত্নাপুরা |
সরকার | |
• ধরন | পৌর পরিষদ |
• Mayor | তিরন হিরন্ত অথথানায়েক |
আয়তন | |
• মোট | ২০ বর্গকিমি (৮ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৩০ মিটার (৪৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• মোট | ৪৬,২২৯ |
বিশেষণ | রত্নাপুরি |
ওয়েবসাইট | ratnapura.mc.gov.lk |
'রত্নপুরা' নামটি একটি সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ "রত্নগুলির শহর", সংস্কৃত শব্দ পুরা (শহর) এবং রত্ন (রত্ন পাথর) থেকে।[1] ২০০০ বছর আগে তখন প্রথম বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বুদ্ধ-গয়া, বারাণসী এবং পাটলিপুত্র থেকে এখানে এসেছিলেন। তখন তারা কেবল তাদের সাথে বৌদ্ধ ধর্মই নিয়ে আসেননি, সাথে বৌদ্ধ সংস্কৃতিও নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু তাদের শিক্ষা প্রধানত সংস্কৃত এবং পালি ভাষায় ছিল, তাই তাদের আগমন স্থানীয় ভাষাকেও প্রভাবিত করেছে। যদিও খেজুরের গুড়ের থেকে উৎপাদিত একধরণের মিছরি ঐতিহ্যগতভাবে এই অঞ্চলে রত্নপুরা নামে পরিচিত, তবে সম্ভবত এর বদলে উলটো এই শহরের নাম থেকেই মিছরিটির এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল।[2]
এই শহরটি রুবি, নীলকান্তমণি এবং অন্যান্য রত্ন সহ বহুমূল্য পাথর খনির একটি দীর্ঘ-স্থাপিত শিল্পের কেন্দ্র। রত্ন খনির পাশাপাশি, শহরটি ধান ও ফল উৎপাদনের জন্য পরিচিত। শহরের চারপাশে চা এবং রাবারের বড় বাগান রয়েছে। এই অঞ্চলে উৎপন্ন চাকে বলা হয় নিম্ন-দেশীয় চা। রত্নপুরায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পর্যটন শিল্প রয়েছে। কাছাকাছি সিংহরাজা ফরেস্ট রিজার্ভ, উদাওলাওয়ে ন্যাশনাল পার্ক, কিতুলগালা এবং অ্যাডামস পিক পর্যটকদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯০১ সালে, রত্নপুরা শহরের জনসংখ্যা ছিল ৪,০৮৪ এবং ২০১২ সাল নাগাদ এটি ৪৬,২২৯-এ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং মুসলমান প্রত্যেকেই জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গঠন করে।