ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব
ইংরেজ ফুটবল ক্লাব / From Wikipedia, the free encyclopedia
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব একটি ইংরেজ ফুটবল ক্লাব। এদের নিজস্ব মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ড ফুটবল গ্রাউন্ড, ট্রাফোর্ড, গ্রেটার ম্যানচেস্টারে অবস্থিত।[5] ইংরেজ ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় সফল দল এটি [6]
পূর্ণ নাম | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব | |
---|---|---|
ডাকনাম | রেড ডেভিলস[1] | |
সংক্ষিপ্ত নাম | ম্যান ইউনাইটেড/ইউটিডি ইউনাইটেড এমইউএফসি[2][3] | |
প্রতিষ্ঠিত | ১৮৭৮; ১৪৬ বছর আগে (1878) নিউটন হিথ এলওয়াইআর ফুটবল ক্লাব হিসেবে ১৯০২; ১২২ বছর আগে (1902) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব হিসেবে | |
মাঠ | ওল্ড ট্রাফোর্ড | |
ধারণক্ষমতা | ৭৪,১৪০[4] | |
সভাপতি | জোয়েল গ্লেজার অ্যাভ্রাম গ্লেজার | |
ম্যানেজার | এরিক টেন হাখ | |
লিগ | প্রিমিয়ার লিগ | |
২০২২–২৩ | ৩য় | |
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |
| ||
বর্তমান মৌসুম |
২০০৮-০৯ প্রিমিয়াল লিগ ও ২০০৮ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বর্তমান প্রিমিয়ার লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাধারী। ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে সফলতম দলগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অন্যতম। [7] ১৯৬৮ সালে বেনফিকাকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম ইংরেজ দল হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইউরোপীয়ান কাপ জেতে। তাদের দ্বিতীয় ইউরোপীয়ান কাপ আসে ১৯৯৯ সালে এবং তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ তারা জেতে ২০০৮ সালে। এছাড়া তারা রেকর্ড ১১ বার এফএ কাপ জিতেছে।[8]
১৯৯০ দশকের শেষভাগ থেকে ক্লাবটি যেকোন ফুটবল ক্লাবের চেয়ে বেশি অর্থ আয় করে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে[9] এবং ক্লাবটি প্রকৃত আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের লাভজনক ক্লাব হিসেবে নিজের অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখেছে।[10] ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এখনো বিশ্বের সবচেয়ে দামী ক্লাব যার সম্পদের পরিমাণ ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী আনুমানিক ৮৯৭ মিলিয়ন পাউন্ড (১.৩৩৩ বিলিয়ন ইউরো/১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।[11] ক্লাবটি ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে অদুনাবিলুপ্ত শীর্ষস্থানীয় জোট জি-১৪[12] ও এর বিকল্প ইউরোপীয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের[13] প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
শুরুতে ক্লাবটি ১৮৭৮ সালে নিউটন হিথ এলওয়াইআর এফ.সি. নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০২ সালে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পথে ক্লাবটি কিনে নেন জন হেনরি ডেভিস যিনি এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে বোমা আঘাত হানে। প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব ইউনাইটেডকে সাহায্য করে তাদের স্টেডিয়ামে খেলার অনুমতি দিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউনাইটেড স্যার ম্যাট বাজ্বিকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি তরুণ ফুটবলারদের মূল দলে খেলার অগ্রাধিকার দেয়ার নীতি গ্রহণ করেন, যার সফলতা তিনি পরে পেয়েছিলেন। ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে দলটি লিগ জিতে। ১৯৫৮ সালের মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায় তার সাফল্যের চাকা থেমে যায় যেখানে মূল দলের ৮ জন খেলোয়াড় মারা যান। মনে করা হচ্ছিল তখন ক্লাবটি বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু দলটি ঠিকমতই চলতে থাকে এবং ১৯৬৫ ও ১৯৬৭ সালে ফুটবল লিগ এবং ১৯৬৮ সালে ইউরোপীয়ান কাপ জিতে নেয়।
১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত দলটি আর সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। রন অ্যাটকিনসনের বিদায়ের পর ১৯৮৬ সালের ৬ নভেম্বর তারিখে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন।[14] ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একমাত্র দল যারা ১৯৯৯ সালে একই মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপ ত্রয়ী জিতেছে। বর্তমানে দলের অধিনায়ক গ্যারি নেভিল, যিনি রয় কিনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে।[15]
১৯৯১ সালের পর থেকে দলটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত হয়। রুপার্ট মার্ডক ১৯৯৮ সালে দলটি কিনে নিতে চেয়েছিলেন যা ব্রিটিশ সরকার থেকে বাধা দেয়া হয়।[16] কিন্তু ২০০৫ সালে ম্যালকম গ্লেজার বিতর্কিতভাবে দলটি কিনে নেন যার ফলে ক্লাবটি আকণ্ঠ দেনায় ডুবে যায়।[17]
২০২৪ সালে পেট্রোকেমিক্যালস বিলিওনিয়ার স্যার জিম র্যাটক্লিফ তার ইনিওস গ্রুপ এর মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২৭.৭ শতাংশ অংশীদারি ক্রয় সম্পন্ন করেছেন - যা তাকে গ্লেজার পরিবার থেকে ফুটবল পরিচালনার আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম করে।