মৌলামাইন
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মৌলামাইন (মাউলামিয়াং নামেও ডাকা হতো; টেমপ্লেট:Lang-mnw টেমপ্লেট:IPA-mnw; বর্মী: မော်လမြိုင်မြို့; এমএলসিটিএস: mau la. mruing mrui.; বর্মী উচ্চারণ: [mɔ̀ləmjàɪ̯ɰ̃ mjo̰]), মায়ানমারের চতুর্থ বৃহত্তম শহর।[3][4] এটি মৌলমেইন নামেও পরিচিত ছিল। এটি ইয়াংগুন থেকে ৩০০ কিমি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। থাটন থেকে ৭০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। থানলুইন নদীর মুখেই শহরটি অবস্থিত। এই শহরটি মায়ানমারের মন রাজ্যের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর। এছাড়াও মায়ানমারের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর এই শহরে অবস্থিত।[5]
মৌলামাইন မော်လမြိုင် ဍုၚ်မတ်မလီု | |
---|---|
City | |
মিয়ানমারে মৌলামাইনের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৬°২৯′ উত্তর ৯৭°৩৭′ পূর্ব | |
Country | মিয়ানমার |
State | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Mon State |
District | Mawlamyine District |
Township | Mawlamyine Township |
জনসংখ্যা (2014 Census)[1] | |
• City | ২,৮৯,৩৮৮ |
• পৌর এলাকা | ২,৫৩,৭৩৪ |
• গ্রামীণ | ৩৫,৬৫৪ |
• Ethnicities | Mons Burmans Chinese Indians Karens |
• Religions | Theravada Buddhism Christianity Islam Hinduism |
বিশেষণ | মৌলমেনিয়ান মাউলামানিয়ান |
সময় অঞ্চল | MST (ইউটিসি+6.30) |
এলাকা কোড | 57 |
[2] |
মৌলামাইন নামটি এসেছে মন ভাষার মৌলমেইন শব্দ থেকে। মৌলমেইন শব্দটির অর্থ হচ্ছে কানা/এক-চোখ অন্ধ। কথিত আছে, একদা এখানে একজন মন রাজা ছিলেন যার কপালে আরেকটি চোখ ছিল, অর্থাৎ তার তিনটি চোখ ছিল। এই বাড়তি চোখ দিয়ে তিনি আশপাশের রাজ্যে কি হচ্ছে তা দেখতে পারতেন। পার্শবর্তী একটি রাজ্যের রাজা তার মেয়েকে তার সাথে বিয়ে দেন। এবং তিনি মেয়ের মাধ্যমে কৌশলে তার তৃতীয় চোখ নষ্ট করে দেন।
১৯ শতকের প্রমাণাদি থেকে এটা জানা যায় যে, এই জায়গাটিকে আগে মৌলমাইন বা মোলমাইন নামেও ডাকা হতো। মৌলমেইনে বসবাস করা মানুষদের বলা হতো মৌলমেনিয়ান।
মৌলামাইনে বিভিন্ন ধর্মের লোক বসবাস করে। তবে মন মানুষের সংখ্যাই বেশি যারা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। ব্রিটিশরা এবং আমেরিকা থেকে আগত মিশনারীরা এখানে খ্রিস্ট ধর্মের আবির্ভাব ঘটায়। তাই এখানে গির্জা, মন্দির, মসজিদ এমনকি আমেরিকার কিছু সংস্কৃতির ছোঁয়াও পাওয়া যায়।[6]
উত্তর আমেরিকা থেকে প্রথম ককেশিয়ান প্রটেস্টেন্ট মিশনারী ছিলেন আডোনিরাম জাডসন।[7] তিনি ১৮২৭ সালে এখানে প্রথম ব্যাপ্টিস্ট গির্জা তৈরি করেন। যদিও গির্জায় মন সংস্কৃতির বেশ খানিকটা ছাপ লক্ষ্য করা যায়। ২০১৫ সালে মিয়ানমারের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গির্জাটিকে পুনরায় সংস্কার করার জন্য ডাব্লিও এম এফ কে ১২৫০০ ডলার প্রদান করেন।[8]
মৌলামাইনে রয়েছে মন স্টেট কালচালার জাদুঘর। এখানে মন মানুষ এবং একসময় থাকা কংবং রাণীর জিনিসপত্র রয়েছে।
মৌলামাইনে ১৩ টী সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে, দুটি ইনস্টিটিউশন রয়েছে এবং তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
মৌলামাইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। মিয়ানমারের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি একটি। কলা এবং বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে এটি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। কলা এবং বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটি মিয়ানমারের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ইয়াংগুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিল মানডালা বিশ্ববিদ্যালয়। মিয়ানমারের খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ানো হয়। এর মধ্যে মৌলামাইন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। সেটসিতে এর একটি গবেষণাগার রয়েছে, মৌলামাইন শহর থেকে গবেষণাগারটির দুরত্ব প্রায় ৮৩ কিলোমিটার। মিয়ানমারে এ ধরনের গবেষণাগার এটাই প্রথম।[9] মিয়ানমার কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি এবং প্রকৌশল বিষয়ে পড়িয়ে থাকে। মৌলামাইন শহরে ইয়েজিন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বারা এটি পরিচালিত হয়।[10] মৌলামাইন এডুকেশন কলেজ এবং মৌলামাইন ইনস্টিটিউট শহরের ভেতরেই অবস্থিত।[11]
১৮৬০ সালে এই শহরে দে লা সাল্লে ব্রাদার্স সেইন্ট প্যাট্রিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। শিন মাহা বৌদ্ধঘোষা ন্যাশনাল স্কুল ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[12]
এখানের মং শা ল ছিলেন প্রথম কোন বার্মিজ ছাত্র যিনি পশ্চিমা বিশ্বে পড়াশুনা করতে যান। ১৮৬৪ সালে বাকনেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ওষধি বিদ্যায় ডিগ্রি অর্জন করেন।
মৌলামাইনের প্রধান স্টেডিয়াম ইয়ামানিয়া স্টেডিয়াম যা ১০০০০ দর্শক ধারণ করতে পারে। সাউদার্ন মিয়ানমার এফ সি এওং মিয়ানমার ন্যাশনাল লিগ ফুটবল ক্লাব এই স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করে।[13][14]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.