মোয়াজ্জেম হোসেন (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার)
বাংলাদেশি সামরিক ব্যক্তিত্ব / From Wikipedia, the free encyclopedia
শহীদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন (১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ - ২৬ মার্চ ১৯৭১)[1] ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত স্বাধীনতাকামী ও বীর শহীদ। তিনি ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান নৌ বাহিনীতে কর্মরত একজন বাঙ্গালী কর্মকর্তা এবং ১৯৬৭ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা-র ২য় আসামী।
শহীদ লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন | |
---|---|
জন্ম | ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ |
মৃত্যু | ২৬ মার্চ ১৯৭১ ৩৬ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা |
মৃত্যুর কারণ | মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা |
সমাধি | শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, মিরপুর, ঢাকা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() |
পেশা | নৌ বাহিনী কর্মকর্তা |
কর্মজীবন | ১৯৫০-১৯৭০ |
প্রতিষ্ঠান | পাকিস্তান নৌ বাহিনী |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | আগরতলা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা, ১৯৬৭ |
আদি নিবাস | পিরোজপুর |
দাম্পত্য সঙ্গী | কোহিনূর হোসেন |
সন্তান | ওয়ালি নোমান, ওয়াসি নোমান, ওয়াদিয়া নোমান |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১২) |
পাকিস্তান নৌবাহিনীতে চাকরিকালে বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অযৌক্তিক বৈষম্য লক্ষ করে তিনি ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে বাঙালি অফিসার ও সেনাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাঁর অভিমত প্রকাশ করেন। এর ফলে তিনি পাকিস্তানি, বিশেষত পাঞ্জাবিদের বিরাগভাজন হন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িত করে ১৯৬৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২ নম্বর আসামি। ১৯৬৯ সালে গণ-আন্দোলনের চাপে বঙ্গবন্ধু ও তাঁকেসহ সব আসামিকে সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তখন তিনি লে. কমান্ডার ছিলেন। তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালে তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়ন কমিটি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে বর্বর পাকিস্তানি সেনারা তাঁর ৩৬ এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।[1]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগের অনন্য অবদানের জন্য ২০১২ সালে তাকে “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[2]